বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় ৭ দিনের নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক। এর আগে রাত ১০টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়।
নবজাতকটি বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের বিক্রমশ্রী নয়াপাড়া গ্রামের রবিন মিয়ার মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃত মান্নান মিয়া একজন হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা। তিনি হাঁড়িপাতিল ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধও বিক্রি করতেন।
জানা গেছে, গত শনিবার সকালে নবজাতকটির জ্বর ও জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য বারহাট্টায় আনেন মা অজুপা আক্তার। পরে বারহাট্টা মডেল স্কুল মোড়ের হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা মান্নান মিয়া তাঁকে ‘ওরসেফ’ নামক একটি ওষুধ দেন। ওই ওষুধ খাওয়ানোর পর দুপুরের দিকে নবজাতকটির খিঁচুনি শুরু হয়। দ্রুত নবজাতকটিকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকটি মারা যায়। মৃত্যুর পর পরই রাতেই মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বারহাট্টা থানা-পুলিশ।
নবজাতকের মা অজুপা আক্তার বলেন, ‘গত শনিবার সকালে আমার মাইয়ার (মেয়ের) জ্বর ও জন্ডিস দেহা (দেখা) দেয়। তহন (তখন) আমি আর আমার মা মাইয়ার লাগি ওষুধ আনতে যাই। তখন মান্নান মিয়ার কাছে গেলে হে (তিনি) ওরসেফ নামে একটা সিরাপ দেয়। সিরাপটা খাওনের (খাওয়ানোর) পরই আমার মাইয়ার খেচনি (খিঁচুনি) শুরু হয়। আমি তাড়াতাড়ি বারহাট্টা হাসপাতালে লইয়া (নিয়ে) যাই। তখন ডাক্তার ময়মনসিংহ নিয়া যাওনের লাইগ্গা (নিয়ে যাওয়ার জন্য) বলে। ময়মনসিংহ নিয়া গেছি কিন্তু আমার মাইয়ারে বাঁচাইতে আর পারলাম না। এই বেডা (মান্নান) হারত (কিছু পারে না) না তাইলে ওষুধ কেরে (কেন) দিল। আমার মাইয়ারে কেরে (কেন) মারল। আমি এখন এই বেডার কঠিন বিচার চাই।’
বিক্রমশ্রী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নবাব গনি বলেন, ‘গত শনিবার দুপুরে হঠাৎ রবিন আমাকে মোবাইল দিয়ে বলেন তাঁর নবজাতকের খুব সমস্যা। আমি যেন দ্রুত বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি বাচ্চাটার খিঁচুনি হচ্ছে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, হয়তোবা ওষুধের কারণে এমনটা হচ্ছে। তখন আমি নবজাতকটিকে ময়মনসিংহ নেওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠিয়ে দেই। গতকাল রাত ১০টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়। আমরা ওই হাঁড়িপাতিল বিক্রেতার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।’
স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার আমার বাড়ির পাশে থাকে। এভাবে হাঁড়িপাতিল বিক্রির পাশাপাশি ওষুধ বিক্রি করা ঠিক নয়। এ কারণে আজ একটি শিশুর প্রাণ ঝড়ে গেল। আশা করছি বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবার উপযুক্ত বিচার পাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মান্নানের ওষুধ বিক্রি করার কোনো লাইসেন্স নেই। তবু তিনি ওষুধ বিক্রি করছেন। কয়েক বছর আগে তাঁকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওষুধ বিক্রি না করার জন্য বলা হয়েছিল। কয়েক দিন নিষেধ মানার পর আবার ওষুধ বিক্রি শুরু করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নবজাতকের চিকিৎসা যে জায়গায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া করানো যায় না। সে জায়গায় হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা কি করে চিকিৎসা করলেন? ওনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ নিয়ে ওসি লুৎফুল হক বলেন, নবজাতকটি মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলায় ভুল চিকিৎসায় ৭ দিনের নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফুল হক। এর আগে রাত ১০টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়।
নবজাতকটি বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের বিক্রমশ্রী নয়াপাড়া গ্রামের রবিন মিয়ার মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃত মান্নান মিয়া একজন হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা। তিনি হাঁড়িপাতিল ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন ওষুধও বিক্রি করতেন।
জানা গেছে, গত শনিবার সকালে নবজাতকটির জ্বর ও জন্ডিস দেখা দিলে চিকিৎসার জন্য বারহাট্টায় আনেন মা অজুপা আক্তার। পরে বারহাট্টা মডেল স্কুল মোড়ের হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা মান্নান মিয়া তাঁকে ‘ওরসেফ’ নামক একটি ওষুধ দেন। ওই ওষুধ খাওয়ানোর পর দুপুরের দিকে নবজাতকটির খিঁচুনি শুরু হয়। দ্রুত নবজাতকটিকে বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে গতকাল রাত ১০টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নবজাতকটি মারা যায়। মৃত্যুর পর পরই রাতেই মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করে বারহাট্টা থানা-পুলিশ।
নবজাতকের মা অজুপা আক্তার বলেন, ‘গত শনিবার সকালে আমার মাইয়ার (মেয়ের) জ্বর ও জন্ডিস দেহা (দেখা) দেয়। তহন (তখন) আমি আর আমার মা মাইয়ার লাগি ওষুধ আনতে যাই। তখন মান্নান মিয়ার কাছে গেলে হে (তিনি) ওরসেফ নামে একটা সিরাপ দেয়। সিরাপটা খাওনের (খাওয়ানোর) পরই আমার মাইয়ার খেচনি (খিঁচুনি) শুরু হয়। আমি তাড়াতাড়ি বারহাট্টা হাসপাতালে লইয়া (নিয়ে) যাই। তখন ডাক্তার ময়মনসিংহ নিয়া যাওনের লাইগ্গা (নিয়ে যাওয়ার জন্য) বলে। ময়মনসিংহ নিয়া গেছি কিন্তু আমার মাইয়ারে বাঁচাইতে আর পারলাম না। এই বেডা (মান্নান) হারত (কিছু পারে না) না তাইলে ওষুধ কেরে (কেন) দিল। আমার মাইয়ারে কেরে (কেন) মারল। আমি এখন এই বেডার কঠিন বিচার চাই।’
বিক্রমশ্রী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নবাব গনি বলেন, ‘গত শনিবার দুপুরে হঠাৎ রবিন আমাকে মোবাইল দিয়ে বলেন তাঁর নবজাতকের খুব সমস্যা। আমি যেন দ্রুত বারহাট্টা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই। তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখি বাচ্চাটার খিঁচুনি হচ্ছে। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তাঁরা বলেন, হয়তোবা ওষুধের কারণে এমনটা হচ্ছে। তখন আমি নবজাতকটিকে ময়মনসিংহ নেওয়ার জন্য সিএনজিতে উঠিয়ে দেই। গতকাল রাত ১০টার দিকে নবজাতকটি মারা যায়। আমরা ওই হাঁড়িপাতিল বিক্রেতার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।’
স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার আমার বাড়ির পাশে থাকে। এভাবে হাঁড়িপাতিল বিক্রির পাশাপাশি ওষুধ বিক্রি করা ঠিক নয়। এ কারণে আজ একটি শিশুর প্রাণ ঝড়ে গেল। আশা করছি বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্ত হবে এবং ভুক্তভোগী পরিবার উপযুক্ত বিচার পাবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত মান্নানের ওষুধ বিক্রি করার কোনো লাইসেন্স নেই। তবু তিনি ওষুধ বিক্রি করছেন। কয়েক বছর আগে তাঁকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওষুধ বিক্রি না করার জন্য বলা হয়েছিল। কয়েক দিন নিষেধ মানার পর আবার ওষুধ বিক্রি শুরু করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, নবজাতকের চিকিৎসা যে জায়গায় শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া করানো যায় না। সে জায়গায় হাঁড়িপাতিল বিক্রেতা কি করে চিকিৎসা করলেন? ওনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ নিয়ে ওসি লুৎফুল হক বলেন, নবজাতকটি মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্ত মান্নান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে