Ajker Patrika

প্রতারণার মামলায় কাজী এরতেজাসহ চারজনের বিষয়ে শুনানি আগামী মাসে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২৩, ১৫: ৩৫
প্রতারণার মামলায় কাজী এরতেজাসহ চারজনের বিষয়ে শুনানি আগামী মাসে

জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবির এই তারিখ ধার্য করেন।

গত ২৩ মার্চ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক মো. মেহেদী হাসান।

মামলার চার্জশিটভুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ, মো. রিয়াজুল আলম ও সাইফুল ইসলাম ওরফে সেলিম মুন্সী।

২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ সালে নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের জন্য দক্ষিণখান এলাকার আশিয়ান সিটির পাঁচ বিঘা জমি কিনতে এজাহারনামীয় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সীর উপস্থিতিতে স্ট্যাম্পে চুক্তি সই হয়। চুক্তিতে জমির দাম ৫০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিতে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ক্রেতা এবং বাকি দুজন সাক্ষী হিসেবে সই করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, চুক্তি মোতাবেক আট মাসের মধ্যে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। বাকি ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে তাঁরা আত্মসাৎ করেন এবং আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের জাল সই দিয়ে দলিল করেন। উল্লেখ করেন যে তাঁরা সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করেছেন। জাল দলিলে জমির দাম ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়।

এই মামলায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। রিয়াজুল আলম নামের আরেকজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে এবং তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাজী এরতেজাকে গত বছরের ১ নভেম্বর গুলশান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৭ নভেম্বর তাঁকে জামিন দেওয়া হয়।

চার্জশিটে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর প্রাপ্য ২০ কোটি টাকা পরিশোধ না করে কৌশলে বাদীর কাছ থেকে দলিলটি গ্রহণ করে সময়ক্ষেপণ করেন। পরবর্তী সময়ে কমিশনিংয়ের মাধ্যমে দলিলদাতার স্থলে ভিন্ন লোক উপস্থাপন করে স্বাক্ষর জাল করেন, থাম্ব ইম্প্রেশন বইতে টিপসই না দিয়ে সরকারি অফিস ও কর্মকর্তাদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে দলিলের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত