Ajker Patrika

‘এক পরীমণি হারিয়ে গেলে সম্ভাবনাময় হাজারো পরীমণি হারিয়ে যাবে’

প্রতিনিধি, ঢাবি
‘এক পরীমণি হারিয়ে গেলে সম্ভাবনাময় হাজারো পরীমণি হারিয়ে যাবে’

চিত্রনায়িকা পরীমণির ওপর অন্যায় করা হচ্ছে অভিযোগ করে নাগরিক সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, এভাবে পরীমণি হারিয়ে গেলে সম্ভাবনাময় হাজারো পরীমণি হারিয়ে যাবে। 

‘বিক্ষুব্ধ নাগরিকজন’-এর ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন বক্তারা। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খাঁন আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক স্নিগ্ধা রেজওয়ানা। 

সরাসরি বক্তব্য রাখেন মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির, চলচ্চিত্র নির্মাতা অপরাজিতা সঙ্গিতা, চলচ্চিত্র নির্মাতা রশিদ পলাশ, হাবিবুর রহমান হাবিব, মানবাধিকার কর্মী মুঞ্জুন্নাহার, সংগঠক শতাব্দী ভব, ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু প্রমুখ। 

সুলতানা কামাল বলেন, একজন মানুষ যিনি একটা অপরাধের শিকার হয়ে একসময় মামলা করেছেন, সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নানাভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে এবং হেনস্তা করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে হেনস্তা করার দায়িত্ব রাষ্ট্র নিজের হাতেই তুলে নিয়েছে। তাঁর জন্য আজকে আমরা দাঁড়িয়েছি-এটার থেকে দুঃখজনক ও বিব্রতকর কোনো ঘটনা সমাজে হতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, একজন নারীকে যেভাবে র‍্যাবের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। র‍্যাবের মতো একটা এলিট ফোর্স দিয়ে কারও বাড়িতে মাদক আছে কি-না এটার দেখার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। 

শাহরিয়ার কবির বলেন, পরীমণিকে নিয়ে যেটা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে,  গণমাধ্যমে-কোনো কিছু সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই তাঁকে অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করা হচ্ছে। আদালতের রায়ের আগে তাঁকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করা এবং তাঁর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অগ্রহণযোগ্য বক্তব্য- এটা কোনো সভ্য সমাজের আচরণ হতে পারে না। একটা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে নারীকে সব সময় খাটো করা, হেয় করার একটা মনোবৃত্তি আমরা সব সময় লক্ষ্য করি। পরীমণিকে কেন বারবার রিমান্ডে যেতে হবে, আদালত কেন একটা সুয়োমোটো (স্বপ্রণোদিত আদেশ) জারি করবে না পুলিশের বিরুদ্ধে।   একবার রিমান্ড যথেষ্ট,  সেজন্য তো এতবার রিমান্ডে নেওয়ার দরকার হয় না। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, পরীমণি একজন নাগরিক। সে সাংবিধানিক সকল অধিকার পাওয়ার যোগ্য। আমরা বিভিন্ন আইনজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে, পরীমণির যে অপরাধ তা জামিনযোগ্য অপরাধ। কিন্তু তাকে জামিন না দিয়ে বারবার রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে। সে মিডিয়া ট্রায়াল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত