Ajker Patrika

চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করবেন বাদী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ৩৩
Thumbnail image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার সকালে ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নারাজি আবেদন করবেন বলে জানান।

মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে বাদী হাজির হয়ে নারাজি দাখিলের জন্য সময় চান। তিনি আদালতকে বলেন, আদালতের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে শুনে তিনি আদালতে এসেছেন। তিনি তদন্ত কর্মকর্তার এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন এ জন্য সময়ের প্রয়োজন। আদালত আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এর আগে আগে গত ১৫ জানুয়ারি ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন সিকদার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এতে বলা হয়, এই মামলায় তথ্যগত ভুল রয়েছে। ফারদিন আত্মহত্যা করেছেন। ফারদিনের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং সিসিটিভি ফুটেজ সূত্রে পাওয়া গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এসব পর্যালোচনায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।

প্রতিবেদনে ফারদিনের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যগুলো যাচাই করে দেখা গেছে, তিনি স্পেনে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্পেনে যাওয়ার টাকা জোগাড় করতে পারেননি। এ কারণে তিনি ভেঙে পড়েছিলেন। অন্যদিকে বুয়েটের একাডেমিক বিভিন্ন পরীক্ষায় ক্রমাগত ফলাফল খারাপ করে আসছিলেন। ফারদিন এসব কারণে হতাশায় নিমজ্জিত হন। একপর্যায়ে তিনি জীবনের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

গত বছরের ৭ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এ ঘটনায় বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

গত ১০ নভেম্বর ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় আদালত তাঁর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ৮ জানুয়ারি ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়।

আজ বুশরা আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁর আইনজীবী জামিন স্থায়ী করার জন্য আবেদন করেন। আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত বুশরা জামিনে থাকবেন বলে আদালত আদেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত