Ajker Patrika

স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে ছিলেন ১৭ বছর, অবশেষে ধরা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০: ৩৫
স্ত্রীকে হত্যার পর পালিয়ে ছিলেন ১৭ বছর, অবশেষে ধরা

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর দীর্ঘ ১৭ বছর ছদ্ম পরিচয়ে পালিয়ে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সন্দেহের বাইরে থাকতে সুনামগঞ্জ জেলায় আরেকটি বিয়েও করেন। পরে নারায়ণগঞ্জে ভাঙারির ব্যবসাও শুরু করেন। এর মধ্যে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জের আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। অবশেষে র‍্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। 

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ওই পলাতক আসামির নাম জিয়া উদ্দিন (৪৩)। তিনি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে। গতকাল সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাজধানী ঢাকার কদমতলী মেরাজনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করে র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। সোমবার রাত ৯টার দিকে র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তার, তাঁর পরিচয় গোপন করে লুকিয়ে থাকাসহ বিভিন্ন বিষয় জানান কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির। 

সংবাদ সম্মেলনে মো. আশরাফুল কবির জানান, ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জিয়া উদ্দিনের সঙ্গে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার হাতকাজলা গ্রামের মো. হারেছ মিয়ার মেয়ে রেখা আক্তারের বিয়ে হয়। এক-দেড় মাস পর থেকেই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন শুরু করেন জিয়া উদ্দিন। ২০০৬ সালের ১৪ জুলাই রাতে জিয়া উদ্দিন নিজ ঘরে স্ত্রী রেখা আক্তারকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এ ঘটনার পরদিন ১৫ জুলাই নিহত রেখার বাবা মো. হারেছ মিয়া বাদী হয়ে তাড়াইল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির জানান, ঘটনার পর থেকে জিয়া উদ্দিন পলাতক ছিলেন। পুলিশ এই মামলার একমাত্র আসামি জিয়া উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তাঁর অনুপস্থিতিতে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। একই সঙ্গে আসামিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানারও আদেশ দেন। রায় ঘোষণার পর আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। 

মো. আশরাফুল কবির জানান, সম্প্রতি র‍্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প আসামি জিয়া উদ্দিনকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মো. আশরাফুল কবিরের নেতৃত্বে সোমবার সকালে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার রাতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুযায়ী জিয়া উদ্দিনকে মিঠামইন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিতি ছিলেন র‍্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের উপসহকারী পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান ও নুরুজ্জামান মিয়া।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে

দক্ষিণপন্থীদের কবজায় বাংলাদেশের রাজনীতি: বদরুদ্দীন উমর

বন্দর-করিডর আপনার এখতিয়ারে নেই, বিদেশি উপদেষ্টাকে বিদায় করুন: ইউনূসকে সালাহউদ্দিন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত