নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাল টাকা তৈরি চক্রের অন্যতম সদস্য মো. মেহেদী হাসান (১৯)। পেশায় গ্রাফিকস ডিজাইনার। ইউটিউব দেখে শেখেন জাল টাকা তৈরির পদ্ধতি। এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে শাহজাদা ও তুষারের সহযোগিতায় জাল টাকার কারবার শুরু করেন। মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি করেন এক লাখ টাকার জাল নোট। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদীসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
র্যাবের হাতে আটক বাকি দুজন হলেন মো. শাহজাদা আলম (৩৩) ও আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে সর্বমোট ২ লাখ টাকার জাল টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি করে ল্যাপটপ, ল্যাপটপ ব্যাগ, কিবোর্ড, পেনড্রাইভ, দুটি করে মাউস, ল্যাপটপ চার্জার, ১০টি বিশেষ মার্কার পেন, টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত ২টি বিশেষ প্রিন্টার, টাকার ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য চারটি টোনার কার্টিজ, ২ রিম সাদা কাগজ, একটি ফয়েল পেপার রোল, ৩টি স্টিলের স্কেল, ৩টি অ্যান্টি কাটার, একটি কাঁচি, ৪টি মোবাইল, ৮টি সিমকার্ড, ১টি এনআইডি কার্ড, ৩টি মানিব্যাগ এবং নগদ ৩ হাজার ৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০ টাকা নোটের ১০ হাজার টাকার জাল নোট তৈরিতে তাঁদের খরচ হতো ২০০ টাকা। ১ লাখ টাকা তৈরিতে আনুমানিক খরচ হতো ২০০০ টাকা। এসব তৈরি করা জাল নোট বিক্রির জন্য শাহজাদা ও তুষার ফেসবুকে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের পোস্টে জাল টাকা ক্রয়ে আগ্রহীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতেন। পরে তাঁরা ফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহের কাজ করতেন।
র্যাব জানায়, গত ১৫ মে তাঁরা ‘এ গ্রেড জাল নোট গ্রুপ’ নামে ফেসবুকভিত্তিক জাল টাকার কারবারের একটি চক্রের মাধ্যমে ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকার জাল নোটের একটি ডেলিভারি দেয়। গত ১৯ মে ২ লাখ টাকার ডেলিভারির জন্য তৈরি করা জাল নোট এবং মেশিন ও সরঞ্জামাদিসহ র্যাবের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, শাহজাদা এই চক্রের মূল হোতা। তিনি ২০০৮ সালে বিজিবিতে যোগদান করেন এবং ২০২০ সালে নৈতিক স্খলন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত হন। এর পর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সাল থেকে তিনি জাল টাকা চক্রের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকে জাল টাকা বিক্রির পেজ থেকে পরিচিত হয়ে মাহেদী ও তুষারকে নিয়ে তিনি নিজেই জাল টাকা তৈরির এই চক্রটি গড়ে তোলেন।
এ ছাড়া তুষার গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে জাল টাকার ডেলিভারির কাজ করতেন। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
জাল টাকা তৈরি চক্রের অন্যতম সদস্য মো. মেহেদী হাসান (১৯)। পেশায় গ্রাফিকস ডিজাইনার। ইউটিউব দেখে শেখেন জাল টাকা তৈরির পদ্ধতি। এরপর ফেসবুকের মাধ্যমে শাহজাদা ও তুষারের সহযোগিতায় জাল টাকার কারবার শুরু করেন। মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি করেন এক লাখ টাকার জাল নোট। গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহেদীসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
র্যাবের হাতে আটক বাকি দুজন হলেন মো. শাহজাদা আলম (৩৩) ও আবু হুরায়রা ওরফে তুষার (২২)। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলিতে র্যাব-৩ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
র্যাব জানায়, অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে ৯০০টি ২০০ টাকার জালনোট এবং ২০০টি ১০০ টাকার জালনোট মিলিয়ে সর্বমোট ২ লাখ টাকার জাল টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া জাল নোট তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি করে ল্যাপটপ, ল্যাপটপ ব্যাগ, কিবোর্ড, পেনড্রাইভ, দুটি করে মাউস, ল্যাপটপ চার্জার, ১০টি বিশেষ মার্কার পেন, টাকা ছাপানোর কাজে ব্যবহৃত ২টি বিশেষ প্রিন্টার, টাকার ডিজাইন প্রিন্ট করার জন্য চারটি টোনার কার্টিজ, ২ রিম সাদা কাগজ, একটি ফয়েল পেপার রোল, ৩টি স্টিলের স্কেল, ৩টি অ্যান্টি কাটার, একটি কাঁচি, ৪টি মোবাইল, ৮টি সিমকার্ড, ১টি এনআইডি কার্ড, ৩টি মানিব্যাগ এবং নগদ ৩ হাজার ৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০ টাকা নোটের ১০ হাজার টাকার জাল নোট তৈরিতে তাঁদের খরচ হতো ২০০ টাকা। ১ লাখ টাকা তৈরিতে আনুমানিক খরচ হতো ২০০০ টাকা। এসব তৈরি করা জাল নোট বিক্রির জন্য শাহজাদা ও তুষার ফেসবুকে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের বিভিন্ন পেজ ও গ্রুপের পোস্টে জাল টাকা ক্রয়ে আগ্রহীদের ইনবক্সে যোগাযোগ করতেন। পরে তাঁরা ফোনে যোগাযোগ করে সরাসরি সাক্ষাতের মাধ্যমে জাল টাকা সরবরাহের কাজ করতেন।
র্যাব জানায়, গত ১৫ মে তাঁরা ‘এ গ্রেড জাল নোট গ্রুপ’ নামে ফেসবুকভিত্তিক জাল টাকার কারবারের একটি চক্রের মাধ্যমে ৯ হাজার টাকার বিনিময়ে পাঁচ লাখ টাকার জাল নোটের একটি ডেলিভারি দেয়। গত ১৯ মে ২ লাখ টাকার ডেলিভারির জন্য তৈরি করা জাল নোট এবং মেশিন ও সরঞ্জামাদিসহ র্যাবের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়ে।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, শাহজাদা এই চক্রের মূল হোতা। তিনি ২০০৮ সালে বিজিবিতে যোগদান করেন এবং ২০২০ সালে নৈতিক স্খলন ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে চাকরিচ্যুত হন। এর পর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রম ও চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০২২ সাল থেকে তিনি জাল টাকা চক্রের সঙ্গে কাজ করে আসছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে ফেসবুকে জাল টাকা বিক্রির পেজ থেকে পরিচিত হয়ে মাহেদী ও তুষারকে নিয়ে তিনি নিজেই জাল টাকা তৈরির এই চক্রটি গড়ে তোলেন।
এ ছাড়া তুষার গাজীপুরের কাশিমপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদমে জাল টাকার ডেলিভারির কাজ করতেন। আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৪ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২১ দিন আগে