Ajker Patrika

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার স্বাক্ষর জাল করা উপজেলা চেয়ারম্যান রেনুর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার স্বাক্ষর জাল করা উপজেলা চেয়ারম্যান রেনুর জামিন

উত্তরা ব্যাংকের ২ কোটি ৫ লাখ টাকার ঋণ মওকুফের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের স্বাক্ষর জাল করেছেন কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু। আদালত তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। এবার তিনি জামিন পেয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আস–সামছ জগলুল হোসেন চেয়ারম্যানের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। 

আদালতের অতিরিক্ত কৌঁসুলি (অ্যাডিশনাল পিপি) তাপস কুমার পাল জামিনের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন। 

গত ২৭ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং–৮–এ তিনি আত্মসমর্পণ করেন। বিচারক আরফাতুল রাকিব সাজা পরোয়ানা মূলে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

এরপর রেনুর পক্ষে তাঁর আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর আজ শুনানি শেষে আদালত জামিন দেন।

শুনানিতে রেনুর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন আদালতকে বলেন, আসামি এবারের উপজেলা নির্বাচনের একজন প্রার্থী। সামনে নির্বাচন। তাই তাঁর জামিন প্রয়োজন। পরে আদালত জামিন দেন। 

পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনু পৌরসভার মরুরা এলাকার মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিটেডকে ২ কোটি ৫ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছিল। পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেনু এই ঋণ মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলে কোম্পানিটির কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা নেন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের বরাতে তাঁর জাল স্বাক্ষরে ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা নিতে উত্তরা ব্যাংকের এমডি বরাবর একটি চিঠি ইস্যু করেন। চিঠিতে ড. মশিউর রহমানের স্থলে ডা. মশিউর রহমান লেখায় উত্তরা ব্যাংকের এমডির সন্দেহ হয়। তাই চিঠিটি যাচাইয়ের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। 

সেখানে প্রমাণিত হয়, ওই চিঠি ড. মশিউর রহমান ইস্যু করেননি। এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর বংশাল থানায় মামলা করেন। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর মো. রফিকুল ইসলাম রেনুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। 

অন্য অভিযুক্তরা হলেন—মেসার্স এলিট আয়রন অ্যান্ড স্টিল জিপি শিট লিমিডেট পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন, চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক তোফাজ্জল হোসেন, পরিচালক আমজাদ হোসেন ও মনোয়ার হোসেন। 

 ২০১৫ সালের ১১ জুন মামলাটিতে অপর আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে কেবল মো. রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। দীর্ঘ সাড়ে ১১ বছরেরও বেশি সময় পর এ মামলার রায়ে আদালত রফিকুল ইসলাম রেনুকে গত ৪ জানুয়ারি দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে স্টারলিংকের প্রস্তাবিত কার্যক্রমের বিস্তারিত চায় ভারত

নির্দেশনা মানেননি পাইলট, মদিনা-ঢাকা ফ্লাইটকে নামতে হলো সিলেটে

গায়ে কেরোসিন ঢেলে কলেজছাত্রীর আত্মহনন, পলাতক ইমাম গ্রেপ্তার

মে. জে. ফজলুরের সেভেন সিস্টার্স দখলের মন্তব্য সমর্থন করে না সরকার: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ভারত–বাংলাদেশ বাণিজ্য বিধিনিষেধের মূল্য গুনছেন ব্যবসায়ীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত