নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা ওয়াসাসহ বেসরকারি নামীদামি সব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিচ্ছেন হরহামেশা। তিনি হাইকোর্ট ডিভিশনের ভুয়া বেঞ্চ অফিসার রাশেদুল ইসলাম। পড়াশোনা এসএসসি পাস। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নাকানিচুবানি খাওয়ান। থানার ওসিরা ‘স্যার’ বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলেন।
সেই রাশেদুলকে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিভাগটির (ঢাকা মেট্রো) অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘এ প্রতারক এক অঙ্গে বহুরূপী ছিলেন। বেশ কিছুদিন হাইকোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সেখান থেকেই আইন পেশায় হাত পাকিয়েছেন তিনি।’
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘বাকপটু রাশেদুল বিভিন্ন অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে—এই কথা বলে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেকগুলো অডিও বার্তা তাঁর মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গেছে।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে ২০ থেকে ২২ জনের কাছ থেকে চাকরিসহ বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দিয়ে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কথা বলার ধরন দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি আইনজীবী নন।’
বন্দুকের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধারসহ নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসেবে টাকা নিতেন রাশেদুল। সিআইডি তাৎক্ষণিকভাবে আটজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে জানান সিআইডির কর্মকর্তা ইমাম হোসেন।
রাশেদুল হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসার নামে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। কখনো নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার কখনো খুলনা ল’ কলেজের সাবেক ভিপি বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘বেঞ্চ অফিসার হিসেবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর হাত রয়েছে মর্মে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আসামিদের জামিন ও খালাস করানোসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী বলে দাবি করে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান, সিআইডির (ঢাকা পশ্চিম) সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি জিয়াউর রহমান ও পরিদর্শক রেজাউল করিম।
প্রতারণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ঢাকা ওয়াসাসহ বেসরকারি নামীদামি সব প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিচ্ছেন হরহামেশা। তিনি হাইকোর্ট ডিভিশনের ভুয়া বেঞ্চ অফিসার রাশেদুল ইসলাম। পড়াশোনা এসএসসি পাস। পুলিশ কর্মকর্তাদেরও নাকানিচুবানি খাওয়ান। থানার ওসিরা ‘স্যার’ বলতে বলতে মুখে ফেনা তোলেন।
সেই রাশেদুলকে গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মিরহাজীরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে বিভাগটির (ঢাকা মেট্রো) অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘এ প্রতারক এক অঙ্গে বহুরূপী ছিলেন। বেশ কিছুদিন হাইকোর্টের এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। সেখান থেকেই আইন পেশায় হাত পাকিয়েছেন তিনি।’
অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘বাকপটু রাশেদুল বিভিন্ন অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে—এই কথা বলে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুয়া কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন কথাবার্তার অনেকগুলো অডিও বার্তা তাঁর মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গেছে।’
এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গত দুই বছরে ২০ থেকে ২২ জনের কাছ থেকে চাকরিসহ বিভিন্ন কাজের প্রলোভন দিয়ে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর কথা বলার ধরন দেখে বোঝার উপায় নেই যে তিনি আইনজীবী নন।’
বন্দুকের লাইসেন্স করিয়ে দেওয়া, পাওনাদারের টাকা উদ্ধারসহ নানা কাজের বিনিময়ে কমিশন হিসেবে টাকা নিতেন রাশেদুল। সিআইডি তাৎক্ষণিকভাবে আটজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে প্রতারণা করে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার তথ্য পেয়েছে বলে জানান সিআইডির কর্মকর্তা ইমাম হোসেন।
রাশেদুল হাইকোর্টের বেঞ্চ অফিসার নামে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকায় অফিস ভাড়া করে দীর্ঘদিন প্রতারণা করে আসছিলেন। কখনো নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবার কখনো খুলনা ল’ কলেজের সাবেক ভিপি বলে পরিচয় দিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেছিলেন।
ইমাম হোসেন বলেন, ‘বেঞ্চ অফিসার হিসেবে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর হাত রয়েছে মর্মে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে আসামিদের জামিন ও খালাস করানোসহ কোর্টের যাবতীয় কাজে পারদর্শী বলে দাবি করে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) আজাদ রহমান, সিআইডির (ঢাকা পশ্চিম) সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি জিয়াউর রহমান ও পরিদর্শক রেজাউল করিম।
প্রতারণা সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৬ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৮ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৯ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১২ দিন আগে