নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ৩৪টি স্থানসহ ৪৫০টি স্পটে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ঝিনাইদহ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১৮ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম তুহিন রেজা। গতকাল রাতে রাজধানীর তেজগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ভিডিও এডিটর ছিলেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ বাদে রাজধানী ঢাকাসহ ৬৩টি জেলায় এই হামলা করা হয়। রাজধানীর হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, সচিবালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি-আধাসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় এই বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে চালানো এই সিরিজ বোমা হামলায় দুজন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়। একযোগে এই হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জেএমবির সদস্যরা।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরও বলেন, সিরিজ বোমা হামলায় সারা দেশের মতোই ঝিনাইদহ জেলার ডিসি অফিস, জজকোর্ট ও পায়রা বন্দরসহ কয়েকটি এলাকায় একই সময়ে একযোগে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ঝিনাইদহ কর্তৃক বিচার শেষে অভিযুক্ত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হলে আসামিদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু আসামিরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত তাঁদের অভিযোগপত্র পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন এবং ৭ জন আসামিকে খালাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে ১২ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক দুজনের মধ্যে ওই মামলার ১০ নম্বর আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পলাতক জেএমবির সদস্য তুহিন রেজাকে গতকাল রাতে তেজগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭ নম্বর আসামি মোহন এখনো পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঝিনাইদহ শহরে ডিসি অফিস, জেলা জজ আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও কলেজ মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে একযোগে বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর কার্যক্রম চালায় জেএমবি। গ্রেপ্তার তুহিন ২০০৪ সালে জেএমবির ঝিনাইদহ সদর শাখায় সদস্য হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে তিনি এই শাখার লিফলেট তৈরি, লিখিত প্রচার-প্রচারণার সম্পাদনা, গোপন ও নাশকতামূলক খবরাখবর আদান-প্রদান, ভিডিও এডিটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা বিভ্রান্তিমূলক প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে তরুণদের পথভ্রষ্ট করতেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলার দিন ভোর থেকেই অন্যান্য হামলাকারীর সঙ্গে তুহিন আদালত চত্বরের আশপাশে অবস্থান নেন এবং হামলার সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এলোপাতাড়ি বোমা হামলার পর তাঁরা বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তুহিন ১৭ আগস্ট বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে ঝিনাইদহ সদরে জঙ্গি ক্যাম্পে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কিছুদিনের মধ্যে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি প্রথমে যাত্রাবাড়ীতে, পরবর্তীতে খিলগাঁও, উত্তরা, মহাখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে বসবাস করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি তেজগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন এবং সেখান থেকেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক অবস্থায় তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারভিত্তিক কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায়। মাত্র আধা ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর ৩৪টি স্থানসহ ৪৫০টি স্পটে প্রায় ৫০০ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জেএমবি। ঝিনাইদহ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জড়িত সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ১৮ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম তুহিন রেজা। গতকাল রাতে রাজধানীর তেজগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ভিডিও এডিটর ছিলেন।
আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ বাদে রাজধানী ঢাকাসহ ৬৩টি জেলায় এই হামলা করা হয়। রাজধানীর হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, মার্কিন দূতাবাস, সচিবালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব ও সরকারি-আধাসরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় এই বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। আধা ঘণ্টার ব্যবধানে চালানো এই সিরিজ বোমা হামলায় দুজন নিহত এবং দুই শতাধিক আহত হয়। একযোগে এই হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশে নিজেদের সংঘবদ্ধ উপস্থিতির জানান দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জেএমবির সদস্যরা।
র্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরও বলেন, সিরিজ বোমা হামলায় সারা দেশের মতোই ঝিনাইদহ জেলার ডিসি অফিস, জজকোর্ট ও পায়রা বন্দরসহ কয়েকটি এলাকায় একই সময়ে একযোগে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
মামলাটি স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল ঝিনাইদহ কর্তৃক বিচার শেষে অভিযুক্ত ২১ জনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে সক্ষম হলে আসামিদের সবাইকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। কিন্তু আসামিরা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করলে আদালত তাঁদের অভিযোগপত্র পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন এবং ৭ জন আসামিকে খালাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্ত ১৪ জন আসামির মধ্যে ১২ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। পলাতক দুজনের মধ্যে ওই মামলার ১০ নম্বর আসামি ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পলাতক জেএমবির সদস্য তুহিন রেজাকে গতকাল রাতে তেজগাঁও রেলগেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৭ নম্বর আসামি মোহন এখনো পলাতক রয়েছেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে র্যাব জানায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট ঝিনাইদহ শহরে ডিসি অফিস, জেলা জজ আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও কলেজ মোড়সহ বেশ কয়েকটি স্থানে একযোগে বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর কার্যক্রম চালায় জেএমবি। গ্রেপ্তার তুহিন ২০০৪ সালে জেএমবির ঝিনাইদহ সদর শাখায় সদস্য হিসেবে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে তিনি এই শাখার লিফলেট তৈরি, লিখিত প্রচার-প্রচারণার সম্পাদনা, গোপন ও নাশকতামূলক খবরাখবর আদান-প্রদান, ভিডিও এডিটিংয়ের মাধ্যমে তৈরি করা বিভ্রান্তিমূলক প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে তরুণদের পথভ্রষ্ট করতেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হামলার দিন ভোর থেকেই অন্যান্য হামলাকারীর সঙ্গে তুহিন আদালত চত্বরের আশপাশে অবস্থান নেন এবং হামলার সময় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এলোপাতাড়ি বোমা হামলার পর তাঁরা বিভিন্ন দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, তুহিন ১৭ আগস্ট বোমা হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে ঝিনাইদহ সদরে জঙ্গি ক্যাম্পে কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকেন। এরপর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হলে এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে কিছুদিনের মধ্যে পালিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। এখানে তিনি প্রথমে যাত্রাবাড়ীতে, পরবর্তীতে খিলগাঁও, উত্তরা, মহাখালীসহ বিভিন্ন জায়গায় স্থান পরিবর্তন করে বসবাস করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি তেজগাঁও এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতে থাকেন এবং সেখান থেকেই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পলাতক অবস্থায় তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভিডিও এডিটিংসহ বিভিন্ন সফটওয়্যারভিত্তিক কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
পুলিশের চলমান বিশেষ অভিযানে রাজধানীসহ সারা দেশে আরও ১ হাজার ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৮৪৮ এবং অন্যান্য অপরাধে জড়িত ৩৩২ জন।
৬ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
১৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
১৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
১৭ দিন আগে