নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীতে পকেটমার চক্রের নারী সদস্যসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী লালবাগ থানার আজিমপুর এলাকায় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আজিমপুর শাখা) মেইন গেটের বিপরীত ও শাহবাগ থানার গুলিস্তান এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাহাবুব হোসেন (৩২), মো. মোক্তার হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৪২), মো. ইমরান হোসেন (২০), বর্ষা আক্তার ওরফে মীম (২২), সুমি আক্তার প্রিয়া (২৩), শাবনুর (২৭), আলেয়া ওরফে আলো (২১), সাথী আক্তার (২৬), ছৈয়দ হালদার (৪০), মো. আশরাফ ঢালী (৩৮), মো. জাকির হোসেন (৩৯), মোছা. ছকিনা বেগম (৪৩), সুজনা আক্তার ওরফে সুজিনা আক্তার ওরফে রুশকিনা (২৬), মোসা. তানিয়া খানম (২৭) ও তাসলিমা খাতুন (৩৭)।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান বলেন, চক্রটি বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল, স্কুল-কলেজের সামনে, শপিং মলে শিশু কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। সুযোগ পেলেই তারা নারীদের ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা তুলে নিয়ে সটকে পড়ত। কখনো বোরকা পরা পর্দানশীল নারী, আবার কখনো শিশু কোলে স্নেহময়ী মা হয়ে ঘুরে বেড়াতেন তাঁরা। পর্দানশীল মায়ের পরিচয়ে মুহূর্তেই ঢুকে যেতেন জনস্রোতে। চোখের পলকে নারী ও পুরুষের পকেট বা ব্যাগ কেটে চুরি করে নিতেন নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং ব্যাগে রাখা স্বর্ণালংকার। এসব বিক্রি করা হতো মহাজনের কাছে। আর এই মহাজনেরা লাখ টাকার একটি ঝকঝকে আইফোনের জন্য দিতেন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাজধানীর একটি শপিংমলে এক নারীর ব্যাগ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত কেটে পড়ছেন আলেয়া। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি মোবাইল চুরির কাজে যুক্ত হন।
মশিউর রহমান আরও বলেন, তাঁরা একটি অভ্যাসগত ও সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগরের নিউমার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে ভ্যানেটি ব্যাগ বহনকারী নারীদের ব্যাগের চেইন খুলে এবং পুরুষদের শার্ট-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করতেন। লালবাগ থানাধীন আসামি মো. মাহাবুব হোসেন, মো. মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও মো. ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন চুরি করার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নিতেন এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চোরদের মধ্যে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতেন। গ্রেপ্তার এই পকেটমাররা সবাই পলাতক আসামি। তাঁদের আরও চার-পাঁচজন সহযোগী আশপাশের এলাকায় মোবাইল ফোন চুরি করেন এবং চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রযি করার জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, একইভাবে শাহবাগ থানাধীন আসামিরা ঢাকা মহানগরের গুলিস্তান, গোলাপ শাহ মাজার, ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে একই কৌশলে পকেট মারতেন। এই পকেটমার চক্রে তাঁদের আরও দু-তিনজন সহযোগী আছেন। আসামি ছৈয়দ, আশরাফ, জাকিরসহ আরও কয়েকজন পকেট মারার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নিতেন এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে তাঁদের মধ্যে টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে দিতেন। এরাও পলাতক আসামি। তাঁদের আরও দু-তিনজন সহযোগী আশপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি করে এবং চোরাই মোবাইল বিক্রয় করার জন্য ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজারের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মশিউর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে নারী পকেটমারের সংখ্যা কত, সেটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। তবে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ২০-২৫ জনের নাম জেনেছি। রাজধানীতে অনেক মানুষই রয়েছেন, যাঁরা মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে জিডিও করেন না। আমরা যে ৪০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি, তার মধ্যে একটি মোবাইল ফোনের জিডি রয়েছে।’ মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
রাজধানীতে পকেটমার চক্রের নারী সদস্যসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানী লালবাগ থানার আজিমপুর এলাকায় ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের (আজিমপুর শাখা) মেইন গেটের বিপরীত ও শাহবাগ থানার গুলিস্তান এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৪০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মাহাবুব হোসেন (৩২), মো. মোক্তার হোসেন (৪০), রফিকুল ইসলাম (৪২), মো. ইমরান হোসেন (২০), বর্ষা আক্তার ওরফে মীম (২২), সুমি আক্তার প্রিয়া (২৩), শাবনুর (২৭), আলেয়া ওরফে আলো (২১), সাথী আক্তার (২৬), ছৈয়দ হালদার (৪০), মো. আশরাফ ঢালী (৩৮), মো. জাকির হোসেন (৩৯), মোছা. ছকিনা বেগম (৪৩), সুজনা আক্তার ওরফে সুজিনা আক্তার ওরফে রুশকিনা (২৬), মোসা. তানিয়া খানম (২৭) ও তাসলিমা খাতুন (৩৭)।
আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।
মশিউর রহমান বলেন, চক্রটি বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল, স্কুল-কলেজের সামনে, শপিং মলে শিশু কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াত। সুযোগ পেলেই তারা নারীদের ব্যাগ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা তুলে নিয়ে সটকে পড়ত। কখনো বোরকা পরা পর্দানশীল নারী, আবার কখনো শিশু কোলে স্নেহময়ী মা হয়ে ঘুরে বেড়াতেন তাঁরা। পর্দানশীল মায়ের পরিচয়ে মুহূর্তেই ঢুকে যেতেন জনস্রোতে। চোখের পলকে নারী ও পুরুষের পকেট বা ব্যাগ কেটে চুরি করে নিতেন নগদ টাকা, মোবাইল ফোন এবং ব্যাগে রাখা স্বর্ণালংকার। এসব বিক্রি করা হতো মহাজনের কাছে। আর এই মহাজনেরা লাখ টাকার একটি ঝকঝকে আইফোনের জন্য দিতেন ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাজধানীর একটি শপিংমলে এক নারীর ব্যাগ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা নিয়ে দ্রুত কেটে পড়ছেন আলেয়া। ১০ বছর বয়স থেকে তিনি মোবাইল চুরির কাজে যুক্ত হন।
মশিউর রহমান আরও বলেন, তাঁরা একটি অভ্যাসগত ও সংঘবদ্ধ চোর দলের সদস্য। দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা মহানগরের নিউমার্কেট, আজিমপুরসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে বিশেষ কৌশলে ভ্যানেটি ব্যাগ বহনকারী নারীদের ব্যাগের চেইন খুলে এবং পুরুষদের শার্ট-প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরি করতেন। লালবাগ থানাধীন আসামি মো. মাহাবুব হোসেন, মো. মোক্তার হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও মো. ইমরান হোসেনসহ আরও কয়েকজন চুরি করার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নিতেন এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে চোরদের মধ্যে টাকা ভাগ-বাঁটোয়ারা করে দিতেন। গ্রেপ্তার এই পকেটমাররা সবাই পলাতক আসামি। তাঁদের আরও চার-পাঁচজন সহযোগী আশপাশের এলাকায় মোবাইল ফোন চুরি করেন এবং চোরাই মোবাইল ফোন বিক্রযি করার জন্য ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন।
তিনি বলেন, একইভাবে শাহবাগ থানাধীন আসামিরা ঢাকা মহানগরের গুলিস্তান, গোলাপ শাহ মাজার, ফুলবাড়িয়াসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, স্কুল-কলেজ, মার্কেটে ও হাসপাতালে একই কৌশলে পকেট মারতেন। এই পকেটমার চক্রে তাঁদের আরও দু-তিনজন সহযোগী আছেন। আসামি ছৈয়দ, আশরাফ, জাকিরসহ আরও কয়েকজন পকেট মারার কাজে কখনো কখনো সরাসরি অংশ নিতেন এবং এই চোরাই মোবাইল বিক্রি করে তাঁদের মধ্যে টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করে দিতেন। এরাও পলাতক আসামি। তাঁদের আরও দু-তিনজন সহযোগী আশপাশের এলাকায় মোবাইল চুরি করে এবং চোরাই মোবাইল বিক্রয় করার জন্য ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজারের আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন।
গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। মশিউর রহমান বলেন, ‘রাজধানীতে নারী পকেটমারের সংখ্যা কত, সেটা আমরা এখনো জানতে পারিনি। তবে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ২০-২৫ জনের নাম জেনেছি। রাজধানীতে অনেক মানুষই রয়েছেন, যাঁরা মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে জিডিও করেন না। আমরা যে ৪০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছি, তার মধ্যে একটি মোবাইল ফোনের জিডি রয়েছে।’ মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা।
গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
১৫ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪