ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁদের ছেলেরা পলাতক। গতকাল রোববার রাত ১০টার সময় সখীপুর থানার সখীপুর ইউনিয়নে নইমউদ্দিন সরদারকান্দি ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন স্বামী ফজলুর বেপারী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগম, ছেলে সাগর বেপারী ও বিল্লাল বেপারী।
এদিকে নিহত নুরজাহান বেগম সখীপুর ইউনিয়নের নইমউদ্দিন সরদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং ফজলুর বেপারীর প্রথম স্ত্রী। নুজাহানের মামুন ও জেসমীন নামে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর বেপারীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী নুরজাহান বেগম থাকেন সখীপুরে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগমকে নিয়ে তিনি থাকতেন কাচিকাটায়। কয়েক দিন আগে কাচিকাটার ঘরবাড়ি ভেঙে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবার নিয়ে তিনি চলে আসেন সখীপুরে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে এসে তিনি প্রথম স্ত্রীকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবার নিয়ে থাকতে চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কলহ।
গতকাল ফজলুর বেপারী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগম, ছেলে সাগর বেপারী ও বিল্লাল বেপারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুজাহানের ঘরে ঢোকেন। ফজলুর তাঁর প্রথম স্ত্রী নুরজাহানকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি ঘর থেকে বের না হলে মোরসেদা বেগম ও তাঁর দুই ছেলে নুজাহানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে এগিয়ে এলে প্রতিবেশী মো. মিন্টু নামে একজনকে কোপ দেন বিল্লাল বেপারী। পরে নুরজাহানের ছেলে মামুন ও তাঁর মেয়ে জেসমীন ও মেয়ের জামাইকে কুপিয়ে জখম করেন।
পরে প্রতিবেশীরা আহত নুরজাহানকে ভেদরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। শরীয়তপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় পাঠান। এরপর ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে আহত জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মাকে আমার বাবা ও সৎভাই সাগর ও বিল্লাল বেপারী সব সময় মারধর করত। আমি ঢাকায় গাজীপুরে চাকরি করি। আমার মা আমাকে বলে, ‘‘জেসমিন আমাকে প্রতিনিয়ত তোর বাবা মারে তুই দেশে আয় আমাকে নিয়ে যা।’’ পরে আমি গতকাল সন্ধ্যা ৬টার সময় গ্রামের বাড়ি সখীপুরে আসি। রাত ৯টার সময় আমি আমার চাচাদের বাসায় টিভি দেখছিলাম। পরে আমার মায়ের চিৎকার শুনে ঘরে এসে দেখি আমার মাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি জিজ্ঞেস করলে আমার বাবা আমাকেও মেরে ফেলতে বলে। সাগর আমাকে ও আমার স্বামীকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি এই হামলার উপযুক্ত বিচার চাই। আমি আমার বাবা ও ওই পশুদের ফাঁসি চাই।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওবায়দুল রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎছেলেরা মিলে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে। পরে ঢাকায় নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। পরে আজ সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে মামুন বেপারী সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে দ্বিতীয় স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রী নুরজাহান বেগমকে (৫০) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁদের ছেলেরা পলাতক। গতকাল রোববার রাত ১০টার সময় সখীপুর থানার সখীপুর ইউনিয়নে নইমউদ্দিন সরদারকান্দি ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন স্বামী ফজলুর বেপারী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগম, ছেলে সাগর বেপারী ও বিল্লাল বেপারী।
এদিকে নিহত নুরজাহান বেগম সখীপুর ইউনিয়নের নইমউদ্দিন সরদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এবং ফজলুর বেপারীর প্রথম স্ত্রী। নুজাহানের মামুন ও জেসমীন নামে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
প্রতিবেশী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, ফজলুর বেপারীর দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী নুরজাহান বেগম থাকেন সখীপুরে। আর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগমকে নিয়ে তিনি থাকতেন কাচিকাটায়। কয়েক দিন আগে কাচিকাটার ঘরবাড়ি ভেঙে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবার নিয়ে তিনি চলে আসেন সখীপুরে প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে এসে তিনি প্রথম স্ত্রীকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর পরিবার নিয়ে থাকতে চান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় কলহ।
গতকাল ফজলুর বেপারী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী মোরসেদা বেগম, ছেলে সাগর বেপারী ও বিল্লাল বেপারী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নুজাহানের ঘরে ঢোকেন। ফজলুর তাঁর প্রথম স্ত্রী নুরজাহানকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু তিনি ঘর থেকে বের না হলে মোরসেদা বেগম ও তাঁর দুই ছেলে নুজাহানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। পরে চিৎকার-চেঁচামেচির শব্দ শুনে এগিয়ে এলে প্রতিবেশী মো. মিন্টু নামে একজনকে কোপ দেন বিল্লাল বেপারী। পরে নুরজাহানের ছেলে মামুন ও তাঁর মেয়ে জেসমীন ও মেয়ের জামাইকে কুপিয়ে জখম করেন।
পরে প্রতিবেশীরা আহত নুরজাহানকে ভেদরগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠাতে বলেন। শরীয়তপুরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকায় পাঠান। এরপর ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে আহত জেসমিন আক্তার বলেন, ‘আমার মাকে আমার বাবা ও সৎভাই সাগর ও বিল্লাল বেপারী সব সময় মারধর করত। আমি ঢাকায় গাজীপুরে চাকরি করি। আমার মা আমাকে বলে, ‘‘জেসমিন আমাকে প্রতিনিয়ত তোর বাবা মারে তুই দেশে আয় আমাকে নিয়ে যা।’’ পরে আমি গতকাল সন্ধ্যা ৬টার সময় গ্রামের বাড়ি সখীপুরে আসি। রাত ৯টার সময় আমি আমার চাচাদের বাসায় টিভি দেখছিলাম। পরে আমার মায়ের চিৎকার শুনে ঘরে এসে দেখি আমার মাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমি জিজ্ঞেস করলে আমার বাবা আমাকেও মেরে ফেলতে বলে। সাগর আমাকে ও আমার স্বামীকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি এই হামলার উপযুক্ত বিচার চাই। আমি আমার বাবা ও ওই পশুদের ফাঁসি চাই।’
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ওবায়দুল রহমান বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী ও সৎছেলেরা মিলে প্রথম স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে। পরে ঢাকায় নেওয়ার সময় তিনি মারা যান। পরে আজ সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শরীয়তপুর সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে নিহত ব্যক্তির ছেলে মামুন বেপারী সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে