নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় অনলাইন জুয়ার সাইট। দেশে নিয়োগ দেওয়া হয় এর ম্যানেজার। এসব ম্যানেজার জুয়ার টাকা সংগ্রহ করে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন। অনলাইনে জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মোহাম্মদপুর, বনশ্রী ও আগারগাঁও এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আজ রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রেজাউল করিম (৩১), মো. সৈকত রহমান (৩০), মো. সাদিকুল ইসলাম (২৮), নাজমুল আহসান (৩০), মো. তৌহিদ হোসেন (২৫) ও মো. জাকির হোসেন (৩৪)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন, ২১টি সিম, ৪টি ল্যাপটপ, ৭টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ২টি ট্যাব ও নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
আজাদ রহমান জানান, নিয়মিত মনিটরিংকালে অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম মেল বেট, ওয়ান এক্স বেট ও বেট উইনার নামক তিনটি সাইট পাওয়া যায়। সাইবার পুলিশের সদস্যরা দেখতে পান যে, সাইটগুলোতে দেশের প্রচুর গ্রাহক বেটিং বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করছে।
সিআইডি জানায়, রাশিয়া থেকে মূলত এসব অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়। জুয়ার এজেন্টরা এসব অ্যাপস পরিচালনা করতে পারে টেকনিক্যালি দক্ষ এমন লোক রাখেন।
গ্রেপ্তার রেজাউল করিম তাঁর বাসায় ৭টি কম্পিউটার ও ৪টি ল্যাপটপ নিয়ে টেকনিক্যালি দক্ষ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আইটি ল্যাব তৈরি করে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। জুয়ার টাকা লেনদেনের জন্য তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন গ্রেপ্তার সাদিকুল ও জাকির হোসেনের মতো মোবাইলে অর্থসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) এজেন্ট। গ্রেপ্তার নাজমুল ও তৌহিদদের মতো এমএফএস ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহযোগিতায় এই চক্র এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে অনলাইন জুয়ার কাজগুলো নির্বিঘ্নে করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি বলছে, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে। শরীয়তপুরের বাসিন্দা মতিউর রহমান যিনি রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তিনি মূলত এই সাইটগুলোর বাংলাদেশের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে রয়েছেন যশোরের আশিকুর রহমান। এই দুজন এবং গ্রেপ্তার সৈকত ও রেজাউল এই চারজনের সমন্বয়ে বাংলাদেশে এ তিনটি ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাঁদের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টরা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত এমএফএস (এজেন্ট সিম) ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে। প্রতি মাসে এই চক্রটি এমএফএস এবং বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে।
রাশিয়া থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় অনলাইন জুয়ার সাইট। দেশে নিয়োগ দেওয়া হয় এর ম্যানেজার। এসব ম্যানেজার জুয়ার টাকা সংগ্রহ করে মোবাইলে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেন। অনলাইনে জুয়ার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মোহাম্মদপুর, বনশ্রী ও আগারগাঁও এবং সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আজাদ রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আজ রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. রেজাউল করিম (৩১), মো. সৈকত রহমান (৩০), মো. সাদিকুল ইসলাম (২৮), নাজমুল আহসান (৩০), মো. তৌহিদ হোসেন (২৫) ও মো. জাকির হোসেন (৩৪)। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন, ২১টি সিম, ৪টি ল্যাপটপ, ৭টি ডেস্কটপ কম্পিউটার, ২টি ট্যাব ও নগদ প্রায় ৪ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
আজাদ রহমান জানান, নিয়মিত মনিটরিংকালে অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম মেল বেট, ওয়ান এক্স বেট ও বেট উইনার নামক তিনটি সাইট পাওয়া যায়। সাইবার পুলিশের সদস্যরা দেখতে পান যে, সাইটগুলোতে দেশের প্রচুর গ্রাহক বেটিং বা জুয়া খেলায় অংশগ্রহণ করছে।
সিআইডি জানায়, রাশিয়া থেকে মূলত এসব অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য ম্যানেজার নিয়োগ করা হয়। ম্যানেজার বাংলাদেশে জুয়ার এজেন্ট হিসেবে বিশ্বস্তদের নিয়োগ দেয়। জুয়ার এজেন্টরা এসব অ্যাপস পরিচালনা করতে পারে টেকনিক্যালি দক্ষ এমন লোক রাখেন।
গ্রেপ্তার রেজাউল করিম তাঁর বাসায় ৭টি কম্পিউটার ও ৪টি ল্যাপটপ নিয়ে টেকনিক্যালি দক্ষ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে আইটি ল্যাব তৈরি করে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করছিলেন। জুয়ার টাকা লেনদেনের জন্য তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন গ্রেপ্তার সাদিকুল ও জাকির হোসেনের মতো মোবাইলে অর্থসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের (এমএফএস) এজেন্ট। গ্রেপ্তার নাজমুল ও তৌহিদদের মতো এমএফএস ডিস্ট্রিবিউশন হাউসের কিছু অসাধু কর্মচারীর সহযোগিতায় এই চক্র এজেন্ট সিম সংগ্রহ করে অনলাইন জুয়ার কাজগুলো নির্বিঘ্নে করত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডি বলছে, চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকা এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই জুয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করে। শরীয়তপুরের বাসিন্দা মতিউর রহমান যিনি রাশিয়ার মস্কোতে আছেন। তিনি মূলত এই সাইটগুলোর বাংলাদেশের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে রয়েছেন যশোরের আশিকুর রহমান। এই দুজন এবং গ্রেপ্তার সৈকত ও রেজাউল এই চারজনের সমন্বয়ে বাংলাদেশে এ তিনটি ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাঁদের মাধ্যমে জুয়ার এজেন্টরা ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত এমএফএস (এজেন্ট সিম) ব্যবহার করে সারা বাংলাদেশ থেকে জুয়াড়িদের টাকা সংগ্রহ করে। প্রতি মাসে এই চক্রটি এমএফএস এবং বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা লেনদেন করে।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৩ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১২ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫