Ajker Patrika

সরকারি কর্মকর্তাকে মারধর করে টাকা লুট, গ্রেপ্তার ৫ 

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
Thumbnail image

সরকারি কর্মকর্তাকে প্রাইভেটকারে তুলে মারধর করে ২ লাখ টাকা লুটে নেয় ডাকাত দল। পরে এ কথা কাউকে না বলার জন্য ভুক্তভোগীকে শপথ করিয়ে ছেড়ে দেন তাঁরা। ঘটনার প্রায় ১৫ দিন পর জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে একটি প্রাইভেট কারও। 

আজ বুধবার দুপুরে তাঁদের ঢাকা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর ও গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন—চাঁদপুর জেলার মতলবপুর থানার উত্তর ছেঙ্গারচর গ্রামের মো. মোক্তার হোসেন (৩৮), বরিশাল জেলার বিমানবন্দর থানার রহমতপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী (৪৮) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার শিবপুর গ্রামের হান্নান ওরফে হানিফ (২৫) বরিশাল সদরের মফিজুল ইসলাম সোহেল (৩৮) চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার ইছাখালি গ্রামের মো. আনোয়ার (৪৫)। তাদের কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে। তবে উদ্ধার হয়নি লুণ্ঠিত টাকা। 

পুলিশ জানায়, গত ২৭ নভেম্বর বিকেলে যাত্রীবেশে তারা (ডাকাতদল) ধামরাই ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উপজেলা কার্যালয়ের উপসহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে প্রাইভেটকারে ওঠায়। পরে প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে থাকা ডাকাতদল তাঁকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে স্বজনদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা লুট করে। পরে ৩ ঘণ্টা পরে গাজীপুরের কড্ডা এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় গ্রেপ্তাররা। 

ভুক্তভোগী আতাউর রহমান বলেন, ‘আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন একটি প্রাইভেট কার এসে আমাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার কথা বললে আমি রাজি হয়ে তাদের গাড়িতে উঠি। গাড়িতে যাত্রীবেশে যারা ছিল তারা আমাকে মারধর করে আমার কাছে থাকা সমস্ত টাকা পয়সা ও মোবাইল লুটে নেয়। 

 ‘তাদের কথা মতো আমি আমার স্বজনদের কাছ থেকে আরও ২ লাখ টাকা এনে দিলে আমাকে ছেড়ে দেয় তারা। গাড়ি থেকে নামানোর আগে আমাকে আমার মায়ের নামে শপথ করায় আমি যেন এই কথা কারও কাছে না বলি।’ যুক্ত করেন আতাউর রহমান। 

ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) মোবাশশিরা হাবিব খান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তারা নিয়মিত গাজীপুর, আশুলিয়া, ধামরাইসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তারা এমন অপরাধ করত। প্রায়ই এমন ঘটনার কথা শোনা যায় যে প্রাইভেটকারে যাত্রী বেশে ছিনতাই কিংবা ডাকাতি হয়েছে। এসব ঘটনা এড়াতে যাত্রী বা ভুক্তভোগীদের সচেতনতা বাড়াতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত