Ajker Patrika

বাড়ি আর গোডাউনে তৈরি হচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ ও প্রসাধনী!

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২১, ২৩: ২৭
বাড়ি আর গোডাউনে তৈরি হচ্ছে বিদেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ ও প্রসাধনী!

বসতবাড়ি বা গোডাউনেই তৈরি হচ্ছে প্রসাধনী ও ওষুধ। ভরা হচ্ছে দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের মোড়কে। সেগুলোই পৌঁছে যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার দোকানে। এভাবে দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর চকবাজারে একটি চক্র এমন নকল ওষুধ ও প্রসাধনী তৈরি করে আসছে। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ, প্রসাধনী তৈরি ও বাজারজাত করার অভিযোগে চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তি হলেন মো. আলতাফ হোসেন, মো. সোহেল হাওলাদার ও মো. সালমান।

গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) লালবাগ বিভাগের অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ফজলুর রহমান জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার চকবাজার থানায় পৃথক দুটি অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের নকল ওষুধ ও প্রসাধনী উদ্ধার করা হয়েছে।

চকবাজারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার নকল ওষুধ ও প্রসাধনী

এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, গতকাল বিকেল ৪টায় চকবাজার থানার দেবীদাস লেন ৩৯ /১-এর বাসায় অভিযান চালিয়ে আলতাফ, সোহেল ও সালমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ৩৫ কার্টন জনসনস বেবি লোশন, লুচি অলিভা অলিভ ওয়েল, ইমামী ৭ অয়েল, ক্লিন অ্যান্ড ক্লিয়ার ফোমিং ফেসওয়াশ, ডাবর ভাটিকা এনরিচড কোকোনাট হেয়ার অয়েল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১৫২ বোতল ডাবর হেয়ার অয়েল, জনসনস মিল্ক রাইস বাথ, জনসনস বেবি শ্যাম্পু, ৪৮টি জাফরান হেয়ার গ্রোথ থেরাপি, ন্যাচারাল স্কিন কেয়ার জনসন’স অলিভ অয়েল ও ১০০ পাতা লুচি অলিভা ওয়েল ও জনসনস বেবি লোশনের লেবেল উদ্ধার করা হয়েছে। 

চকবাজারে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার নকল ওষুধ ও প্রসাধনীঅপর আরেক অভিযান সম্পর্কে তিনি জানান, একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় দেবীদাস লেন ৪১ /১ /ডি-এর আরেকটি বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জড়িতরা পালিয়ে যায়। অভিযানে ১ হাজার ২০০ পিচ ভারতীয় কোম্পানির ওষুধ বেটামিথাসন ভেলিরেট অ্যান্ড নিওমাইসিন স্কিন ক্রিম, ১ হাজার পিচ নিধি অ্যান্ড লাভলি অ্যাডভান্সড মাল্টি ভিটামিন স্কিন ক্রিম, ২৫০ পিচ নিধি নিউ ফেইস হোয়াইট পার্ল স্কিন স্নো ও ৫০০ পিচ ফাইজার ভিক্টরি টারমারিক স্কিন ব্রাইটেনিং ক্রিম উদ্ধার করা হয়। 

পুলিশের এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও বলেন, নকল ওষুধ এবং প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির কারখানায় কোনো কেমিস্ট ও ল্যাবরেটরি নেই। গ্রেপ্তারকৃতরা কারখানায় তৈরি নকল ওষুধ এবং প্রসাধনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। এসব নকল ওষুধ এবং প্রসাধনী মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। 

পলাতক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। অভিযানে নকল প্রসাধনী ও ওষুধ উদ্ধারের ঘটনায় চকবাজার থানায় দুটি পৃথক মামলা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত