উপসম্পাদকীয়

‘জয় বাংলার’ জয়—১৯৭১ সালের ৫ মার্চ এটাই ছিল দৈনিক ইত্তেফাকের শিরোনাম। সাংবাদিকতার ছাত্রমাত্রই জানেন, শিরোনাম তৈরিতে সিরাজুদ্দীন হোসেন ছিলেন অতুলনীয়। ৩ মার্চ প্রকাশিত ইত্তেফাক পত্রিকার প্রধান শিরোনাম তিনি দিয়েছিলেন ‘বিক্ষুব্ধ নগরীর ভয়াল গর্জন’।

জাতীয় ঐক্যের কথা বলতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে কার বিরুদ্ধে ঐক্য এবং কিসের জন্য ঐক্য। কার বিরুদ্ধে ঐক্য সেটা একাত্তর সালে আমরা জানতাম, ঐক্য ছিল পাকিস্তানি শোষকের বিরুদ্ধে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ গড়ার জন্য ঐক্য। এখন ওই ঐক্য নেই। এখন প্রতিটি মানুষ কেবল নিজের সমৃদ্ধি নিয়ে ভাবছে। নিজের স্বার্থ দেখ

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদের শাসন থেকে মুক্ত উচ্ছ্বসিত সিরিয়ানদের মূর্তি ভাঙার ছবি দেখার এবং বন্দীদের আনন্দধ্বনি শোনার সময় ভালো না লাগাটা কঠিন। বন্দিশালায় এদের অনেকেই হয়তো অত্যাচারিত ও ক্ষুধার্ত ছিলেন। এখন অন্ধকূপ থেকে তাঁরা মুক্তি পেয়েছেন। বাশার আল-আসাদের সিরিয়া বিরোধীদের জন্য নৃশংস ছিল। ১

পাকিস্তানপন্থী সংবাদপত্রগুলো ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়টা পাকিস্তান সরকারের তাঁবেদারি করেছে। শুধু তাঁবেদারি করেছে, তা নয়, মুক্তিকামী সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামীর মুখপত্র দৈনিক সংগ্রাম। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও ছিল। অধিকাংশ পত্রিকার সাংবাদিকেরা বাংলার এই আন্দোলনকে সম

বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বড় এক অধ্যায় রচিত হয় জঙ্গিদমন অভিযানে, কিন্তু সেটা মানুষের কাছে অজানাই রয়ে গেছে। এর কারণ হচ্ছে, সংবাদমাধ্যমে শুধু সরকার ও তার বাহিনীর বয়ান তুলে ধরা, যেখানে কতটা দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে তারা জঙ্গিবাদ মোকাবিলা করেছে সে চিত্র ফুটে উঠত।

এই ভূখণ্ডের মানুষের সংগ্রামের ইতিহাস যেমন দীর্ঘ, তেমনি সেই সব সংগ্রামের সাফল্য বা বিজয় বেহাত হওয়ার ইতিহাসও কম দীর্ঘ নয়। এক ইংরেজ শাসনামলেই এখানকার মানুষের সাহসী ও প্রবল সংগ্রামের তিন-চারটি পর্যায় আছে। প্রথম পর্যায়ের সংগ্রামের সূচনা হয়েছিল ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাদের কাছে নবাব সি

উজ্জয়িনীর সম্রাট ছিলেন বিক্রমাদিত্য। সম্রাট বিক্রমাদিত্যের নবরত্ন সভা ছিল। সেই সময়কার বিখ্যাত ৯ জন পণ্ডিত এই সভাকে অলংকৃত করতেন। সম্রাট বিক্রমাদিত্য এই নবরত্নদের আদেশ-উপদেশ মেনে রাজ্য পরিচালনা করতেন। নবরত্নদের মধ্যে ছিলেন অমর সিংহ, কালিদাস, ক্ষপণক, আর্যভট্ট, ধন্বন্তরি, বরাহমিহির, বররুচি, বেতাল ভট্ট

যুদ্ধের সময় অবরুদ্ধ নগরীতে সাংবাদিকতা করা ছিল কঠিন। তবে যারা পাকিস্তানি বাহিনীর তাঁবেদারি করেছে, তারা তখন কোনো ধরনের সমস্যায় পড়েনি বরং পাকিস্তানি সরকারের সুনজরে ছিল।

বিজয়ের মাসে যে লেখাটি লিখতে চাইছি, তাতে একাত্তরের সাংবাদিকতার কথাই থাকবে। অবরুদ্ধ বাংলায় স্বাধীনতাকামী সংবাদপত্রগুলো কীভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, সে কথা বলতে হবে। একই সঙ্গে পাকিস্তানিদের দালাল হয়ে যারা সাংবাদিক হত্যায় অংশ নিয়েছে, তাদের কথাও বলা হবে। ১৯৭১ সালের বাস্তবতা দিয়ে সে সময়টি বিশ্লেষণ...

কয়েক দিন আগে দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে বেড়াতে গিয়েছিলাম। আধা কিলোমিটার, এক কিলোমিটার পরপর রাস্তার পাশে ওয়াজ মাহফিলের ব্যানার-পোস্টার। কোথাও কোথাও প্যান্ডেলের কাজ চলছে, সমানতালে চলছে ছোট ছোট মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের দিয়ে চাঁদা তোলা।

বাংলাদেশে গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। সংবাদপত্র অফিসে হামলা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হত্যার মতো গুরুতর মামলায় নাম অন্তর্ভুক্তি এবং প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের পদক্ষেপগুলো কেবল গণমাধ্যমের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে না, বরং...

বড় একটা কারণ হলো, দিল্লি শুধু বিগত সরকারের সঙ্গে বা আরও নির্দিষ্ট করে বললে শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। আবার এটাও বলা যেতে পারে দলের সঙ্গে দলের সম্পর্ক তৈরি করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তাতে যেটা হয়েছে, জনগণের মধ্যে ভারত সম্পর্কে যেসব নেতিবাচক বিষয় ছিল,

জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অধ্যাপক ড. ‍মুহাম্মদ ইউনূস যেদিন (৮ আগস্ট) দেশে এলেন, সেদিন বিমানবন্দরে তিনি গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, ‘আমরা একটা পরিবার। আমাদের নানা মত, ধর্ম, রীতিনীতি থাকবে, কিন্তু আমরা সবাই একটা পরিবারের সদস

সংবাদমাধ্যমে জেন্ডার সমতা ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সম্প্রতি হয়ে গেল এক সেমিনার। সেই সেমিনারে ‘সংবাদমাধ্যমে জেন্ডারবিষয়ক অঙ্গীকার সনদ’ উপস্থাপন করা হয়। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশীজন তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরেন। বিভিন্ন পেশা এবং পারিবারিকভাবে দেশে নারীর অবস্থান, বৈষম্য এবং তাঁদের ওপর সহিংসতার

বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী নানা অপপ্রচারসহ চলমান সমস্যা-সংকট মোকাবিলায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন, তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো। ইতিমধ্যে আমরা সবাই জেনে গেছি, গত বুধবার জাতীয় ঐক্যের

ইতিহাসে অনেক কিছুই স্থান পায় না। হয়তো ইতিহাস পর্যন্ত সেসব খবর পৌঁছায় না৷ দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার ৫ নং ভাবকী ইউনিয়নের গুলিয়াড়া গ্রামের প্রয়াত মদনমোহন বর্মন ইংরেজ সরকারের সিভিল বিভাগে কর্মরত ছিলেন। পাশাপাশি এ পরিবারটি একটি সম্ভ্রান্ত বা অভিজাত পরিবার হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিল ৷ জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃ

ভারতের মিডিয়াগুলো এর মধ্যে দেখেছেন? অনলাইনে আজকাল সহজেই দেশ-বিদেশের মিডিয়া দেখা যায়। প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া চাইলেই দেখা যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়া তো আপনার মোবাইলেই উঁকিঝুঁকি মারে। কাজেই না দেখে উপায় থাকে না। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে—এসব মিডিয়ার দিকে তাকালে বিভ্রান্ত হতে হয়, আতঙ্কিত হতে হয়। ক্ষণিকের জন