নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
২০ বছর আগে তিন ভাই-বোনের হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এ রায় দেন।
২০০৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তারা হলেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও ইউসুফ ওরফে বাইট্টা ইউসুফ (৭০)।
মামলায় অন্য আসামি শিবির ক্যাডার মো. নাছির ও ফয়েজ মুন্না র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক।
মামলার এজাহার ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে হত্যার শিকার সাইফুল, তাঁর ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারার সঙ্গে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরোধ ছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন নগরের বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করেন আসামিরা। হামলায় ছিলেন শিবির ক্যাডার গিট্টু নাছির, তাঁর সহযোগী ফয়েজ মুন্না ও আজরাইল দেলোয়ার। সঙ্গে ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত কাশেম ও ইউসুফ।
আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাঁকে প্রথমে গুলি করেন ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আলমগীরকে গুলি করেন মুন্না। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ঘর থেকে সাইফুল বের হলে কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন থানায়। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচারকাজ শেষ করে এ রায় ঘোষণা করলেন বিচারক।
এ বিষয়ে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এম এ ফয়েজ বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তিন ভাই-বোন হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে আসামি কাশেম ও ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজার পরোয়ানামূলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ফয়েজ আরও বলেন, ‘আলোচিত এ মামলা প্রমাণ করতে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।’
২০ বছর আগে তিন ভাই-বোনের হত্যার মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদারের আদালত এ রায় দেন।
২০০৪ সালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছিল। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তারা হলেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার বালুচরা এলাকার আবুল কাশেম ওরফে জামাই কাশেম (৭০) ও ইউসুফ ওরফে বাইট্টা ইউসুফ (৭০)।
মামলায় অন্য আসামি শিবির ক্যাডার মো. নাছির ও ফয়েজ মুন্না র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ায় মামলা থেকে তাঁদের অব্যাহতি দিয়েছিলেন আদালতের বিচারক।
মামলার এজাহার ও আদালত থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার দক্ষিণ পাহাড়তলী এলাকায় ৩৬ শতক জমি নিয়ে হত্যার শিকার সাইফুল, তাঁর ভাই আলমগীর ও বোন মনোয়ারার সঙ্গে আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরোধ ছিল। ২০০৪ সালের ২৯ জুন নগরের বালুচরা এলাকায় সাইফুলের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করেন আসামিরা। হামলায় ছিলেন শিবির ক্যাডার গিট্টু নাছির, তাঁর সহযোগী ফয়েজ মুন্না ও আজরাইল দেলোয়ার। সঙ্গে ছিলেন দণ্ডপ্রাপ্ত কাশেম ও ইউসুফ।
আসামিদের দেখে মনোয়ারা বেগম চিৎকার দিলে তাঁকে প্রথমে গুলি করেন ফয়েজ মুন্না। এতে মনোয়ারা ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোনের চিৎকার শুনে আলমগীর ঘর থেকে বের হলে আসামি ইউসুফ ফয়েজ মুন্নাকে গুলি করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আলমগীরকে গুলি করেন মুন্না। আলমগীর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ঘর থেকে সাইফুল বের হলে কপালে, বুকে, পেটে, পিঠে ও হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
সাইফুলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার শিল্পী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন থানায়। ২০০৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামি ইউসুফ ও কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০১৭ সালের ৫ জুলাই বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বিচারকাজ শেষ করে এ রায় ঘোষণা করলেন বিচারক।
এ বিষয়ে আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) এম এ ফয়েজ বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে তিন ভাই-বোন হত্যার অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ কারণে আসামি কাশেম ও ইউসুফকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজার পরোয়ানামূলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
ফয়েজ আরও বলেন, ‘আলোচিত এ মামলা প্রমাণ করতে মোট ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।’
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৩ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৬ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৭ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫