১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করলেও কেবল একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর যে নারী এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন বলে মনে করা হয়— ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত এলা ফিৎসপেইন— তাঁকে কোনোদিন বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
প্রায় সাতশ বছর পর ইতিহাসবিদরা নতুন দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ফিৎসপেইন শুধু ব্যভিচারে লিপ্তই ছিলেন না, তিনি চুরি, চাঁদাবাজি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায়ও জড়িত ছিলেন। নিহত যাজক জন ফোর্ড ছিলেন একসময় তাঁর প্রেমিক— এবং সম্ভবত তাঁর অপরাধচক্রের অন্যতম সদস্য।
২০১৮ সালে চালু হওয়া ‘মিডিয়েভাল মার্ডার ম্যাপস’ নামের এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এই ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, ফিৎসপেইন একটি গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন যারা এক ফরাসি অধ্যাসনে (প্রিওরি) এ হামলা চালিয়ে গবাদিপশু লুট করে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। সেই সময় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল, যা কাজে লাগায় এই চক্র।
এই ঘটনায় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সম্ভবত ফিৎসপেইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ফোর্ড। ১৩৩২ সালে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ একটি চিঠিতে এলাকে ‘ধর্মযাজকসহ বিবাহিত-অবিবাহিত বহু পুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত’ বলে অভিযুক্ত করেন। এতে বলা হয়, এই ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত নারী ধারাবাহিকভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন— ‘নাইট, বিবাহিত-অবিবাহিত অন্যান্য পুরুষ, এমনকি ধর্মগুরুর সঙ্গেও।’ এই চিঠিতেই প্রথম ফোর্ডের নাম আসে এলার প্রেমিক হিসেবে।
এই অভিযোগের পর এলাকে ধর্মীয় লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাঁকে আদেশ দেওয়া হয় প্রতিবছর শরৎকালে সালিসবুরি ক্যাথেড্রালের বেদীমণ্ডলের দিকে খালি পায়ে হাঁটতে, হাতে চার পাউন্ড ওজনের মোমের মোমবাতি নিয়ে। এ ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পরা নিষিদ্ধ এবং দরিদ্রদের জন্য দান করার নির্দেশ ছিল। তবে ইতিহাসবিদরা মনে করেন, তিনি আদেশ অমান্য করেন এবং এই অপমানের প্রতিশোধ নেন ফোর্ডকে খুন করিয়ে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানী ড. মানুয়েল আইজনার নতুন গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি খুঁজে পান এক দলিল যেখানে উল্লেখ আছে— ফিৎসপেইন, তাঁর ভাই, দুই চাকর ও এক যাজককে নিয়ে পরিকল্পনা করে ফোর্ডকে খুন করান। যাজক প্রথমে ফোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তায় তাকে বিভ্রান্ত করেন, পরে এলার ভাই তাঁর গলা কাটেন এবং চাকররা পেটে ছুরি মেরে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায়। এই পাঁচজনের মধ্যে কেবল একজন চাকর হিউ কোলন দণ্ডিত হন, তাঁকে ১৩৪২ সালে নিউগেট কারাগারে পাঠানো হয়।
দুঃসাহসী এক নারীর ছায়াতেই খুন
এ ঘটনা শুধু মধ্যযুগের নিষ্ঠুরতা নয়, বরং সমাজে নারীদের ভূমিকাও তুলে ধরে। ইতিহাসবিদ হ্যানা স্কোডা বলেন, “এলা ছিলেন সেই সময়ের নারীদের মধ্যে একজন, যিনি ক্ষমতার দাপটে পুরুষদের দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারতেন।”
ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড ছিল সহিংসতাপূর্ণ। অক্সফোর্ড শহরে তখন প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৭৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতেন— আধুনিক ইংল্যান্ডের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি। তারপরও মানুষ সহিংসতায় বিমুখ ছিল না, বরং তদন্ত ও বিচার হতো নিয়মমাফিক।
এই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষরাও কখনো কখনো অপরাধজগতের ‘হিংস্র খেলোয়াড়’ হয়ে উঠতেন। এলার মতো নারীরাও সেই খেলায় পিছিয়ে ছিলেন না।
৬৮৮ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনীতি আর প্রতিহিংসার এক কাব্যিক ট্র্যাজেডি— যেখানে প্রেমিক এক যাজক হয়ে উঠেছেন প্রতিশোধের শিকার, আর এক সাহসী নারী আড়াল থেকে বুনেছেন ষড়যন্ত্রের জাল।
মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের অন্ধকার ইতিহাসে আজও এই কাহিনী এক অনন্য অধ্যায় হয়ে আছে— নতুন গবেষণার আলোয় যা আবারও সামনে এলো, ইতিহাসপ্রেমীদের বিস্মিত করে।
(সিএনএনের নিবন্ধ অবলম্বনে সংক্ষেপিত অনুবাদ)
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করলেও কেবল একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর যে নারী এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন বলে মনে করা হয়— ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত এলা ফিৎসপেইন— তাঁকে কোনোদিন বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
প্রায় সাতশ বছর পর ইতিহাসবিদরা নতুন দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ফিৎসপেইন শুধু ব্যভিচারে লিপ্তই ছিলেন না, তিনি চুরি, চাঁদাবাজি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায়ও জড়িত ছিলেন। নিহত যাজক জন ফোর্ড ছিলেন একসময় তাঁর প্রেমিক— এবং সম্ভবত তাঁর অপরাধচক্রের অন্যতম সদস্য।
২০১৮ সালে চালু হওয়া ‘মিডিয়েভাল মার্ডার ম্যাপস’ নামের এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এই ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, ফিৎসপেইন একটি গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন যারা এক ফরাসি অধ্যাসনে (প্রিওরি) এ হামলা চালিয়ে গবাদিপশু লুট করে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। সেই সময় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল, যা কাজে লাগায় এই চক্র।
এই ঘটনায় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সম্ভবত ফিৎসপেইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ফোর্ড। ১৩৩২ সালে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ একটি চিঠিতে এলাকে ‘ধর্মযাজকসহ বিবাহিত-অবিবাহিত বহু পুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত’ বলে অভিযুক্ত করেন। এতে বলা হয়, এই ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত নারী ধারাবাহিকভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন— ‘নাইট, বিবাহিত-অবিবাহিত অন্যান্য পুরুষ, এমনকি ধর্মগুরুর সঙ্গেও।’ এই চিঠিতেই প্রথম ফোর্ডের নাম আসে এলার প্রেমিক হিসেবে।
এই অভিযোগের পর এলাকে ধর্মীয় লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাঁকে আদেশ দেওয়া হয় প্রতিবছর শরৎকালে সালিসবুরি ক্যাথেড্রালের বেদীমণ্ডলের দিকে খালি পায়ে হাঁটতে, হাতে চার পাউন্ড ওজনের মোমের মোমবাতি নিয়ে। এ ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পরা নিষিদ্ধ এবং দরিদ্রদের জন্য দান করার নির্দেশ ছিল। তবে ইতিহাসবিদরা মনে করেন, তিনি আদেশ অমান্য করেন এবং এই অপমানের প্রতিশোধ নেন ফোর্ডকে খুন করিয়ে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানী ড. মানুয়েল আইজনার নতুন গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি খুঁজে পান এক দলিল যেখানে উল্লেখ আছে— ফিৎসপেইন, তাঁর ভাই, দুই চাকর ও এক যাজককে নিয়ে পরিকল্পনা করে ফোর্ডকে খুন করান। যাজক প্রথমে ফোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তায় তাকে বিভ্রান্ত করেন, পরে এলার ভাই তাঁর গলা কাটেন এবং চাকররা পেটে ছুরি মেরে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায়। এই পাঁচজনের মধ্যে কেবল একজন চাকর হিউ কোলন দণ্ডিত হন, তাঁকে ১৩৪২ সালে নিউগেট কারাগারে পাঠানো হয়।
দুঃসাহসী এক নারীর ছায়াতেই খুন
এ ঘটনা শুধু মধ্যযুগের নিষ্ঠুরতা নয়, বরং সমাজে নারীদের ভূমিকাও তুলে ধরে। ইতিহাসবিদ হ্যানা স্কোডা বলেন, “এলা ছিলেন সেই সময়ের নারীদের মধ্যে একজন, যিনি ক্ষমতার দাপটে পুরুষদের দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারতেন।”
ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড ছিল সহিংসতাপূর্ণ। অক্সফোর্ড শহরে তখন প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৭৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতেন— আধুনিক ইংল্যান্ডের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি। তারপরও মানুষ সহিংসতায় বিমুখ ছিল না, বরং তদন্ত ও বিচার হতো নিয়মমাফিক।
এই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষরাও কখনো কখনো অপরাধজগতের ‘হিংস্র খেলোয়াড়’ হয়ে উঠতেন। এলার মতো নারীরাও সেই খেলায় পিছিয়ে ছিলেন না।
৬৮৮ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনীতি আর প্রতিহিংসার এক কাব্যিক ট্র্যাজেডি— যেখানে প্রেমিক এক যাজক হয়ে উঠেছেন প্রতিশোধের শিকার, আর এক সাহসী নারী আড়াল থেকে বুনেছেন ষড়যন্ত্রের জাল।
মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের অন্ধকার ইতিহাসে আজও এই কাহিনী এক অনন্য অধ্যায় হয়ে আছে— নতুন গবেষণার আলোয় যা আবারও সামনে এলো, ইতিহাসপ্রেমীদের বিস্মিত করে।
(সিএনএনের নিবন্ধ অবলম্বনে সংক্ষেপিত অনুবাদ)
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করলেও কেবল একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর যে নারী এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন বলে মনে করা হয়— ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত এলা ফিৎসপেইন— তাঁকে কোনোদিন বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
প্রায় সাতশ বছর পর ইতিহাসবিদরা নতুন দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ফিৎসপেইন শুধু ব্যভিচারে লিপ্তই ছিলেন না, তিনি চুরি, চাঁদাবাজি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায়ও জড়িত ছিলেন। নিহত যাজক জন ফোর্ড ছিলেন একসময় তাঁর প্রেমিক— এবং সম্ভবত তাঁর অপরাধচক্রের অন্যতম সদস্য।
২০১৮ সালে চালু হওয়া ‘মিডিয়েভাল মার্ডার ম্যাপস’ নামের এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এই ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, ফিৎসপেইন একটি গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন যারা এক ফরাসি অধ্যাসনে (প্রিওরি) এ হামলা চালিয়ে গবাদিপশু লুট করে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। সেই সময় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল, যা কাজে লাগায় এই চক্র।
এই ঘটনায় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সম্ভবত ফিৎসপেইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ফোর্ড। ১৩৩২ সালে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ একটি চিঠিতে এলাকে ‘ধর্মযাজকসহ বিবাহিত-অবিবাহিত বহু পুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত’ বলে অভিযুক্ত করেন। এতে বলা হয়, এই ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত নারী ধারাবাহিকভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন— ‘নাইট, বিবাহিত-অবিবাহিত অন্যান্য পুরুষ, এমনকি ধর্মগুরুর সঙ্গেও।’ এই চিঠিতেই প্রথম ফোর্ডের নাম আসে এলার প্রেমিক হিসেবে।
এই অভিযোগের পর এলাকে ধর্মীয় লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাঁকে আদেশ দেওয়া হয় প্রতিবছর শরৎকালে সালিসবুরি ক্যাথেড্রালের বেদীমণ্ডলের দিকে খালি পায়ে হাঁটতে, হাতে চার পাউন্ড ওজনের মোমের মোমবাতি নিয়ে। এ ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পরা নিষিদ্ধ এবং দরিদ্রদের জন্য দান করার নির্দেশ ছিল। তবে ইতিহাসবিদরা মনে করেন, তিনি আদেশ অমান্য করেন এবং এই অপমানের প্রতিশোধ নেন ফোর্ডকে খুন করিয়ে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানী ড. মানুয়েল আইজনার নতুন গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি খুঁজে পান এক দলিল যেখানে উল্লেখ আছে— ফিৎসপেইন, তাঁর ভাই, দুই চাকর ও এক যাজককে নিয়ে পরিকল্পনা করে ফোর্ডকে খুন করান। যাজক প্রথমে ফোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তায় তাকে বিভ্রান্ত করেন, পরে এলার ভাই তাঁর গলা কাটেন এবং চাকররা পেটে ছুরি মেরে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায়। এই পাঁচজনের মধ্যে কেবল একজন চাকর হিউ কোলন দণ্ডিত হন, তাঁকে ১৩৪২ সালে নিউগেট কারাগারে পাঠানো হয়।
দুঃসাহসী এক নারীর ছায়াতেই খুন
এ ঘটনা শুধু মধ্যযুগের নিষ্ঠুরতা নয়, বরং সমাজে নারীদের ভূমিকাও তুলে ধরে। ইতিহাসবিদ হ্যানা স্কোডা বলেন, “এলা ছিলেন সেই সময়ের নারীদের মধ্যে একজন, যিনি ক্ষমতার দাপটে পুরুষদের দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারতেন।”
ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড ছিল সহিংসতাপূর্ণ। অক্সফোর্ড শহরে তখন প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৭৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতেন— আধুনিক ইংল্যান্ডের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি। তারপরও মানুষ সহিংসতায় বিমুখ ছিল না, বরং তদন্ত ও বিচার হতো নিয়মমাফিক।
এই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষরাও কখনো কখনো অপরাধজগতের ‘হিংস্র খেলোয়াড়’ হয়ে উঠতেন। এলার মতো নারীরাও সেই খেলায় পিছিয়ে ছিলেন না।
৬৮৮ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনীতি আর প্রতিহিংসার এক কাব্যিক ট্র্যাজেডি— যেখানে প্রেমিক এক যাজক হয়ে উঠেছেন প্রতিশোধের শিকার, আর এক সাহসী নারী আড়াল থেকে বুনেছেন ষড়যন্ত্রের জাল।
মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের অন্ধকার ইতিহাসে আজও এই কাহিনী এক অনন্য অধ্যায় হয়ে আছে— নতুন গবেষণার আলোয় যা আবারও সামনে এলো, ইতিহাসপ্রেমীদের বিস্মিত করে।
(সিএনএনের নিবন্ধ অবলম্বনে সংক্ষেপিত অনুবাদ)
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা হত্যাকারীদের শনাক্ত করলেও কেবল একজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর যে নারী এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিলেন বলে মনে করা হয়— ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত এলা ফিৎসপেইন— তাঁকে কোনোদিন বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।
প্রায় সাতশ বছর পর ইতিহাসবিদরা নতুন দলিল-দস্তাবেজ ঘেঁটে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছেন। জানা যাচ্ছে, ফিৎসপেইন শুধু ব্যভিচারে লিপ্তই ছিলেন না, তিনি চুরি, চাঁদাবাজি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনায়ও জড়িত ছিলেন। নিহত যাজক জন ফোর্ড ছিলেন একসময় তাঁর প্রেমিক— এবং সম্ভবত তাঁর অপরাধচক্রের অন্যতম সদস্য।
২০১৮ সালে চালু হওয়া ‘মিডিয়েভাল মার্ডার ম্যাপস’ নামের এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় এই ঘটনার পুনর্গঠন করা হয়েছে। দলিল অনুযায়ী, ফিৎসপেইন একটি গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন যারা এক ফরাসি অধ্যাসনে (প্রিওরি) এ হামলা চালিয়ে গবাদিপশু লুট করে মুক্তিপণ আদায় করেছিল। সেই সময় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের সম্পর্কে টানাপড়েন চলছিল, যা কাজে লাগায় এই চক্র।
এই ঘটনায় ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছে সম্ভবত ফিৎসপেইনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন ফোর্ড। ১৩৩২ সালে ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ একটি চিঠিতে এলাকে ‘ধর্মযাজকসহ বিবাহিত-অবিবাহিত বহু পুরুষের সঙ্গে ব্যভিচারে লিপ্ত’ বলে অভিযুক্ত করেন। এতে বলা হয়, এই ধনী ও প্রভাবশালী অভিজাত নারী ধারাবাহিকভাবে ব্যভিচারে লিপ্ত ছিলেন— ‘নাইট, বিবাহিত-অবিবাহিত অন্যান্য পুরুষ, এমনকি ধর্মগুরুর সঙ্গেও।’ এই চিঠিতেই প্রথম ফোর্ডের নাম আসে এলার প্রেমিক হিসেবে।
এই অভিযোগের পর এলাকে ধর্মীয় লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। তাঁকে আদেশ দেওয়া হয় প্রতিবছর শরৎকালে সালিসবুরি ক্যাথেড্রালের বেদীমণ্ডলের দিকে খালি পায়ে হাঁটতে, হাতে চার পাউন্ড ওজনের মোমের মোমবাতি নিয়ে। এ ছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার পরা নিষিদ্ধ এবং দরিদ্রদের জন্য দান করার নির্দেশ ছিল। তবে ইতিহাসবিদরা মনে করেন, তিনি আদেশ অমান্য করেন এবং এই অপমানের প্রতিশোধ নেন ফোর্ডকে খুন করিয়ে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞানী ড. মানুয়েল আইজনার নতুন গবেষণায় এসব তথ্য প্রকাশ করেছেন। তিনি খুঁজে পান এক দলিল যেখানে উল্লেখ আছে— ফিৎসপেইন, তাঁর ভাই, দুই চাকর ও এক যাজককে নিয়ে পরিকল্পনা করে ফোর্ডকে খুন করান। যাজক প্রথমে ফোর্ডের সঙ্গে কথাবার্তায় তাকে বিভ্রান্ত করেন, পরে এলার ভাই তাঁর গলা কাটেন এবং চাকররা পেটে ছুরি মেরে নিশ্চিত মৃত্যু ঘটায়। এই পাঁচজনের মধ্যে কেবল একজন চাকর হিউ কোলন দণ্ডিত হন, তাঁকে ১৩৪২ সালে নিউগেট কারাগারে পাঠানো হয়।
দুঃসাহসী এক নারীর ছায়াতেই খুন
এ ঘটনা শুধু মধ্যযুগের নিষ্ঠুরতা নয়, বরং সমাজে নারীদের ভূমিকাও তুলে ধরে। ইতিহাসবিদ হ্যানা স্কোডা বলেন, “এলা ছিলেন সেই সময়ের নারীদের মধ্যে একজন, যিনি ক্ষমতার দাপটে পুরুষদের দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারতেন।”
ত্রয়োদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ড ছিল সহিংসতাপূর্ণ। অক্সফোর্ড শহরে তখন প্রতি ১ লাখ মানুষের মধ্যে ৬০ থেকে ৭৫ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হতেন— আধুনিক ইংল্যান্ডের তুলনায় প্রায় ৫০ গুণ বেশি। তারপরও মানুষ সহিংসতায় বিমুখ ছিল না, বরং তদন্ত ও বিচার হতো নিয়মমাফিক।
এই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষরাও কখনো কখনো অপরাধজগতের ‘হিংস্র খেলোয়াড়’ হয়ে উঠতেন। এলার মতো নারীরাও সেই খেলায় পিছিয়ে ছিলেন না।
৬৮৮ বছর আগের এই হত্যাকাণ্ডের ভেতর দিয়ে ফুটে উঠেছে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, রাজনীতি আর প্রতিহিংসার এক কাব্যিক ট্র্যাজেডি— যেখানে প্রেমিক এক যাজক হয়ে উঠেছেন প্রতিশোধের শিকার, আর এক সাহসী নারী আড়াল থেকে বুনেছেন ষড়যন্ত্রের জাল।
মধ্যযুগীয় ইংল্যান্ডের অন্ধকার ইতিহাসে আজও এই কাহিনী এক অনন্য অধ্যায় হয়ে আছে— নতুন গবেষণার আলোয় যা আবারও সামনে এলো, ইতিহাসপ্রেমীদের বিস্মিত করে।
(সিএনএনের নিবন্ধ অবলম্বনে সংক্ষেপিত অনুবাদ)
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১ দিন আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১৮ জুন ২০২৫জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১ দিন আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১৮ জুন ২০২৫দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১ দিন আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
বৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম। তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশালের নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের স্ত্রী তাসলিমার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পারিবারিক কলহ চলছিল। নজরুলের ধারণা ছিল, তাঁর স্ত্রী অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন। পাশাপাশি সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার আশঙ্কাও করতেন তিনি। এসব সন্দেহ থেকেই তাসলিমাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন নজরুল।
গত রোববার রাতে বাসায় ফিরে নজরুল দেখেন, ফ্ল্যাটের তিনটি লকের মধ্যে দুটি খোলা। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে স্ত্রী তাসলিমাকে হত্যা করেন। পরে গামছা দিয়ে লাশ বেঁধে বিছানার চাদর ও ওড়না মুড়িয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন। আলামত গোপনের জন্য রক্তমাখা তোশক উল্টে দেন, মেঝে ধুয়ে ফেলেন এবং নিজের জামাকাপড় ধুয়ে ফেলেন।
পরদিন সকালে সন্তানদের জানান, তাদের মা অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। বড় সন্তান দেয়ালে রক্তের দাগ দেখে সন্দেহ করে। এরপর নজরুল দুই সন্তানকে নানার বাড়ি পাঠানোর কথা বলে রাজধানীর আদাবরে ফুফুর বাসায় রেখে পালিয়ে যান।
তাসলিমার ছোট ভাই নাঈম হোসেন জানান, বোনের কোনো খোঁজ না পেয়ে তিনি সন্তানদের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায় কলাবাগান থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর পুলিশ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ডিপ ফ্রিজ খুললে মাছ-মাংসের নিচে কাপড়ে মোড়ানো তাসলিমার লাশ উদ্ধার হয়।
এ ঘটনায় তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রযুক্তির সহায়তায় নজরুলের অবস্থান শনাক্ত করে মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নজরুলের সন্দেহই এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১৮ জুন ২০২৫দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১ দিন আগেদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা নিষ্পত্তির আদেশের বিরুদ্ধে করা রিভিশন মামলার শুনানি শেষে ২০ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ওবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় প্রথমে অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যার অভিযোগে আবার মামলা করেন তিনি। তখন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত অপমৃত্যু ও হত্যার মামলার একসঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ বলে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি।
ওই বছরের ২৫ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। তবে প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ বলা হয়। কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে হত্যা মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। এরপর ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বারবার তদন্তে তাঁর মৃত্যুকে অপমৃত্যু মামলা হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
১৩৩৭ সালের এক মে সন্ধ্যায়, লন্ডনের ওল্ড সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালের সামনে রক্তাক্ত এক হত্যাকাণ্ড ঘটে। জন ফোর্ড নামের এক ধর্মযাজককে একদল লোক ঘিরে ধরে কানের কাছে ও পেটে ছুরি মারে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
১৮ জুন ২০২৫দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
১ দিন আগেবৈবাহিক জীবনে টানাপোড়েন, তাতে যুক্ত হয় সন্দেহ। সেই সন্দেহই কাল হয়ে দাঁড়ায় তাসলিমা আক্তারের জীবনে। রাজধানীর কলাবাগানে স্বামীর দায়ের কোপে হয়েছেন খুন। হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখেন নজরুল ইসলাম।
৬ দিন আগে