Ajker Patrika

সবাই মিলে কাটছে পাহাড়

হোসাইন জিয়াদ, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২: ৪৭
Thumbnail image

চট্টগ্রামের খুলশী নগরীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। উঁচু-নিচু এই পাহাড়ি এলাকায় এক কাঠা জমির দাম প্রায় এক কোটি টাকা। তাই পাহাড়খেকোদের নজরও এখন এই এলাকাকে ঘিরে।  কোনো রকম পাহাড় কেটে এক কাঠা জমি বের করতে পারলেই যেন হলো!

তাই বাদ যাচ্ছেন না কেউ। সরকারি দপ্তর, সিটি করপোরেশন, রাজনৈতিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠিত শিল্প গ্রুপ—সবাই মিলে কাটছে পাহাড়।

চলতি মাসে শুধু খুলশী এলাকায় পাহাড় কাটার দায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে জরিমানা গুনেছে ছয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।

খুলশীর জাকির হোসেন রোডের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটছিল  শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। পাহাড় কাটা থামাতে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদারকে চিঠিও দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। কিন্তু তাতেও না থামায় শুক্রবার দুজনকে আটক করে পুলিশ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক মো. নুরুল্লাহ নুরী বলেন, `নগরীর খুলশীর মতো জায়গায় একদম রাস্তার পাশেই দিনদুপুরে পাহাড় কেটেছে। গত ২৪ আগস্ট তাদের নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। পাঁচ দিন পর এসে তারা মুচলেকা দিয়ে গিয়েছিল আর পাহাড় কাটবে না। তবে তারা কথা রাখেনি। তাই আমরা কনট্রাকটরকে  আসামি করে একটি ফৌজদারি মামলা করেছি।

খুলশী থানার ওসি শাহিনুজ্জামান শাহিন জানান, এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির দুইজনকে শুক্রবার সকালে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।

দুই দিন আগেও একই এলাকায় পাহাড় কাটা ও ছাড়পত্রবিহীন ভবন নির্মাণের দায়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মো. হোসেন হীরণ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস কে খোদা তোতন,  শিল্প গ্রুপ এ কে খান কোম্পানিসহ মোট চার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।  এর আগে গত আগস্ট মাসে লালখান বাজার, পাঁচলাইশ, পলিটেকনিক্যাল ও বায়েজিদ এলাকায়  অন্তত ১০টি জায়গায় পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিবেশ আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পাহাড় কাটার মামলায় সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর । কিন্তু সাজা হলেও ১০ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েই এ সাজা মওকুফ করা যায়।

চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিয়া মাহমুদুল হক জানান, চট্টগ্রাম নগরে গত সাড়ে পাঁচ বছরে অন্তত ১৫০টি পাহাড় কাটার প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক নুরুল্লাহ নুরী বলেন, `আমরা চেষ্টা করছি, খবর পেলেই ছুটে গিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।'

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত