Ajker Patrika

কুলসুমির হয়ে জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ, জড়িতদের তলব

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৭ জুন ২০২১, ২২: ১১
কুলসুমির হয়ে জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ, জড়িতদের তলব

ঢাকা: চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমির হয়ে জেলখাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

কুলসুমির পরিবর্তে মিনুর জেলখাটার বিষয়টি নিয়ে এক আইনজীবীর আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত একই সঙ্গে কুলসুমিকে গ্রেপ্তার করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি মিনুকে জেলে রেখে কুলসুমির স্বাক্ষর জাল করে যেসব আইনজীবী হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন ও জামিন আবেদন করেছিলেন এবং যাঁরা এই মামলার তদবির করেছিলেন তাঁদের আদালতে তলব করা হয়েছে। আগামী ২৮ জুন আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।

গতকাল রোববার এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত বলেন, অর্থের বিনিময়ে হোক বা অন্য যে কোনো কৌশলে মূল আসামি নিজেকে বাঁচিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিকে জেলে রাখার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক।

আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

আইনজীবী শিশির মনির আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুনানিতে জেলে থাকা নিরপরাধ মিনুকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কুলসুমির পরিবর্তে মিনুকে জেলে রাখার জন্য যাঁরা দায়ী বা যে চক্র দায়ী তাঁদের আগামী ২৮ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। সেদিন শুনানি শেষে এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ হতে পারে।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির। তাঁর আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আইনজীবীকে অ্যাফিডেভিট দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এরপর আদালতের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বিষয়টি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য যায়।

হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামির বদলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে দুই বছর নয় মাস ধরে জেল খাটছেন মিনু। ২০১৭ সালে এ হত্যা মামলার রায় হয়। ২০১৮ সালের রমজান মাসে কুলসুমি নিরপরাধ মিনুকে ইফতার দেওয়ার কথা বলে আদালতে নিয়ে যান। তাঁকে বলা হয়, কোর্টে কুলসুমির নাম ডাকলে মিনু যেন এজলাসে ওঠেন। মিনুকেই কুলসুমি হিসেবে দেখান আইনজীবী নাছির উদ্দিন। এরপর থেকেই মিনু কারাগারে আছেন।

এরপর কুলসুমির পক্ষে হাইকোর্টে আপিল করা হয়। কুলসুমির জামিন আবেদনও করা হয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি নিরপরাধ মিনুর জেল খাটার বিষয়টি জানাজানি হয়। চট্টগ্রামের আদালতে এ সংক্রান্ত আবেদন দাখিল করার পর আবেদন ও মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। কুলসুমি এখন পলাতক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত