অনলাইন অপরাধের সঙ্গে জড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মানুষকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাচার করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদ, ক্রিপ্টো জালিয়াতি ও অবৈধ জুয়া। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারে কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার এবং কম্বোডিয়ায় আরও ১ লাখ মানুষ এই কেলেঙ্কারিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
পাচারের শিকার বেশির ভাগই এশিয়ার পুরুষ। তবে কেউ কেউ আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নাগরিক। বছরের পর বছর ধরে চলমান এই সমস্যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিকালে লাখ লাখ লোক বাড়িতে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা অনলাইনে সময় কাটাতে গিয়ে অনলাইন জালিয়াতি চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।
অপরাধী চক্রগুলো আগে দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য অল্প শিক্ষিত লোকেদের লক্ষ্য করলেও এখন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর চাকরিজীবীদে লক্ষ্য করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, অনলাইন অপরাধের মাধ্যমে প্রতারণার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে এই জটিল ঘটনার শিকারের দুটি ধরন রয়েছে।
জাতিসংঘের অনুমান, এই কেলেঙ্কারি কেন্দ্রগুলো প্রতিবছর বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়া এই অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের শিকার হওয়া লোকদের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রায়শই সহজ কাজ এবং অধিক সুবিধার বিজ্ঞাপনের দ্বারা প্রলুব্ধ হয় এসব ব্যক্তি। এরপর রয়েছে কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের ফাঁদ।
একবার তারা এসব পৌঁছালে তাদের বন্দী করা হয় এবং অনলাইন অপরাধ চক্রের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। অবাধ্য হলে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হয়।
কিছু চক্র প্রেম ও রোমান্স খুঁজছেন—এমন লোকদের টার্গেট করে। গত বছর এমন ঘটনায় মালয়েশিয়ার ২৫ বছর বয়সী এক নাগরিককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি অনলাইন ‘বান্ধবী’র সঙ্গে দেখা করতে ব্যাংককে গিয়েছিলেন।
এরপর তাঁকে মিয়ানমারে পাচার করা হয় এবং অনলাইন অপরাধ চক্রের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। মা-বাবার কাছে শেষবার মোবাইল ফোনে তিনি বলেছিলেন, অসুস্থতার নাটকের অভিযোগে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। এক মাস নিবিড় পরিচর্যায় থাকার পর তিনি মারা যান।
জাতিসংঘ বলেছে, অনেক দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের আইন আন্তর্জাতিক মানের নয় এবং করোনা মহামারির পর থেকে অনলাইন অপরাধ কী পরিমাণে বেড়েছে তা নির্ধারণে ব্যর্থ।
ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিসের মাইগ্রেশনবিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা পিয়া ওবেরয় বলেছেন, আরও অনেক ঘটনাই রিপোর্ট করা হয়নি, কারণ ভুক্তভোগীরা ‘কলঙ্ক ও লজ্জার’ মুখে পড়েছেন।
মি. তুর্ক সরকারগুলোকে এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দুর্নীতি মোকাবিলায় গুরুতর ও টেকসই প্রচেষ্টাসহ মানবাধিকারকে শক্তিশালী করতে হবে। আইনের শাসনের উন্নতির জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার থাকতে হবে।
অনলাইন অপরাধের সঙ্গে জড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো মানুষকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পাচার করা হয়েছে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদ, ক্রিপ্টো জালিয়াতি ও অবৈধ জুয়া। গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর বিবিসির।
মিয়ানমারে কমপক্ষে ১ লাখ ২০ হাজার এবং কম্বোডিয়ায় আরও ১ লাখ মানুষ এই কেলেঙ্কারিতে কাজ করতে বাধ্য হয়েছেন।
পাচারের শিকার বেশির ভাগই এশিয়ার পুরুষ। তবে কেউ কেউ আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার নাগরিক। বছরের পর বছর ধরে চলমান এই সমস্যা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উঠে এল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারিকালে লাখ লাখ লোক বাড়িতে আবদ্ধ হয়ে পড়েন। এ সময় তাঁরা অনলাইনে সময় কাটাতে গিয়ে অনলাইন জালিয়াতি চক্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিলেন।
অপরাধী চক্রগুলো আগে দ্রুত অর্থ উপার্জনের জন্য অল্প শিক্ষিত লোকেদের লক্ষ্য করলেও এখন স্নাতক বা স্নাতকোত্তর চাকরিজীবীদে লক্ষ্য করছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক বলেছেন, অনলাইন অপরাধের মাধ্যমে প্রতারণার শিকারদের জন্য ন্যায়বিচারের আহ্বান জানাতে হবে। একই সঙ্গে আমাদের অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে এই জটিল ঘটনার শিকারের দুটি ধরন রয়েছে।
জাতিসংঘের অনুমান, এই কেলেঙ্কারি কেন্দ্রগুলো প্রতিবছর বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন মিডিয়া এই অপরাধমূলক নেটওয়ার্কের শিকার হওয়া লোকদের সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রায়শই সহজ কাজ এবং অধিক সুবিধার বিজ্ঞাপনের দ্বারা প্রলুব্ধ হয় এসব ব্যক্তি। এরপর রয়েছে কম্বোডিয়া, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড ভ্রমণের ফাঁদ।
একবার তারা এসব পৌঁছালে তাদের বন্দী করা হয় এবং অনলাইন অপরাধ চক্রের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। অবাধ্য হলে নির্যাতন ও অমানবিক আচরণ করা হয়।
কিছু চক্র প্রেম ও রোমান্স খুঁজছেন—এমন লোকদের টার্গেট করে। গত বছর এমন ঘটনায় মালয়েশিয়ার ২৫ বছর বয়সী এক নাগরিককে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি অনলাইন ‘বান্ধবী’র সঙ্গে দেখা করতে ব্যাংককে গিয়েছিলেন।
এরপর তাঁকে মিয়ানমারে পাচার করা হয় এবং অনলাইন অপরাধ চক্রের সঙ্গে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। মা-বাবার কাছে শেষবার মোবাইল ফোনে তিনি বলেছিলেন, অসুস্থতার নাটকের অভিযোগে তাঁকে মারধর করা হয়েছিল। এক মাস নিবিড় পরিচর্যায় থাকার পর তিনি মারা যান।
জাতিসংঘ বলেছে, অনেক দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশের আইন আন্তর্জাতিক মানের নয় এবং করোনা মহামারির পর থেকে অনলাইন অপরাধ কী পরিমাণে বেড়েছে তা নির্ধারণে ব্যর্থ।
ইউএন হিউম্যান রাইটস অফিসের মাইগ্রেশনবিষয়ক সিনিয়র উপদেষ্টা পিয়া ওবেরয় বলেছেন, আরও অনেক ঘটনাই রিপোর্ট করা হয়নি, কারণ ভুক্তভোগীরা ‘কলঙ্ক ও লজ্জার’ মুখে পড়েছেন।
মি. তুর্ক সরকারগুলোকে এই অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘দুর্নীতি মোকাবিলায় গুরুতর ও টেকসই প্রচেষ্টাসহ মানবাধিকারকে শক্তিশালী করতে হবে। আইনের শাসনের উন্নতির জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার থাকতে হবে।
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৫ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৭ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৮ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১১ দিন আগে