সম্মতি ছাড়া অন্যের যৌন আবেদনমূলক ছবি বা ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করতে যাচ্ছে জাপান। পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি বিল পাস হলে গোপনে বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের ছবি তোলার মতো অপকর্মগুলো নিষিদ্ধ হবে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাপানে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হয়। তবে বিভিন্ন প্রদেশে (প্রিফেকচার) ভিন্ন ভিন্ন আইনের অধীনে বিচার করা হয়। ফলে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায়। এবার বিলটি জাপানের যৌন অপরাধসংক্রান্ত আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। এ আইনের আওতায় ধর্ষণের সংজ্ঞাও প্রসারিত হবে।
এই বিলে স্পষ্টভাবে কারও সম্মতি ছাড়া যৌনাঙ্গের ছবি তোলা, প্রকাশ ও হেফাজতে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারও অঙ্গভঙ্গি তার অজান্তে সম্পাদন করে বা ক্যামেরার কারসাজি করে ধারণ করার মতো কাজকেও অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। বিশেষ করে ‘যৌক্তিক কারণ ছাড়া যৌন আবেদনমূলক’ ভঙ্গিতে শিশুদের চিত্র ধারণ নিষিদ্ধ করা হবে।
জাপানে শিশু মডেলদের, যাদের বেশির ভাগই কন্যাশিশু, প্রায়ই যৌন উত্তেজক উপায়ে চিত্রিত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কাউকে কাউকে অন্তর্বাস বা সাঁতারের পোশাক পরে পোজ দিতে বলা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলার পোশাক পরিহিত ক্রীড়াবিদদের ছবিও কখনো কখনো যৌন আবেদনমূলক ভঙ্গিতে প্রদর্শন করা হয়।
বিলে এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ লাখ জাপানি ইয়েন (২২ হাজার মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আসছে জুনে বিলটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আইন মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে জাপানে এ ধরনের অপরাধ ক্রমবর্ধমান জনরোষের জন্ম দিয়েছে।
২০২১ সালে জাপানি পুলিশ গোপনে ছবি তোলার কারণে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০১০ সালের তুলনায় এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ।
গত মার্চে প্রকাশিত জাতীয় উড়োজাহাজ চলাচল ট্রেড ইউনিয়নের সমীক্ষা অনুসারে, জাপানের ১০ জনের মধ্যে সাতজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট গোপনে তাঁদের ছবি তোলা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন।
এরই মধ্যে জাপানের বেশির ভাগ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মোবাইল ডিভাইসে শ্রবণযোগ্য শাটার সাউন্ড ইনস্টল করেছে। ফলে ক্যামেরার শাটার চাপলেই জোরে শব্দ হবে। গোপনে ছবি তোলা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা।
দক্ষিণ কোরিয়ায়ও এই সমস্যা প্রবল। এ দেশে গোপনে যৌন আবেদনমূলক ছবি তোলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির ১ কোটি ওয়ান (৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা বা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এবং দণ্ডদানের সংখ্যা নিয়ে নারী আইনজীবী সমিতি অসন্তোষ জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরেও এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর জেল, জরিমানা, বেত্রাঘাত বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
এদিকে জাপানে যৌন সম্মতি দেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। উন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭-এর মধ্যে জাপানেই এই বয়স সর্বনিম্ন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল সম্মতির বয়স ১৩ বছরে থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে।
সম্মতি ছাড়া অন্যের যৌন আবেদনমূলক ছবি বা ভিডিও ধারণ ও প্রকাশের বিরুদ্ধে কঠোর আইন করতে যাচ্ছে জাপান। পার্লামেন্টে উত্থাপিত একটি বিল পাস হলে গোপনে বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের ছবি তোলার মতো অপকর্মগুলো নিষিদ্ধ হবে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ড জাপানে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই গণ্য করা হয়। তবে বিভিন্ন প্রদেশে (প্রিফেকচার) ভিন্ন ভিন্ন আইনের অধীনে বিচার করা হয়। ফলে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনার ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখা যায়। এবার বিলটি জাপানের যৌন অপরাধসংক্রান্ত আইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। এ আইনের আওতায় ধর্ষণের সংজ্ঞাও প্রসারিত হবে।
এই বিলে স্পষ্টভাবে কারও সম্মতি ছাড়া যৌনাঙ্গের ছবি তোলা, প্রকাশ ও হেফাজতে রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া কারও অঙ্গভঙ্গি তার অজান্তে সম্পাদন করে বা ক্যামেরার কারসাজি করে ধারণ করার মতো কাজকেও অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। বিশেষ করে ‘যৌক্তিক কারণ ছাড়া যৌন আবেদনমূলক’ ভঙ্গিতে শিশুদের চিত্র ধারণ নিষিদ্ধ করা হবে।
জাপানে শিশু মডেলদের, যাদের বেশির ভাগই কন্যাশিশু, প্রায়ই যৌন উত্তেজক উপায়ে চিত্রিত করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, কাউকে কাউকে অন্তর্বাস বা সাঁতারের পোশাক পরে পোজ দিতে বলা হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, খেলার পোশাক পরিহিত ক্রীড়াবিদদের ছবিও কখনো কখনো যৌন আবেদনমূলক ভঙ্গিতে প্রদর্শন করা হয়।
বিলে এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা ৩০ লাখ জাপানি ইয়েন (২২ হাজার মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। আসছে জুনে বিলটি পাস হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই আইন মোবাইল ফোন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে জাপানে এ ধরনের অপরাধ ক্রমবর্ধমান জনরোষের জন্ম দিয়েছে।
২০২১ সালে জাপানি পুলিশ গোপনে ছবি তোলার কারণে ৫ হাজারেরও বেশি গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছে। ২০১০ সালের তুলনায় এই গ্রেপ্তারের সংখ্যা প্রায় তিন গুণ।
গত মার্চে প্রকাশিত জাতীয় উড়োজাহাজ চলাচল ট্রেড ইউনিয়নের সমীক্ষা অনুসারে, জাপানের ১০ জনের মধ্যে সাতজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট গোপনে তাঁদের ছবি তোলা এবং বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন।
এরই মধ্যে জাপানের বেশির ভাগ মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মোবাইল ডিভাইসে শ্রবণযোগ্য শাটার সাউন্ড ইনস্টল করেছে। ফলে ক্যামেরার শাটার চাপলেই জোরে শব্দ হবে। গোপনে ছবি তোলা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা।
দক্ষিণ কোরিয়ায়ও এই সমস্যা প্রবল। এ দেশে গোপনে যৌন আবেদনমূলক ছবি তোলার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির ১ কোটি ওয়ান (৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার) পর্যন্ত জরিমানা বা সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। যদিও বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এবং দণ্ডদানের সংখ্যা নিয়ে নারী আইনজীবী সমিতি অসন্তোষ জানিয়েছে।
সিঙ্গাপুরেও এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর জেল, জরিমানা, বেত্রাঘাত বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।
এদিকে জাপানে যৌন সম্মতি দেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। উন্নত দেশগুলোর সংগঠন জি-৭-এর মধ্যে জাপানেই এই বয়স সর্বনিম্ন। গত ফেব্রুয়ারিতে জাপানের বিচার মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেল সম্মতির বয়স ১৩ বছরে থেকে বাড়িয়ে ১৬ বছর করার প্রস্তাব দিয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৪ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৪ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫