নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরী মন নিজেকে মেলে ধরতে চায়। মায়ের মোবাইল ফোনে কয়েকটি টিকটক ভিডিও বানিয়েছিলেন। টিকটকের সূত্র ধরেই পরিচয় হয়েছিল শিশির নামে এক কিশোরের সঙ্গে। কিশোরীকে স্টার বানানোর লোভ দেখায় শিশির। কিশোরী নানা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে শিশিরের কাছে আসে। শিশির একটি রুমে আটকে রেখে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে টানা তিন দিন যৌন নির্যাতন করে। কিশোরী মন জনপ্রিয় হতে গিয়ে জীবনের চরম নৃশংসতার শিকার হয়।
পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় কিশোরী আর গ্রেপ্তার হয় শিশির ও তাঁর বন্ধু ফাহিম। ঘটনাটি গত ডিসেম্বর মাসের। তবে টিকটক স্টার বানানোর লোভ দেখিয়ে এ ধরনের ঘটনা থামেনি। মাঝেমধ্যেই ঘটছে। সর্বশেষ টিকটক হৃদয় বাবুর কিশোরীদের ভারতের পাচার করে পতিতাবৃত্তি করানোর ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকটকের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। আর জনপ্রিয়তা থেকেই বেপরোয়া। টিকটককে হাতিয়ার করে অপরাধের হাতেখড়ি। তারপর কিশোরীদের দ্রুত জনপ্রিয়তার প্রলোভনে ফেলে মারধর, ধর্ষণ থেকে বিদেশে পাচার। টিকটকের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে শিশির, অপু থেকে হৃদয়রা বীভৎস অপরাধে মেতেছে। রঙিন স্বপ্নের ফাঁদে ফেলে কিশোরীদের বিকৃত যৌনাচারে জীবন নিয়ে গেছে ধ্বংসের মুখে। আত্মপ্রচারের মানসিকতা এবং ভঙ্গুর পারিবারিক কাঠামোর কারণে কিশোর-কিশোরীর অপরাধে জড়াচ্ছে।
গত ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে টিকটক শিশির ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়। মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় টিকটক অপু। বিষয়গুলো আলোচিত হওয়ার পর কিশোর-কিশোরীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিগো লাইভ, টিকটক, লাইকির মতো মোবাইল ফোন অ্যাপ নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে রিট করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এ সব অ্যাপ বন্ধের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে গত ছয় মাসে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপসের অপব্যবহার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বাহিনীর সদস্যদের টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপস ব্যবহার না করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের অ্যাপস বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে আপাতত কোনো তথ্য নেই।
পুলিশ বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূলত কিশোর–কিশোরীদের পরিচয় হয়। এলাকা, স্কুল কিংবা কলেজ ভিত্তিক গ্রুপ রয়েছে। তারপর নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার নেশায় বিভোর কিশোর-কিশোরীরা টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানায়। টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিডিও আপলোড করে। মারধর থেকে লোমহর্ষক ভিডিও বানিয়ে তাঁরা দ্রুত জনপ্রিয় হতে চায়। এসব গ্রুপের লিডাররা জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে।
সম্প্রতি ভারতে পাচার হওয়া একাধিক কিশোরী জানান, টিকটকে তাঁরা ভিডিও বানাতেন। টিকটকে এক সঙ্গে কাজ করার কারণে তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেশের বিভিন্ন রিসোর্টে তাঁরা পুল পার্টি করেন। পরে মডেল বানানো, অভিনয় ও ভালো চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের নির্যাতন করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরে পালিয়ে দেশে চলে আসেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকটক লাইকির মতো অ্যাপস তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাঁদের কাছে আইন কিংবা নৈতিকতার বালাই নাই। তাঁরা যে কোনো উপায়ে ভিউ আর লাইক বাড়াতে ব্যস্ত। আর নেগেটিভ ভিডিও কনটেন্টে ভিউ বেশি হওয়ায় কিশোর কিশোরীরা সেদিকে ঝুঁকছে। এসব কারণে নেশাগ্রস্ত হচ্ছে, ঘুম কমে যাচ্ছে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পরছে।
পরিত্রাণের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। নেগেটিভ ভিডিও দেখা বন্ধ করতে হবে। তাহলে আর তাঁরা উৎসাহ পাবে না। আর টিকটক লাইকির মতো যেসব অ্যাপস সৃজনশীলতা বিকাশে কাজে লাগে না সেগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার।
সামাজিক অবক্ষয় রোধে টিকটক অ্যাপস একেবারেই বন্ধ করা সমাধান নয় বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। তাঁদের মতে, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে বিকল্প পন্থায় টিকটক সচল রাখবে। তার চেয়ে বরং যেসব কনটেন্ট অসামঞ্জস্য কিংবা বিকৃত সেগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, টিকটক নিয়ে সামাজিক অস্বস্তি রয়েছে। এই অ্যাপটি অপব্যবহারে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। প্রায়ই বাজে সব কনটেন্ট দেখা যায়। যা খুবই বিব্রতকর। সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুর ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে টিকটক। আমি মনে করি অ্যাপটি একেবারে বন্ধ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কী কী কনটেন্ট প্রকাশ হচ্ছে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেখভাল করা। বিটিআরসির হস্তক্ষেপে কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই আমার মনে হয়। দ্বিতীয়ত, আমাদের অভিভাবকদের বেশি যত্নশীল হতে হবে।
টিকটক বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারটি সরকারের। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করি। টিকটক বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো আমরা পাইনি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এডিসি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোপুরি দায়ী করতে পারি না। ফেসবুক, টিকটক কিংবা লাইকিতে যারা নৃশংস কিংবা অপরাধমূলক কনটেন্ট দিচ্ছে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেটা বন্ধ করে দিচ্ছি। অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীরা গ্রেপ্তারও হচ্ছে। তবে দিনদিন অ্যাপস ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে এটা ঠিক। অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের তৎপরতাও বেড়েছে। তবে কোনো অ্যাপস যদি দেশের আইন মেনে না চলে তাহলে বন্ধ করে দিতে পারে।’
ঢাকা: সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। কিশোরী মন নিজেকে মেলে ধরতে চায়। মায়ের মোবাইল ফোনে কয়েকটি টিকটক ভিডিও বানিয়েছিলেন। টিকটকের সূত্র ধরেই পরিচয় হয়েছিল শিশির নামে এক কিশোরের সঙ্গে। কিশোরীকে স্টার বানানোর লোভ দেখায় শিশির। কিশোরী নানা বাড়ি যাওয়ার কথা বলে শিশিরের কাছে আসে। শিশির একটি রুমে আটকে রেখে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে টানা তিন দিন যৌন নির্যাতন করে। কিশোরী মন জনপ্রিয় হতে গিয়ে জীবনের চরম নৃশংসতার শিকার হয়।
পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হয় কিশোরী আর গ্রেপ্তার হয় শিশির ও তাঁর বন্ধু ফাহিম। ঘটনাটি গত ডিসেম্বর মাসের। তবে টিকটক স্টার বানানোর লোভ দেখিয়ে এ ধরনের ঘটনা থামেনি। মাঝেমধ্যেই ঘটছে। সর্বশেষ টিকটক হৃদয় বাবুর কিশোরীদের ভারতের পাচার করে পতিতাবৃত্তি করানোর ভিডিও ভাইরাল হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে।
পুলিশ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকটকের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরী দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। আর জনপ্রিয়তা থেকেই বেপরোয়া। টিকটককে হাতিয়ার করে অপরাধের হাতেখড়ি। তারপর কিশোরীদের দ্রুত জনপ্রিয়তার প্রলোভনে ফেলে মারধর, ধর্ষণ থেকে বিদেশে পাচার। টিকটকের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে শিশির, অপু থেকে হৃদয়রা বীভৎস অপরাধে মেতেছে। রঙিন স্বপ্নের ফাঁদে ফেলে কিশোরীদের বিকৃত যৌনাচারে জীবন নিয়ে গেছে ধ্বংসের মুখে। আত্মপ্রচারের মানসিকতা এবং ভঙ্গুর পারিবারিক কাঠামোর কারণে কিশোর-কিশোরীর অপরাধে জড়াচ্ছে।
গত ডিসেম্বর মাসে গাজীপুরে টিকটক শিশির ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়। মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় টিকটক অপু। বিষয়গুলো আলোচিত হওয়ার পর কিশোর-কিশোরীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য বিগো লাইভ, টিকটক, লাইকির মতো মোবাইল ফোন অ্যাপ নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে গত ডিসেম্বর মাসে হাইকোর্টে রিট করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এ সব অ্যাপ বন্ধের ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তবে গত ছয় মাসে এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপসের অপব্যবহার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে বাহিনীর সদস্যদের টিকটক, লাইকির মতো অ্যাপস ব্যবহার না করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে এই ধরনের অ্যাপস বন্ধের উদ্যোগ নেওয়ার ব্যাপারে আপাতত কোনো তথ্য নেই।
পুলিশ বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মূলত কিশোর–কিশোরীদের পরিচয় হয়। এলাকা, স্কুল কিংবা কলেজ ভিত্তিক গ্রুপ রয়েছে। তারপর নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার নেশায় বিভোর কিশোর-কিশোরীরা টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানায়। টিকটকের অশ্লীল ভিডিওতে নাচ, গান ও অভিনয়ের পাশাপাশি নিজেদের ধূমপান ও সিসা গ্রহণ করার ভিডিও আপলোড করে। মারধর থেকে লোমহর্ষক ভিডিও বানিয়ে তাঁরা দ্রুত জনপ্রিয় হতে চায়। এসব গ্রুপের লিডাররা জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে।
সম্প্রতি ভারতে পাচার হওয়া একাধিক কিশোরী জানান, টিকটকে তাঁরা ভিডিও বানাতেন। টিকটকে এক সঙ্গে কাজ করার কারণে তাঁদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। দেশের বিভিন্ন রিসোর্টে তাঁরা পুল পার্টি করেন। পরে মডেল বানানো, অভিনয় ও ভালো চাকরি প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের নির্যাতন করে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। পরে পালিয়ে দেশে চলে আসেন।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসির মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, টিকটক লাইকির মতো অ্যাপস তরুণ প্রজন্মের একটি অংশের মানসিক স্বাস্থ্য ধ্বংস করে দিচ্ছে। তাঁদের কাছে আইন কিংবা নৈতিকতার বালাই নাই। তাঁরা যে কোনো উপায়ে ভিউ আর লাইক বাড়াতে ব্যস্ত। আর নেগেটিভ ভিডিও কনটেন্টে ভিউ বেশি হওয়ায় কিশোর কিশোরীরা সেদিকে ঝুঁকছে। এসব কারণে নেশাগ্রস্ত হচ্ছে, ঘুম কমে যাচ্ছে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে শরীরের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পরছে।
পরিত্রাণের উপায় হিসেবে তিনি বলেন, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে হবে। নেগেটিভ ভিডিও দেখা বন্ধ করতে হবে। তাহলে আর তাঁরা উৎসাহ পাবে না। আর টিকটক লাইকির মতো যেসব অ্যাপস সৃজনশীলতা বিকাশে কাজে লাগে না সেগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার।
সামাজিক অবক্ষয় রোধে টিকটক অ্যাপস একেবারেই বন্ধ করা সমাধান নয় বলে মনে করছেন কিছু বিশ্লেষক। তাঁদের মতে, পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে বিকল্প পন্থায় টিকটক সচল রাখবে। তার চেয়ে বরং যেসব কনটেন্ট অসামঞ্জস্য কিংবা বিকৃত সেগুলোকে পর্যবেক্ষণে রেখে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক এবং অপরাধ বিশ্লেষক তৌহিদুল হক বলেন, টিকটক নিয়ে সামাজিক অস্বস্তি রয়েছে। এই অ্যাপটি অপব্যবহারে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে। প্রায়ই বাজে সব কনটেন্ট দেখা যায়। যা খুবই বিব্রতকর। সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুর ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে টিকটক। আমি মনে করি অ্যাপটি একেবারে বন্ধ করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে কী কী কনটেন্ট প্রকাশ হচ্ছে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেখভাল করা। বিটিআরসির হস্তক্ষেপে কনটেন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলেই আমার মনে হয়। দ্বিতীয়ত, আমাদের অভিভাবকদের বেশি যত্নশীল হতে হবে।
টিকটক বন্ধ কিংবা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ব্যাপারটি সরকারের। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী কাজ করি। টিকটক বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনো আমরা পাইনি।’
ঢাকা মেট্রোপলিটনে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের এডিসি নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে পুরোপুরি দায়ী করতে পারি না। ফেসবুক, টিকটক কিংবা লাইকিতে যারা নৃশংস কিংবা অপরাধমূলক কনটেন্ট দিচ্ছে আমরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেটা বন্ধ করে দিচ্ছি। অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধীরা গ্রেপ্তারও হচ্ছে। তবে দিনদিন অ্যাপস ব্যবহার করে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে এটা ঠিক। অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের তৎপরতাও বেড়েছে। তবে কোনো অ্যাপস যদি দেশের আইন মেনে না চলে তাহলে বন্ধ করে দিতে পারে।’
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
৩ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫