এস আলম সুমন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টিলা কেটে সাবাড় করছে একটি চক্র। রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে মাটি। বিক্রি করা হচ্ছে বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনায়। নির্বিচারে টিলা কাটায় ধস আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন টিলা ও এগুলোর পাদদেশে বসবাসকারীরা। উপজেলার ইসলামনগরে চলছে এই পরিবেশ ধ্বংস। মালিক মাটি বিক্রি করছেন দাবি করা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের টিলাও রক্ষা পায়নি চক্রের থাবা থেকে।
ইসলামনগর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট বড় অর্ধশত টিলা রয়েছে। এসব টিলার ওপরে ও পাদদেশে কয়েক হাজার মানুষের জনবসতি রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এ ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, বাবলু মিয়া, আজাদুর রহমান, নূর উদ্দিনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র টিলা থেকে মাটি কাটছেন। এর মধ্যে ইসলামনগর গ্রামে ইদন মিয়া, নুরাই মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম, কুতুব মিয়া, সিংহনাদের মোস্তফা মিয়ার টিলাসহ বিভিন্ন টিলার মাটি কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এক মাস ধরে কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদন মিয়ার মালিকানাধীন ইসলামনগরে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার টিলা থেকে মাটি কাটছে ওই চক্রটি। বিনিময়ে ইদন মিয়াকে গাড়ি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দিচ্ছে গাড়ির মালিকেরা।
ওই টিলার পাদদেশে ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে দশটি পরিবারের বসতি রয়েছে। অবাধে মাটি কাটায় টিলা ধসে ঘরের ওপর আছড়ে পড়তে পারে এমন আতঙ্কে রয়েছেন ওই সব পরিবারের সদস্যরা।
টিলার পাদদেশে থাকা বসতবাড়ির মালিক মামুন মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মাটি বোঝাই করে টিলা থেকে একটি পিকআপভ্যান নামার সময় আমার ভিটার পাশে থাকা গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। গাছ থাকায় আমার ঘর রক্ষা পায়। নয়তো ঘর ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতো।’
টিলার পাদদেশে থাকা দুই বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এক মাস ধরে আজির উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, নূর উদ্দিন, বাবলু মিয়া ও আজাদুর রহমান ইদনের টিলার মাটি কেটে নিচ্ছেন। টিলা কাটায় তাঁরা ধসের আতঙ্কে রয়েছেন। প্রাণভয়ে তাঁদের কিছু বলতেও পারেন না।
এ ব্যাপারে চক্রের সদস্য রহিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি জমির মাটি কেটে পরিবহন করে দিচ্ছি, টিলার কোনো মাটি কাটেনি।’
আরেক সদস্য বাবলু মিয়া টিলা কাটার বিষয় স্বীকার করে বলেন, ‘ইসলামনগরে চেয়ারম্যানের টিলা থেকে মাটি কাটেনি। তবে ইদন মিয়ার টিলা থেকে মাটি কেটে আমরা কয়েকটি বাড়িতে দিয়েছি। মাটি পরিবহন করলে আমরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া পাই।’
তবে নূর উদ্দিন টিলার মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
টিলার মালিক কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ইদন মিয়া বলেন, ‘ইসলামনগরে ছয় একরের টিলাটি আমাদের। টিলাটি নিয়ে স্থানীয় আজির উদ্দিনের সঙ্গে মামলা রয়েছে। টিলার মাটি আজির উদ্দিনসহ একটি চক্র বিক্রি করছেন। আমি কখনো টিলার মাটি কারও কাছে বিক্রি করিনি।’
তবে ইসলামনগরের বাসিন্দা আজির উদ্দিন বলেন, ‘কে বা কারা টিলা কাটছে সেটা আমি জানি না। ইদন মিয়া যে মামলার কথা বলছেন সেটি ১৫ বছর আগে সমাধান হয়ে গেছে। ওই টিলার পাশের টিলাটি আমার ছিল। সেটিও আমি পাঁচ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছি।’
ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার টিলাটির সামনের অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে বেড়া ভেঙে টিলা থেকে মাটি কেটে নিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদার এ বিষয়ে জানা নেই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরেজমিন ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাব।’
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় টিলা কেটে সাবাড় করছে একটি চক্র। রাতের আঁধারে কাটা হচ্ছে মাটি। বিক্রি করা হচ্ছে বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনায়। নির্বিচারে টিলা কাটায় ধস আতঙ্কে রয়েছেন বিভিন্ন টিলা ও এগুলোর পাদদেশে বসবাসকারীরা। উপজেলার ইসলামনগরে চলছে এই পরিবেশ ধ্বংস। মালিক মাটি বিক্রি করছেন দাবি করা হলেও তিনি তা অস্বীকার করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যানের টিলাও রক্ষা পায়নি চক্রের থাবা থেকে।
ইসলামনগর এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওই এলাকায় সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ছোট বড় অর্ধশত টিলা রয়েছে। এসব টিলার ওপরে ও পাদদেশে কয়েক হাজার মানুষের জনবসতি রয়েছে।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকে এ ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম উদ্দিন, বাবলু মিয়া, আজাদুর রহমান, নূর উদ্দিনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র টিলা থেকে মাটি কাটছেন। এর মধ্যে ইসলামনগর গ্রামে ইদন মিয়া, নুরাই মিয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম, কুতুব মিয়া, সিংহনাদের মোস্তফা মিয়ার টিলাসহ বিভিন্ন টিলার মাটি কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, এক মাস ধরে কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ইদন মিয়ার মালিকানাধীন ইসলামনগরে প্রায় ৪০ ফুট উচ্চতার টিলা থেকে মাটি কাটছে ওই চক্রটি। বিনিময়ে ইদন মিয়াকে গাড়ি প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দিচ্ছে গাড়ির মালিকেরা।
ওই টিলার পাদদেশে ২০০ মিটার এলাকার মধ্যে দশটি পরিবারের বসতি রয়েছে। অবাধে মাটি কাটায় টিলা ধসে ঘরের ওপর আছড়ে পড়তে পারে এমন আতঙ্কে রয়েছেন ওই সব পরিবারের সদস্যরা।
টিলার পাদদেশে থাকা বসতবাড়ির মালিক মামুন মিয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মাটি বোঝাই করে টিলা থেকে একটি পিকআপভ্যান নামার সময় আমার ভিটার পাশে থাকা গাছের ওপর আছড়ে পড়ে। গাছ থাকায় আমার ঘর রক্ষা পায়। নয়তো ঘর ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতো।’
টিলার পাদদেশে থাকা দুই বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এক মাস ধরে আজির উদ্দিন, রহিম উদ্দিন, নূর উদ্দিন, বাবলু মিয়া ও আজাদুর রহমান ইদনের টিলার মাটি কেটে নিচ্ছেন। টিলা কাটায় তাঁরা ধসের আতঙ্কে রয়েছেন। প্রাণভয়ে তাঁদের কিছু বলতেও পারেন না।
এ ব্যাপারে চক্রের সদস্য রহিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি জমির মাটি কেটে পরিবহন করে দিচ্ছি, টিলার কোনো মাটি কাটেনি।’
আরেক সদস্য বাবলু মিয়া টিলা কাটার বিষয় স্বীকার করে বলেন, ‘ইসলামনগরে চেয়ারম্যানের টিলা থেকে মাটি কাটেনি। তবে ইদন মিয়ার টিলা থেকে মাটি কেটে আমরা কয়েকটি বাড়িতে দিয়েছি। মাটি পরিবহন করলে আমরা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া পাই।’
তবে নূর উদ্দিন টিলার মাটি কাটার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
টিলার মালিক কৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ইদন মিয়া বলেন, ‘ইসলামনগরে ছয় একরের টিলাটি আমাদের। টিলাটি নিয়ে স্থানীয় আজির উদ্দিনের সঙ্গে মামলা রয়েছে। টিলার মাটি আজির উদ্দিনসহ একটি চক্র বিক্রি করছেন। আমি কখনো টিলার মাটি কারও কাছে বিক্রি করিনি।’
তবে ইসলামনগরের বাসিন্দা আজির উদ্দিন বলেন, ‘কে বা কারা টিলা কাটছে সেটা আমি জানি না। ইদন মিয়া যে মামলার কথা বলছেন সেটি ১৫ বছর আগে সমাধান হয়ে গেছে। ওই টিলার পাশের টিলাটি আমার ছিল। সেটিও আমি পাঁচ বছর আগে বিক্রি করে দিয়েছি।’
ভাটেরা ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ এ কে এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার টিলাটির সামনের অংশে বাঁশের বেড়া দিয়ে রেখেছিলাম। কিন্তু একটি চক্র রাতের আঁধারে বেড়া ভেঙে টিলা থেকে মাটি কেটে নিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনকে জানিয়েছি।’
মৌলভীবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বদরুল হুদার এ বিষয়ে জানা নেই আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সরেজমিন ওই এলাকায় পরিদর্শনে যাব।’
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১ হাজার ৬৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ৯৭২ জন ও অন্যান্য ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬৯৩ জন। আজ সোমবার পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর এ তথ্য জানান।
৩ দিন আগেরাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১৮ এপ্রিল ২০২৫রাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৫ক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
১৪ এপ্রিল ২০২৫