রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর)
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর ১৫ দিন চলাচল বন্ধ ছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল। বর্তমানে নজরদারি না থাকায় আবারও মহাসড়কে দাপিয়ে চলছে নিষিদ্ধ এসব যান। মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া অটোরিকশাগুলো আবারও মহাসড়কে নেমেছে।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৭০টি অবৈধ অটোরিকশা জব্দ করেছিল। এর কয়েক দিন পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহাসড়কে না ওঠার শর্তে জব্দ করা অটোরিকশাগুলো ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর ১৫ দিন পার হওয়ার পর মহাসড়কে ফিরে এসেছে সেই আগের চিত্র।
সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের জৈনা বাজার থেকে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে অসংখ্য অটোরিকশা। কোনো কোনো অটোরিকশা দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করছে। মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে ছাড়া হাইওয়ে পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। আর থাকলেও পুলিশের সামনেই মহাসড়কে চলাচল করছে অটোরিকশা।
মহাসড়কে চলাচলকারী অটোরিকশার চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি আয়ের জন্য মহাসড়কে অটোরিকশা চালান তাঁরা। এ জন্য বাড়তি কিছু টাকা খরচ করতে হয় বলে জানান। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রমিজ মিয়া কাজের সন্ধানে ২০১৮ সালে আসেন শ্রীপুরে। কাজ নেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। সেই আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের দিকে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। প্রথমে আঞ্চলিক সড়কে চালাতেন, পরে মহাসড়কে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন তিনি। তিনি জানান, কয়েকবার পুলিশ অটোরিকশা জব্দ করলেও টাকাপয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছেন।
থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে অটোরিকশা ছাড়িয়ে নেওয়া রফিক মিয়ার সঙ্গে কথা হয় উপজেলার রঙিলা বাজার এলাকায়। তিনি জানান, মহাসড়কে মধ্যরাত পর্যন্ত চালিয়ে যে পরিমাণ টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী কম, গাড়ি বেশি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালান।
মহাসড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালান রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার সুলতান মিয়া। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কেও অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানো কষ্ট। তবু ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছি। অবৈধ বলে প্রায় সময় জব্দ করে। কোনো সময় মামলা, আবার কোনো সময় টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিই।’
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় প্রভাতী পরিবহনের চালক আলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অভিযানের পর কয়েক সপ্তাহ ভালোই চলছিলাম। এখন আবার আগের চিত্র। মহাসড়কে অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচলের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রায় সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।’
জৈনা বাজার এলাকায় স্কুলশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ইচ্ছে করলেই মহাসড়কে নিষিদ্ধ অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে পারে।’ মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তবু বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করে। তবে জব্দ করা অটোরিকশা টাকা নিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই।’
গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে নিষিদ্ধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। টাকা নিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার নির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের পর ১৫ দিন চলাচল বন্ধ ছিল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছিল। বর্তমানে নজরদারি না থাকায় আবারও মহাসড়কে দাপিয়ে চলছে নিষিদ্ধ এসব যান। মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া অটোরিকশাগুলো আবারও মহাসড়কে নেমেছে।
জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই জেলা ও হাইওয়ে পুলিশ যৌথভাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে ৭০টি অবৈধ অটোরিকশা জব্দ করেছিল। এর কয়েক দিন পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মহাসড়কে না ওঠার শর্তে জব্দ করা অটোরিকশাগুলো ছেড়ে দেয় পুলিশ। এর ১৫ দিন পার হওয়ার পর মহাসড়কে ফিরে এসেছে সেই আগের চিত্র।
সরেজমিন দেখা গেছে, মহাসড়কের জৈনা বাজার থেকে গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি বাজার পর্যন্ত প্রতিটি বাসস্ট্যান্ডে রয়েছে অসংখ্য অটোরিকশা। কোনো কোনো অটোরিকশা দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলাচল করছে। মাওনা চৌরাস্তা উড়ালসড়কের নিচে ছাড়া হাইওয়ে পুলিশের তেমন উপস্থিতি দেখা যায়নি। আর থাকলেও পুলিশের সামনেই মহাসড়কে চলাচল করছে অটোরিকশা।
মহাসড়কে চলাচলকারী অটোরিকশার চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাড়তি আয়ের জন্য মহাসড়কে অটোরিকশা চালান তাঁরা। এ জন্য বাড়তি কিছু টাকা খরচ করতে হয় বলে জানান। নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রমিজ মিয়া কাজের সন্ধানে ২০১৮ সালে আসেন শ্রীপুরে। কাজ নেন একটি তৈরি পোশাক কারখানায়। সেই আয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। ২০২০ সালের দিকে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন। প্রথমে আঞ্চলিক সড়কে চালাতেন, পরে মহাসড়কে অটোরিকশা চালানো শুরু করেন তিনি। তিনি জানান, কয়েকবার পুলিশ অটোরিকশা জব্দ করলেও টাকাপয়সা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়েছেন।
থানা থেকে মুচলেকা দিয়ে অটোরিকশা ছাড়িয়ে নেওয়া রফিক মিয়ার সঙ্গে কথা হয় উপজেলার রঙিলা বাজার এলাকায়। তিনি জানান, মহাসড়কে মধ্যরাত পর্যন্ত চালিয়ে যে পরিমাণ টাকা পাই, তা দিয়েই সংসার চলে। আঞ্চলিক সড়কে যাত্রী কম, গাড়ি বেশি। তাই বাধ্য হয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালান।
মহাসড়কে নিয়মিত অটোরিকশা চালান রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার সুলতান মিয়া। তিনি বলেন, ‘মহাসড়কেও অটোরিকশা চালিয়ে সংসার চালানো কষ্ট। তবু ঝুঁকি নিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছি। অবৈধ বলে প্রায় সময় জব্দ করে। কোনো সময় মামলা, আবার কোনো সময় টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিই।’
মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় প্রভাতী পরিবহনের চালক আলিম উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘পুলিশের অভিযানের পর কয়েক সপ্তাহ ভালোই চলছিলাম। এখন আবার আগের চিত্র। মহাসড়কে অতিরিক্ত অটোরিকশা চলাচলের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রায় সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।’
জৈনা বাজার এলাকায় স্কুলশিক্ষক আজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ইচ্ছে করলেই মহাসড়কে নিষিদ্ধ অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে পারে।’ মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধ অটোরিকশার বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। তবু বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করে। তবে জব্দ করা অটোরিকশা টাকা নিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানা নেই।’
গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশ সুপার আলী আহম্মেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসড়কে নিষিদ্ধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় হাইওয়ে পুলিশ অটোরিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে। টাকা নিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চলাচলের সুযোগ করে দেওয়ার নির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৮ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৯ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
২০ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫