রাশেদ নিজাম, ঢাকা
গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তবু কেন নৃশংস খুন।
তদন্তে জানা যায়, রাতে মাদকসেবী ও রেললাইনের পাশে যৌনকর্মীদের ব্যাপক চাপে রাখতেন আলমগীর। সাত দিনের মাথায় গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিকুঞ্জ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ভাসমান দুই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। মাদকসেবী মোয়াজ্জেম ও রুবেল নামের এই দুজনেই স্বীকার করেন আলমগীরকে খুনের কারণ।
ডিবি গুলশানের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন আগে মাদক নেওয়ার সময় মোয়াজ্জেমকে মারধর করেছিলেন আলমগীর। ওই রাতেও
রেললাইনে বসে মাদক গ্রহণ করে ফেরার সময় তাঁরা ফুটপাতে ঘুমাতে দেখেন আলমগীরকে। পরে দুজন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কড়া জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই পুরো ঘটনা স্বীকার করেছেন দুজন। এ নিয়ে কোনো অপরাধবোধও ছিল না তাঁদের মধ্যে। সাবলীলভাবে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় এসে ফুটপাতে বসবাস শুরু করা মোয়াজ্জেম। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আড়াই বছর আগে ঢাকায় এসে রাস্তাতেই দিন কাটায় রুবেল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মাসে রাজধানীতে ফুটপাত কিংবা ভাসমান মানুষের মাধ্যমে খুনের ঘটনা ঘটে গড়ে দুই থেকে তিনটি। এ ছাড়া শারীরিক হেনস্তা, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা, ছিনতাইসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকও করেছে ডিএমপি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তারের সভাপতিত্বে সেখানে ডিএমপির ৮টি অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জুন মাসের ৪২টি মামলা নিয়ে আলোচনার পরে ১৩টি মামলা ডিএমপি মনিটরিং সেলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অধিকাংশ মামলার আসামিই চিহ্নিত করা যায়নি। কারণ, তাঁদের কোনো পরিচয় কিংবা এলাকা নেই।
বৈঠকে কিশোর গ্যাংয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি, ভাসমান মানুষ নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি, বিট পুলিশিং জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এলাকা, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মেট্রোরেলের প্রকল্প, উত্তরা, খিলগাঁওসহ অন্তত ১৫টি এলাকাকে ভাসমান মানুষের অপরাধের জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যা ওই সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। তিন দিন পর মজনু নামের এক ভবঘুরেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা এই ব্যক্তিই ধর্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানিয়েছিলেন, দিনে তিনি দিনমজুর, হকারের কাজ করেন। রাতে ছিনতাই, চুরির মতো কাজ করতেন। কুর্মিটোলার বিভিন্ন ফুটপাত, সড়কের পাশে রাত কাটাতেন।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ভাসমান ভবঘুরে ছিলেন। রাস্তাতেই বসবাস করতেন। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখায় দীর্ঘদিন কর্মরত মশিউর রহমান। এখন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুলশান বিভাগের। তাঁর মতে, সাধারণত যে অপরাধ হয় তা বাসায়, প্রকাশ্যে রাস্তায়, অফিসে কিংবা পরিকল্পিত কোনো স্থানে। গোয়েন্দারা নানা সমীকরণে সেখান থেকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে একটি বড় অংশ মানুষ ভাসমান হিসেবে বসবাস করেন। তাদের কোনো তথ্য, পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এমনকি অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। তারা এমন জায়গায় বসবাস করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকে না। ফ্লাইওভারের নিচে, ফুটওভার ব্রিজের ওপরে, যাত্রীছাউনির নিচে কিংবা সড়কের পাশে অন্ধকার অংশেই বসবাস তাঁদের। ভাসমান মানুষের বেশির ভাগই মাদকসেবী উল্লেখ করে মশিউর বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে বড় অপরাধ ঘটান এসব মানুষ। তদন্তে নামলে ডাকনাম ছাড়া আর কোনো কিছু পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা’ হয় ২০১৪ সালে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, সারা দেশে ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে। যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার, নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার। এবং দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৬২১ জন। রাজধানীতে ১০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে বলে উঠে এসেছিল বিবিএসের জরিপে।
এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু রাজধানীতেই এই ভাসমান মানুষের সংখ্যা হবে লাখখানেক। সরকারি, বেসরকারি দুভাবেই এই গণনা করা যেতে পারে। নইলে তাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া রোধে পুলিশের একার পক্ষে প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। জরিপের পরে সরকার ভাসমান এসব মানুষকে কর্মসংস্থান কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা নিয়ে কাজ করে বেশ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও। তাদের অন্তত চারটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাসমান শিশু, মাদকসেবী, যৌনকর্মী, হিজড়া—এমন নানা ভাগে কাজ করে তারা। পুরো জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কোনো সংগঠন কাজ করে না।
গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তবু কেন নৃশংস খুন।
তদন্তে জানা যায়, রাতে মাদকসেবী ও রেললাইনের পাশে যৌনকর্মীদের ব্যাপক চাপে রাখতেন আলমগীর। সাত দিনের মাথায় গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিকুঞ্জ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ভাসমান দুই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। মাদকসেবী মোয়াজ্জেম ও রুবেল নামের এই দুজনেই স্বীকার করেন আলমগীরকে খুনের কারণ।
ডিবি গুলশানের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন আগে মাদক নেওয়ার সময় মোয়াজ্জেমকে মারধর করেছিলেন আলমগীর। ওই রাতেও
রেললাইনে বসে মাদক গ্রহণ করে ফেরার সময় তাঁরা ফুটপাতে ঘুমাতে দেখেন আলমগীরকে। পরে দুজন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কড়া জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই পুরো ঘটনা স্বীকার করেছেন দুজন। এ নিয়ে কোনো অপরাধবোধও ছিল না তাঁদের মধ্যে। সাবলীলভাবে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় এসে ফুটপাতে বসবাস শুরু করা মোয়াজ্জেম। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আড়াই বছর আগে ঢাকায় এসে রাস্তাতেই দিন কাটায় রুবেল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মাসে রাজধানীতে ফুটপাত কিংবা ভাসমান মানুষের মাধ্যমে খুনের ঘটনা ঘটে গড়ে দুই থেকে তিনটি। এ ছাড়া শারীরিক হেনস্তা, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা, ছিনতাইসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকও করেছে ডিএমপি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তারের সভাপতিত্বে সেখানে ডিএমপির ৮টি অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জুন মাসের ৪২টি মামলা নিয়ে আলোচনার পরে ১৩টি মামলা ডিএমপি মনিটরিং সেলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অধিকাংশ মামলার আসামিই চিহ্নিত করা যায়নি। কারণ, তাঁদের কোনো পরিচয় কিংবা এলাকা নেই।
বৈঠকে কিশোর গ্যাংয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি, ভাসমান মানুষ নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি, বিট পুলিশিং জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এলাকা, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মেট্রোরেলের প্রকল্প, উত্তরা, খিলগাঁওসহ অন্তত ১৫টি এলাকাকে ভাসমান মানুষের অপরাধের জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যা ওই সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। তিন দিন পর মজনু নামের এক ভবঘুরেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা এই ব্যক্তিই ধর্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানিয়েছিলেন, দিনে তিনি দিনমজুর, হকারের কাজ করেন। রাতে ছিনতাই, চুরির মতো কাজ করতেন। কুর্মিটোলার বিভিন্ন ফুটপাত, সড়কের পাশে রাত কাটাতেন।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ভাসমান ভবঘুরে ছিলেন। রাস্তাতেই বসবাস করতেন। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখায় দীর্ঘদিন কর্মরত মশিউর রহমান। এখন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুলশান বিভাগের। তাঁর মতে, সাধারণত যে অপরাধ হয় তা বাসায়, প্রকাশ্যে রাস্তায়, অফিসে কিংবা পরিকল্পিত কোনো স্থানে। গোয়েন্দারা নানা সমীকরণে সেখান থেকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে একটি বড় অংশ মানুষ ভাসমান হিসেবে বসবাস করেন। তাদের কোনো তথ্য, পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এমনকি অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। তারা এমন জায়গায় বসবাস করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকে না। ফ্লাইওভারের নিচে, ফুটওভার ব্রিজের ওপরে, যাত্রীছাউনির নিচে কিংবা সড়কের পাশে অন্ধকার অংশেই বসবাস তাঁদের। ভাসমান মানুষের বেশির ভাগই মাদকসেবী উল্লেখ করে মশিউর বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে বড় অপরাধ ঘটান এসব মানুষ। তদন্তে নামলে ডাকনাম ছাড়া আর কোনো কিছু পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা’ হয় ২০১৪ সালে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, সারা দেশে ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে। যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার, নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার। এবং দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৬২১ জন। রাজধানীতে ১০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে বলে উঠে এসেছিল বিবিএসের জরিপে।
এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু রাজধানীতেই এই ভাসমান মানুষের সংখ্যা হবে লাখখানেক। সরকারি, বেসরকারি দুভাবেই এই গণনা করা যেতে পারে। নইলে তাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া রোধে পুলিশের একার পক্ষে প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। জরিপের পরে সরকার ভাসমান এসব মানুষকে কর্মসংস্থান কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা নিয়ে কাজ করে বেশ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও। তাদের অন্তত চারটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাসমান শিশু, মাদকসেবী, যৌনকর্মী, হিজড়া—এমন নানা ভাগে কাজ করে তারা। পুরো জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কোনো সংগঠন কাজ করে না।
সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
৭ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
৮ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
১৫ দিন আগেমালয়েশিয়ায় জঙ্গিসংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক করে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর পর তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১৫ দিন আগে