রাশেদ নিজাম, ঢাকা

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তবু কেন নৃশংস খুন।
তদন্তে জানা যায়, রাতে মাদকসেবী ও রেললাইনের পাশে যৌনকর্মীদের ব্যাপক চাপে রাখতেন আলমগীর। সাত দিনের মাথায় গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিকুঞ্জ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ভাসমান দুই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। মাদকসেবী মোয়াজ্জেম ও রুবেল নামের এই দুজনেই স্বীকার করেন আলমগীরকে খুনের কারণ।
ডিবি গুলশানের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন আগে মাদক নেওয়ার সময় মোয়াজ্জেমকে মারধর করেছিলেন আলমগীর। ওই রাতেও
রেললাইনে বসে মাদক গ্রহণ করে ফেরার সময় তাঁরা ফুটপাতে ঘুমাতে দেখেন আলমগীরকে। পরে দুজন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কড়া জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই পুরো ঘটনা স্বীকার করেছেন দুজন। এ নিয়ে কোনো অপরাধবোধও ছিল না তাঁদের মধ্যে। সাবলীলভাবে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় এসে ফুটপাতে বসবাস শুরু করা মোয়াজ্জেম। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আড়াই বছর আগে ঢাকায় এসে রাস্তাতেই দিন কাটায় রুবেল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মাসে রাজধানীতে ফুটপাত কিংবা ভাসমান মানুষের মাধ্যমে খুনের ঘটনা ঘটে গড়ে দুই থেকে তিনটি। এ ছাড়া শারীরিক হেনস্তা, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা, ছিনতাইসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকও করেছে ডিএমপি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তারের সভাপতিত্বে সেখানে ডিএমপির ৮টি অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জুন মাসের ৪২টি মামলা নিয়ে আলোচনার পরে ১৩টি মামলা ডিএমপি মনিটরিং সেলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অধিকাংশ মামলার আসামিই চিহ্নিত করা যায়নি। কারণ, তাঁদের কোনো পরিচয় কিংবা এলাকা নেই।
বৈঠকে কিশোর গ্যাংয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি, ভাসমান মানুষ নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি, বিট পুলিশিং জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এলাকা, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মেট্রোরেলের প্রকল্প, উত্তরা, খিলগাঁওসহ অন্তত ১৫টি এলাকাকে ভাসমান মানুষের অপরাধের জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যা ওই সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। তিন দিন পর মজনু নামের এক ভবঘুরেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা এই ব্যক্তিই ধর্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানিয়েছিলেন, দিনে তিনি দিনমজুর, হকারের কাজ করেন। রাতে ছিনতাই, চুরির মতো কাজ করতেন। কুর্মিটোলার বিভিন্ন ফুটপাত, সড়কের পাশে রাত কাটাতেন।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ভাসমান ভবঘুরে ছিলেন। রাস্তাতেই বসবাস করতেন। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখায় দীর্ঘদিন কর্মরত মশিউর রহমান। এখন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুলশান বিভাগের। তাঁর মতে, সাধারণত যে অপরাধ হয় তা বাসায়, প্রকাশ্যে রাস্তায়, অফিসে কিংবা পরিকল্পিত কোনো স্থানে। গোয়েন্দারা নানা সমীকরণে সেখান থেকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে একটি বড় অংশ মানুষ ভাসমান হিসেবে বসবাস করেন। তাদের কোনো তথ্য, পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এমনকি অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। তারা এমন জায়গায় বসবাস করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকে না। ফ্লাইওভারের নিচে, ফুটওভার ব্রিজের ওপরে, যাত্রীছাউনির নিচে কিংবা সড়কের পাশে অন্ধকার অংশেই বসবাস তাঁদের। ভাসমান মানুষের বেশির ভাগই মাদকসেবী উল্লেখ করে মশিউর বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে বড় অপরাধ ঘটান এসব মানুষ। তদন্তে নামলে ডাকনাম ছাড়া আর কোনো কিছু পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা’ হয় ২০১৪ সালে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, সারা দেশে ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে। যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার, নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার। এবং দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৬২১ জন। রাজধানীতে ১০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে বলে উঠে এসেছিল বিবিএসের জরিপে।
এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু রাজধানীতেই এই ভাসমান মানুষের সংখ্যা হবে লাখখানেক। সরকারি, বেসরকারি দুভাবেই এই গণনা করা যেতে পারে। নইলে তাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া রোধে পুলিশের একার পক্ষে প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। জরিপের পরে সরকার ভাসমান এসব মানুষকে কর্মসংস্থান কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা নিয়ে কাজ করে বেশ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও। তাদের অন্তত চারটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাসমান শিশু, মাদকসেবী, যৌনকর্মী, হিজড়া—এমন নানা ভাগে কাজ করে তারা। পুরো জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কোনো সংগঠন কাজ করে না।

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তবু কেন নৃশংস খুন।
তদন্তে জানা যায়, রাতে মাদকসেবী ও রেললাইনের পাশে যৌনকর্মীদের ব্যাপক চাপে রাখতেন আলমগীর। সাত দিনের মাথায় গতকাল বিকেলে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নিকুঞ্জ ফ্লাইওভারের নিচ থেকে ভাসমান দুই ব্যক্তিতে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। মাদকসেবী মোয়াজ্জেম ও রুবেল নামের এই দুজনেই স্বীকার করেন আলমগীরকে খুনের কারণ।
ডিবি গুলশানের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, কিছুদিন আগে মাদক নেওয়ার সময় মোয়াজ্জেমকে মারধর করেছিলেন আলমগীর। ওই রাতেও
রেললাইনে বসে মাদক গ্রহণ করে ফেরার সময় তাঁরা ফুটপাতে ঘুমাতে দেখেন আলমগীরকে। পরে দুজন মিলে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কড়া জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই পুরো ঘটনা স্বীকার করেছেন দুজন। এ নিয়ে কোনো অপরাধবোধও ছিল না তাঁদের মধ্যে। সাবলীলভাবে খুনের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুর থেকে বছর পাঁচেক আগে ঢাকায় এসে ফুটপাতে বসবাস শুরু করা মোয়াজ্জেম। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আড়াই বছর আগে ঢাকায় এসে রাস্তাতেই দিন কাটায় রুবেল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, মাসে রাজধানীতে ফুটপাত কিংবা ভাসমান মানুষের মাধ্যমে খুনের ঘটনা ঘটে গড়ে দুই থেকে তিনটি। এ ছাড়া শারীরিক হেনস্তা, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টা, ছিনতাইসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠকও করেছে ডিএমপি। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তারের সভাপতিত্বে সেখানে ডিএমপির ৮টি অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা অংশ নেন। জুন মাসের ৪২টি মামলা নিয়ে আলোচনার পরে ১৩টি মামলা ডিএমপি মনিটরিং সেলে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যার মধ্যে অধিকাংশ মামলার আসামিই চিহ্নিত করা যায়নি। কারণ, তাঁদের কোনো পরিচয় কিংবা এলাকা নেই।
বৈঠকে কিশোর গ্যাংয়ের তথ্যভান্ডার তৈরি, ভাসমান মানুষ নিয়ে নজরদারি বৃদ্ধি, বিট পুলিশিং জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠকে যাত্রাবাড়ী, সদরঘাট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, কারওয়ান বাজার, কমলাপুর রেলস্টেশন, বিমানবন্দর এলাকা, হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ, মেট্রোরেলের প্রকল্প, উত্তরা, খিলগাঁওসহ অন্তত ১৫টি এলাকাকে ভাসমান মানুষের অপরাধের জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ঢাকার কুর্মিটোলায় নির্জন সড়কের পাশে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী, যা ওই সময়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। তিন দিন পর মজনু নামের এক ভবঘুরেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে ১০ বছর আগে ঢাকায় আসা এই ব্যক্তিই ধর্ষক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মজনু জানিয়েছিলেন, দিনে তিনি দিনমজুর, হকারের কাজ করেন। রাতে ছিনতাই, চুরির মতো কাজ করতেন। কুর্মিটোলার বিভিন্ন ফুটপাত, সড়কের পাশে রাত কাটাতেন।
চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানার সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার গণমাধ্যমকে বলেন, আশপাশের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি ভাসমান ভবঘুরে ছিলেন। রাস্তাতেই বসবাস করতেন। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
ডিএমপির গোয়েন্দা শাখায় দীর্ঘদিন কর্মরত মশিউর রহমান। এখন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন গুলশান বিভাগের। তাঁর মতে, সাধারণত যে অপরাধ হয় তা বাসায়, প্রকাশ্যে রাস্তায়, অফিসে কিংবা পরিকল্পিত কোনো স্থানে। গোয়েন্দারা নানা সমীকরণে সেখান থেকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারে। কিন্তু ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে একটি বড় অংশ মানুষ ভাসমান হিসেবে বসবাস করেন। তাদের কোনো তথ্য, পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নেই। এমনকি অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রও নেই। তারা এমন জায়গায় বসবাস করেন, সেখানে সিসি ক্যামেরা থাকে না। ফ্লাইওভারের নিচে, ফুটওভার ব্রিজের ওপরে, যাত্রীছাউনির নিচে কিংবা সড়কের পাশে অন্ধকার অংশেই বসবাস তাঁদের। ভাসমান মানুষের বেশির ভাগই মাদকসেবী উল্লেখ করে মশিউর বলেন, তুচ্ছ বিষয়ে বড় অপরাধ ঘটান এসব মানুষ। তদন্তে নামলে ডাকনাম ছাড়া আর কোনো কিছু পাওয়া যায় না।
সর্বশেষ ‘বস্তিশুমারি ও ভাসমান লোকগণনা’ হয় ২০১৪ সালে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, সারা দেশে ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে। যার মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ৪৩ হাজার, নারী ১০ লাখ ৮৬ হাজার। এবং দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা মাত্র ১৬ হাজার ৬২১ জন। রাজধানীতে ১০ লাখ ৬২ হাজার মানুষ বস্তিতে বাস করে বলে উঠে এসেছিল বিবিএসের জরিপে।
এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যাপক ফাতেমা রেজিনা ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু রাজধানীতেই এই ভাসমান মানুষের সংখ্যা হবে লাখখানেক। সরকারি, বেসরকারি দুভাবেই এই গণনা করা যেতে পারে। নইলে তাদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া রোধে পুলিশের একার পক্ষে প্রতিরোধ সম্ভব হবে না। জরিপের পরে সরকার ভাসমান এসব মানুষকে কর্মসংস্থান কিংবা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারে।
দেশে ভাসমান মানুষের সংখ্যা নিয়ে কাজ করে বেশ কিছু স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও। তাদের অন্তত চারটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভাসমান শিশু, মাদকসেবী, যৌনকর্মী, হিজড়া—এমন নানা ভাগে কাজ করে তারা। পুরো জনগোষ্ঠীকে নিয়ে কোনো সংগঠন কাজ করে না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তব
০৬ আগস্ট ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তব
০৬ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তব
০৬ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৮ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

গত ২৯ জুলাই ভোরে রাজধানীর নিকুঞ্জে লা মেরিডিয়ান হোটেলের উল্টো দিকের ফুটপাতে রক্তাক্ত মরদেহ মেলে আলমগীর (৪০) নামের এক ব্যক্তির। দিনে বনরূপা আবাসিক এলাকার চা দোকানদার, রাতে সড়কের সৌন্দর্য-বর্ধনের জিনিসপত্রের গুদাম পাহারাদার ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে ধন্দে পড়ে যায় পুলিশ। শত্রুতা নেই, দেনা-পাওনা নেই, তব
০৬ আগস্ট ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৭ দিন আগে