Ajker Patrika

দেশের ১৩ স্থানে অবৈধভাবে চলছে বন্য প্রাণী বেচাকেনা: গবেষণা 

আপডেট : ০৩ মার্চ ২০২৩, ১৯: ৩১
দেশের ১৩ স্থানে অবৈধভাবে চলছে বন্য প্রাণী বেচাকেনা: গবেষণা 

দেশের ১৩টি স্থানে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে চলছে বন্য প্রাণী বেচাকেনা। এসব প্রাণীর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পাখি, স্তন্যপায়ী ও সরীসৃপ। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। ‘এক্সপ্লোরিং মার্কেট-বেইজড ওয়াইল্ড লাইফ ট্রেড ডাইনামিকস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি গত বছরের ২৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পার্বত্য এলাকার বান্দরবানের আলীকদম, খাগড়াছড়ির স্বনির্ভর বাজার ও রাঙামাটির বনরুপা বাজার। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশালের পাথরঘাটা, খুলনার খালিশপুর, ফুলতলা ও ভৈরব বাজার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার টঙ্গী বাজার, মিরপুর ১, শাঁখারীবাজার, মেরাদিয়া বাজার, কাপ্তান বাজার মিলে মোট ১৩টি স্থানে অবৈধভাবে চলছে বন্য প্রাণী বেচাকেনা। 

পাচারের শিকার বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও চিতা বাঘ অন্যতমএসব প্রাণী পরবর্তী সময়ে পার্শ্ববর্তী ভারত, মিয়ানমারসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশে পাচার করা হচ্ছে। পাচার হওয়া প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে বেঙ্গল টাইগার, চিতা বাঘ, কুমির, কচ্ছপ, বিষধর সাপ, ছোট সরীসৃপ ও বিভিন্ন ধরনের পাখি। এ ছাড়া মৃত প্রাণীর চামড়া, মাংস, হাড়, দাঁত, নখসহ বিভিন্ন অঙ্গ বাজারে বিক্রি হচ্ছে। জীবিত বন্য প্রাণী ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বেশ উচ্চ মূল্যে বেচাকেনা হয় বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে। 

বন থেকে ধরে পার্শ্ববর্তী বাজারে বিক্রি করা হয় এসব প্রাণী। পরে উড়োজাহাজ ও সমুদ্রপথে জাহাজে করে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়। দেশ থেকে বন্য প্রাণী সবচেয়ে বেশি পাচার হচ্ছে প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারে। আর উড়োজাহাজ ও জাহাজযোগে পাচার করা হচ্ছে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও লাওসে। 

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন গবেষক মো. নাসিরউদ্দিন। গবেষক দলে আরও ছিলেন আরিফুল ইসলাম, তানিয়া আখতার, তাসনিম আরা, দেলোয়ার হোসেন, ক্রেইগ ফুলস্টোন, স্যাম ইনোচ ও অ্যালিস সি. হুগেজ। 

মৃত প্রাণীর চামড়া, হাড়, দাঁত, নখসহ বিভিন্ন অঙ্গ অবৈধভাবে বাজারে বিক্রি হয়বন্য প্রাণী পাচার রোধের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা এ ধরনের অপরাধ নির্মূলের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ ক্ষেত্রে বন বিভাগকে তদন্ত কার্যক্রমে পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন; পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরির বিকল্প নেই। 

আজ বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস। ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলো প্রতিবছর ৩ মার্চ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে থাকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত