আব্দুল আওয়াল, বাগাতিপাড়া (নাটোর)
চলতি বর্ষায় দেশের অনেক স্থানে বন্যা দেখা দিলেও নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদ যেন ধু-ধু বালুচর। নদের দুই স্থানে অপরিকল্পিতভাবে স্লুইসগেট নির্মাণ ও তীরে মাটি ফেলে দখল করায় নদটি পানিশূন্য হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৫ সালে রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় পদ্মাসংলগ্ন বড়াল নদের ওপর সরকারি অর্থায়নে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকেই বড়ালের যৌবনে ভাটা পড়ে। বন্যায় বড়াল নদ আর প্লাবিত হয় না। বড়ালসংলগ্ন বিভিন্ন মাঠ পলিমিশ্রিত পানি আর পায় না। এতে ওই সব জমির উর্বরাশক্তিও হ্রাস পেয়েছে।
স্রোতহীন হয়ে পড়ায় নদটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে পুনরায় সরকারি অর্থায়নে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘড়িয়ায় আরও একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এটিও সফল হয়নি। চারঘাট এলাকার চেয়ে আটঘড়িয়া নিচু এলাকা হওয়ায় ওই স্লুইসগেট বন্ধ করে বড়াল নদ পানিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করলে চারঘাট এলাকা অর্ধপূর্ণ না হতেই আটঘড়িয়া অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সরকারি ওই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। তাই বছরের অর্ধেক সময় বড়াল নদে পানি থাকে না। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ড্রেজিংয়ের অভাবে নদটি দিন দিন নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বড়াল নদ রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মার শাখা হিসেবে বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়াসাগরে মিশে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে।
বড়ালের দুই ধারে ঘুরে দেখা গেছে, নদের তলদেশে মুগ, কলাই, মরিচ, বেগুন, তিল, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলার ঘারলাজ গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও বড়াল নদে প্রচুর মাছ শিকার করেছি, সারা বছর সংসার ভালোই চলত। কিন্তু এখন আর পানি থাকে না। তাই মাছও আর আগের মতো পাওয়া যায় না।’
বারইপাড়া এলাকার নদের ধারের স্থায়ী বাসিন্দা কলেজশিক্ষক শাজাহান কবির বলেন, কয়েক বছর আগেও বর্ষা মৌসুমে বড়াল নদের পানিতে দুই পারের মাঠ প্লাবিত হতো। কিন্তু চারঘাট এলাকায় পদ্মা নদীসংলগ্ন স্থানে ও আটঘড়িয়া এলাকায় উজান-ভাটিতে স্লুইসগেট নির্মাণ করায় নদটি এখন মৃতপ্রায়।
উপজেলার বড়াল নদ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী বলেন, বড়াল নদের মূল প্রতিবন্ধকতাই হলো স্লুইসগেট। আবার নদের দুই তীরের জমির মালিকেরা ফসল চাষের জন্য মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। ফলে দিন দিন নদটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদটি রক্ষা করতে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনেকবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
এদিকে উপজেলা নদীরক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বড়াল নদের সীমানা নির্ধারণের কাজটি শেষ করেছি। ড্রেজিংয়ের কাজটি করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজটি এখনো দৃশ্যমান হয়নি। আর সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে স্লুইসগেটগুলো করা হয়েছে। আমাদের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকলেসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদ-নদী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলমান আছে। এ ছাড়া জেলার বড়াল, নারদ, নন্দকুঁজা ও মুসাখাঁ নদ-নদী খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
চলতি বর্ষায় দেশের অনেক স্থানে বন্যা দেখা দিলেও নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদ যেন ধু-ধু বালুচর। নদের দুই স্থানে অপরিকল্পিতভাবে স্লুইসগেট নির্মাণ ও তীরে মাটি ফেলে দখল করায় নদটি পানিশূন্য হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৫ সালে রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় পদ্মাসংলগ্ন বড়াল নদের ওপর সরকারি অর্থায়নে স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। এর পর থেকেই বড়ালের যৌবনে ভাটা পড়ে। বন্যায় বড়াল নদ আর প্লাবিত হয় না। বড়ালসংলগ্ন বিভিন্ন মাঠ পলিমিশ্রিত পানি আর পায় না। এতে ওই সব জমির উর্বরাশক্তিও হ্রাস পেয়েছে।
স্রোতহীন হয়ে পড়ায় নদটি দিন দিন ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৫ সালে পুনরায় সরকারি অর্থায়নে জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘড়িয়ায় আরও একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হয়। কিন্তু এটিও সফল হয়নি। চারঘাট এলাকার চেয়ে আটঘড়িয়া নিচু এলাকা হওয়ায় ওই স্লুইসগেট বন্ধ করে বড়াল নদ পানিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করলে চারঘাট এলাকা অর্ধপূর্ণ না হতেই আটঘড়িয়া অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে সরকারি ওই পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়। তাই বছরের অর্ধেক সময় বড়াল নদে পানি থাকে না। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় সংস্কার ও ড্রেজিংয়ের অভাবে নদটি দিন দিন নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে।
বড়াল নদ রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মার শাখা হিসেবে বাঘা, নাটোরের বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে বাঘাবাড়ী হয়ে হুড়াসাগরে মিশে যমুনা নদীতে মিলিত হয়েছে।
বড়ালের দুই ধারে ঘুরে দেখা গেছে, নদের তলদেশে মুগ, কলাই, মরিচ, বেগুন, তিল, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলার ঘারলাজ গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও বড়াল নদে প্রচুর মাছ শিকার করেছি, সারা বছর সংসার ভালোই চলত। কিন্তু এখন আর পানি থাকে না। তাই মাছও আর আগের মতো পাওয়া যায় না।’
বারইপাড়া এলাকার নদের ধারের স্থায়ী বাসিন্দা কলেজশিক্ষক শাজাহান কবির বলেন, কয়েক বছর আগেও বর্ষা মৌসুমে বড়াল নদের পানিতে দুই পারের মাঠ প্লাবিত হতো। কিন্তু চারঘাট এলাকায় পদ্মা নদীসংলগ্ন স্থানে ও আটঘড়িয়া এলাকায় উজান-ভাটিতে স্লুইসগেট নির্মাণ করায় নদটি এখন মৃতপ্রায়।
উপজেলার বড়াল নদ রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হাদী বলেন, বড়াল নদের মূল প্রতিবন্ধকতাই হলো স্লুইসগেট। আবার নদের দুই তীরের জমির মালিকেরা ফসল চাষের জন্য মাটি দিয়ে ভরাট করছেন। ফলে দিন দিন নদটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদটি রক্ষা করতে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। অনেকবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না।
এদিকে উপজেলা নদীরক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বড়াল নদের সীমানা নির্ধারণের কাজটি শেষ করেছি। ড্রেজিংয়ের কাজটি করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কাজটি এখনো দৃশ্যমান হয়নি। আর সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে স্লুইসগেটগুলো করা হয়েছে। আমাদের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিগুলো সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকলেসুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদ-নদী থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান চলমান আছে। এ ছাড়া জেলার বড়াল, নারদ, নন্দকুঁজা ও মুসাখাঁ নদ-নদী খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ইমরান খান সাকিব ওরফে শাকিল (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা-পুলিশ। ডিএমপি জানায়, শাকিল পেশাদার ছিনতাইকারী। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে গাজীপুরের পুবাইল থানার কুদাব পশ্চিমপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
৩ দিন আগেরাজধানীর খিলগাঁওয়ের তালতলায় ‘আপন কফি হাউসে’ তরুণীকে মারধরের ঘটনায় কফি হাউসের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) আল আমিন ও কর্মচারী শুভ সূত্রধরকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান এ আদেশ দেন।
৫ দিন আগেক্যামেরার লেন্সে ধরা পড়ল অমানবিক দৃশ্য— মেয়েটিকে বেশ কিছুক্ষণ ধমকানো হলো। এরপর ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। সে যেন মানুষ নয়, পথের ধুলো। এর মধ্যেই এক কর্মচারী হঠাৎ মোটা লাঠি নিয়ে আঘাত করে তাঁর ছোট্ট পায়ে। শিশুটি কাতরাতে কাতরাতে পাশের দুটি গাড়ির ফাঁকে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নির্যাতন থামে না, সেই লাঠি আব
৬ দিন আগেটিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার অনুরোধের মাধ্যমে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বাস্তবে ধর্ষকের পক্ষ নিচ্ছেন। তিনি এই বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অপরাধকে লঘু করার কোনো...
১৬ মার্চ ২০২৫