Ajker Patrika

জুয়ার উপার্জন হারাম

মুনীরুল ইসলাম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬: ৩২
জুয়ার উপার্জন হারাম

জুয়া মারাত্মক সামাজিক অপরাধ। ইসলামের দৃষ্টিতে জুয়া সম্পূর্ণ অবৈধ এবং তা থেকে উপার্জিত অর্থ হারাম। জাহিলি যুগে জুয়ার ব্যাপক প্রচলন ছিল। তারা জুয়ার প্রতি এতই আসক্ত ছিল যে কখনো কখনো স্ত্রী-সন্তানদেরও বাজির উপকরণ বানিয়ে ফেলত। বর্তমানে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে বিশাল অঙ্কের জুয়ার আসর বসে। এ ছাড়া বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সমাজে লটারি, হাউজি, বাজি ধরা, চাক্কি ঘোরানো, রিং নিক্ষেপ ইত্যাদি নামে জুয়ার প্রচলন আছে।

জুয়ার সব প্রক্রিয়াকে হারাম এবং নিষিদ্ধ ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, মদ, জুয়া, প্রতিমা, লটারি—এসব শয়তানের কাজ। তোমরা এগুলো থেকে বিরত থেকো। আশা করা যায়, তোমরা সফল হতে পারবে। নিশ্চয়ই শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চায় এবং আল্লাহর জিকির ও নামাজ থেকে তোমাদের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে। এখন তোমরা কি বিরত থাকবে?’ (সুরা মায়েদা: ৯০-৯১) তিনি আরও বলেন, ‘তারা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। আপনি বলে দিন, উভয়ের মধ্যেই রয়েছে মহাপাপ।’ (সুরা বাকারা: ২১৯)

মহানবী (সা.) শুধু জুয়াকেই হারাম করেননি, বরং জুয়ার ইচ্ছা প্রকাশকেও গুনাহ সাব্যস্ত করেছেন। যে ব্যক্তি অপরকে জুয়া খেলার জন্য ডাকবে, তাকেও গুনাহর প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে কিছু সদকা করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি অপরকে জুয়া খেলায় ডাকবে, তার উচিত কিছু সদকা করে দেওয়া।’ (বুখারি)

সব ধরনের জুয়া অবৈধ এবং এর থেকে উপার্জিত অর্থ হারাম। হারাম সম্পদ ভোগ করে ইবাদত-বন্দেগি করলে আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। তাই জুয়া থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত