জহিরুল আলম পিলু, কদমতলী
দীর্ঘ সময় ধরে যানজট লেগে থাকে। ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদেরও। তবু সরছে না যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা ঘিরে গড়ে ওঠা অবৈধ বাজার। সেখানকার তিনটি রাস্তার অর্ধেক অংশজুড়ে পণ্যসামগ্রী নিয়ে বসে থাকেন হকাররা। মাঝেমধ্যে পুলিশ তাঁদের উচ্ছেদ করলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুনরায় ফিরে আসে। অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে হকারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সিটি ও আন্তজেলার বাসসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাজার হাজার যানবাহন ও পথচারীর চলাচল রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, ‘এমনিতেই রাস্তায় অনেক গাড়ি চলে। তার মধ্যে আবার অর্ধেক রাস্তা দখল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলতে হচ্ছে। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা নেই।’ বাসচালক গনি মিয়া বলেন, ‘এই জায়গাটায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। দখলের কারণে রাস্তা খুবই সরু। যে কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও হয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিবিরবাগিচা ১ নম্বর গেট থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় প্রতিদিনই বসছে প্রায় দেড় শ ফলের দোকান। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধান অনুযায়ী, এখানে কয়েকটি গ্রুপ চাঁদা ওঠায়। যাদের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহিদ হোসেন জুয়েল। তিনি প্রতি দোকান থেকে দুই শ করে টাকা নেন। জুয়েলের টাকা আদায় করে সাজ্জাদ, শাওন ও সাইফুল। আরেক স্থানীয় প্রভাবশালী কাবিলা প্রতি দোকান থেকে ১৫০ টাকা করে নেন। রনি, জনি, সনি ও জামাই সেলিম নেন ১৫০ টাকা করে। এ ছাড়া এখানকার প্রায় ২৫টি দোকান থেকে ৪-৫ শ টাকা নেন জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন। সব মিলিয়ে এপাশ থেকে মাসে মোট চাঁদা আদায় হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এখানকার ফল বিক্রেতা হালিমসহ কয়েকজন বলেন, আমরা কয়েকটি গ্রুপকে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিলসহ ৫ থেকে ৬ শ করে টাকা চাঁদা দিই।
সামাদ সুপার মার্কেটের সামনে বসে ছোট-বড় প্রায় ১২০টি দোকান। এখান থেকে চাঁদা নেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া হাবু, শামীম ও রাসেল ওরফে ডিম রাসেল। এখান থেকে প্রতি মাসে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ওঠে। এখানকার পোশাক বিক্রেতা আলম জানান, ‘প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিলসহ এক শ থেকে দেড় শ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।’
শহীদ ফারুক রোডের ফুটপাতসহ অর্ধেক জায়গা দখল করে বসে প্রায় তিন শ দোকান। এসব দোকান নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় তোরাব আলী নামক এক ব্যক্তি। এখান থেকে ওঠে প্রায় ২৩ লাখ টাকা। এই রোডের লেগুনাচালক বাদশা জানান, রাস্তাজুড়ে হকার বসায় বেশির ভাগ সময়ই যানজট লেগে থাকে। এ বিষয়ে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু জানান, যাত্রাবাড়ীর এই বাজার উঠিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই আমি মেয়র, ডিসি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করেছি।
এখানকার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকারিয়া মেনন বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে হকারদের উঠিয়ে দিই। আমরা চলে গেলে তারা আবার দোকান বসায়।’ ঢাকা-৫ এর সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও চাঁদাবাজদের সাথে সরাসরি ও মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলতে রাজি হননি।
দীর্ঘ সময় ধরে যানজট লেগে থাকে। ভোগান্তি পোহাতে হয় পথচারীদেরও। তবু সরছে না যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা ঘিরে গড়ে ওঠা অবৈধ বাজার। সেখানকার তিনটি রাস্তার অর্ধেক অংশজুড়ে পণ্যসামগ্রী নিয়ে বসে থাকেন হকাররা। মাঝেমধ্যে পুলিশ তাঁদের উচ্ছেদ করলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় পুনরায় ফিরে আসে। অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগে হকারদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা।
যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা দিয়ে প্রতিদিন সিটি ও আন্তজেলার বাসসহ বিভিন্ন ছোট-বড় হাজার হাজার যানবাহন ও পথচারীর চলাচল রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন জানান, ‘এমনিতেই রাস্তায় অনেক গাড়ি চলে। তার মধ্যে আবার অর্ধেক রাস্তা দখল। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলতে হচ্ছে। ফুটপাতে হাঁটার জায়গা নেই।’ বাসচালক গনি মিয়া বলেন, ‘এই জায়গাটায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে। দখলের কারণে রাস্তা খুবই সরু। যে কারণে মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনাও হয়।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিবিরবাগিচা ১ নম্বর গেট থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় প্রতিদিনই বসছে প্রায় দেড় শ ফলের দোকান। আজকের পত্রিকার অনুসন্ধান অনুযায়ী, এখানে কয়েকটি গ্রুপ চাঁদা ওঠায়। যাদের মধ্যে অন্যতম স্থানীয় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাহিদ হোসেন জুয়েল। তিনি প্রতি দোকান থেকে দুই শ করে টাকা নেন। জুয়েলের টাকা আদায় করে সাজ্জাদ, শাওন ও সাইফুল। আরেক স্থানীয় প্রভাবশালী কাবিলা প্রতি দোকান থেকে ১৫০ টাকা করে নেন। রনি, জনি, সনি ও জামাই সেলিম নেন ১৫০ টাকা করে। এ ছাড়া এখানকার প্রায় ২৫টি দোকান থেকে ৪-৫ শ টাকা নেন জাহাঙ্গীরসহ কয়েকজন। সব মিলিয়ে এপাশ থেকে মাসে মোট চাঁদা আদায় হয় প্রায় ২৪ লাখ টাকা। এখানকার ফল বিক্রেতা হালিমসহ কয়েকজন বলেন, আমরা কয়েকটি গ্রুপকে প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিলসহ ৫ থেকে ৬ শ করে টাকা চাঁদা দিই।
সামাদ সুপার মার্কেটের সামনে বসে ছোট-বড় প্রায় ১২০টি দোকান। এখান থেকে চাঁদা নেন ৫০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা পরিচয় দেওয়া হাবু, শামীম ও রাসেল ওরফে ডিম রাসেল। এখান থেকে প্রতি মাসে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ওঠে। এখানকার পোশাক বিক্রেতা আলম জানান, ‘প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিলসহ এক শ থেকে দেড় শ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়।’
শহীদ ফারুক রোডের ফুটপাতসহ অর্ধেক জায়গা দখল করে বসে প্রায় তিন শ দোকান। এসব দোকান নিয়ন্ত্রণ করেন স্থানীয় তোরাব আলী নামক এক ব্যক্তি। এখান থেকে ওঠে প্রায় ২৩ লাখ টাকা। এই রোডের লেগুনাচালক বাদশা জানান, রাস্তাজুড়ে হকার বসায় বেশির ভাগ সময়ই যানজট লেগে থাকে। এ বিষয়ে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কালাম অনু জানান, যাত্রাবাড়ীর এই বাজার উঠিয়ে দিতে ইতিমধ্যেই আমি মেয়র, ডিসি ও সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করেছি।
এখানকার দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর জাকারিয়া মেনন বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে হকারদের উঠিয়ে দিই। আমরা চলে গেলে তারা আবার দোকান বসায়।’ ঢাকা-৫ এর সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও চাঁদাবাজদের সাথে সরাসরি ও মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কথা বলতে রাজি হননি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫