জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত এক প্রতিবেদন বলছে, পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে গত সাত বছরে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন পরিচালকেরা। সবগুলো ব্যাংক থেকে গত মার্চ পর্যন্ত শুধু পরিচালকেরাই নিয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১১ শতাংশ।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের শীর্ষে থাকা ১৬ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক। এর বাইরেও প্রথম প্রজন্মের সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হালের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকসহ কমবেশি প্রায় সব ব্যাংকের পরিচালকেরাই ঋণ নেওয়ার তালিকায় রয়েছেন।
ব্যাংক পরিচালকদের নেওয়া ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকা। অথচ পরবর্তী সাত বছরেই তা বেড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ বিতরণ ও তার ব্যবহারে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এই পরিচালকেরা ব্যবসায়ী, তাঁরাই আবার ব্যাংকের উদ্যোক্তা।
তাঁরা ঋণ নেন ও খেলাপি হন এবং আবার ঋণ নেন। এসব বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এটা ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ ও খেলাপির বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।
নিজেদের ব্যাংক থেকে পরিচালকদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আছে আইনে। এ জন্য পরিচালকেরা অন্য ব্যাংককে টার্গেট করে কাঙ্ক্ষিত ঋণ বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেও, বাকি টাকা অন্য ব্যাংক থেকে নিয়েছেন তাঁরা। পরিচালকেরা ব্যাংকের টাকা যে হারে নিয়েছেন, সে তুলনায় পরিশোধের চিত্র খুবই হতাশাজনক। তবে তাঁরা সামান্য টাকা ফেরত দিয়ে খেলাপি না দেখানোর জন্য কৌশলে ঋণ পুনঃ তফসিল করে রাখেন। তারপরও পরিচালকদের প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক পরিচালকদের ভাগাভাগির ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকেরা যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, কিন্তু পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা। তাঁদের হাতে ঋণ কুক্ষিগত থাকায় অন্যরা ঋণ পাচ্ছেন না। এতে ব্যাংক দুর্বল হচ্ছে। এর সমাধান হতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছায়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।পরিচালকদের ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণ যথাযথ নিয়ম মেনে দেওয়া হয়। তাঁদের খেলাপিও একেবারে কম। আমাদের ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো করতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে সহযোগিতা করেন।’
পরিচালকদের ঋণ দেওয়া ক্ষেত্রে শীর্ষ ১৬-এর মধ্যে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের ঋণ ৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত আগের থেকে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি বেড়েছে। এখানে পরিচালকদের ঋণকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মূলত ব্যাংকঋণের বর্তমান যে অবস্থা চলমান, সে ক্ষেত্রে শুধু পরিচালকেরা নন, সবকিছুর সঙ্গে অর্থনীতি ও রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা করে। আর ৭ হাজার কোটি টাকা করে ঋণ দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। পরিচালকদের ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং সাউথইস্ট ব্যাংক। এ ছাড়া পরিচালকেরা ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইস্টার্ণ ব্যাংক থেকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮১ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে পরিচালকেরা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। পরিচালকেরা ব্যাংক খাতের উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী চলছে।’
আর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে যাচাই-বাছাই করেই ঋণ বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঋণ পাওয়া তো দোষের কিছু না। ব্যাংক কোম্পানি আইনে নিয়মের বিষয়ে বলা রয়েছে।’
প্রাপ্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্য ব্যাংকের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় শীর্ষে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকেরা। তাঁরা নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৯৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৮৯ কোটি টাকা এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৬০ কোটি। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের মোট ঋণ ৭ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক পরিচালকেরাই নিয়েছেন ৭১৫ কোটি টাকা। আর নিজ ব্যাংকের পরিচালকেরা নিয়েছেন ২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক পরিচালকদের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো বাধা নেই। ঋণ না পেলে তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর দেশের নাগরিক হিসেবে তো ঋণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁরা ব্যবসা ভালো চালাতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। সরকার রাজস্ব পাবে।’
ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারায় সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারেন না। নিয়ম মেনেই ঋণ নিতে হয়। তবে কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজস্ব ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তবে আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’
কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচালকদের ঋণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পর্ক, যোগসাজশ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না অধিকাংশ ব্যাংক। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখালেও সংশ্লিষ্ট পরিচালক আদালতে যান। অপরদিকে বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় জানার পরেও ঘটছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অসহায়ত্ব ছাড়া কিছু থাকে না।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত এক প্রতিবেদন বলছে, পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে গত সাত বছরে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন পরিচালকেরা। সবগুলো ব্যাংক থেকে গত মার্চ পর্যন্ত শুধু পরিচালকেরাই নিয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১১ শতাংশ।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের শীর্ষে থাকা ১৬ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক। এর বাইরেও প্রথম প্রজন্মের সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হালের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকসহ কমবেশি প্রায় সব ব্যাংকের পরিচালকেরাই ঋণ নেওয়ার তালিকায় রয়েছেন।
ব্যাংক পরিচালকদের নেওয়া ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকা। অথচ পরবর্তী সাত বছরেই তা বেড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ বিতরণ ও তার ব্যবহারে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এই পরিচালকেরা ব্যবসায়ী, তাঁরাই আবার ব্যাংকের উদ্যোক্তা।
তাঁরা ঋণ নেন ও খেলাপি হন এবং আবার ঋণ নেন। এসব বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এটা ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ ও খেলাপির বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।
নিজেদের ব্যাংক থেকে পরিচালকদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আছে আইনে। এ জন্য পরিচালকেরা অন্য ব্যাংককে টার্গেট করে কাঙ্ক্ষিত ঋণ বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেও, বাকি টাকা অন্য ব্যাংক থেকে নিয়েছেন তাঁরা। পরিচালকেরা ব্যাংকের টাকা যে হারে নিয়েছেন, সে তুলনায় পরিশোধের চিত্র খুবই হতাশাজনক। তবে তাঁরা সামান্য টাকা ফেরত দিয়ে খেলাপি না দেখানোর জন্য কৌশলে ঋণ পুনঃ তফসিল করে রাখেন। তারপরও পরিচালকদের প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক পরিচালকদের ভাগাভাগির ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকেরা যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, কিন্তু পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা। তাঁদের হাতে ঋণ কুক্ষিগত থাকায় অন্যরা ঋণ পাচ্ছেন না। এতে ব্যাংক দুর্বল হচ্ছে। এর সমাধান হতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছায়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।পরিচালকদের ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণ যথাযথ নিয়ম মেনে দেওয়া হয়। তাঁদের খেলাপিও একেবারে কম। আমাদের ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো করতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে সহযোগিতা করেন।’
পরিচালকদের ঋণ দেওয়া ক্ষেত্রে শীর্ষ ১৬-এর মধ্যে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের ঋণ ৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত আগের থেকে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি বেড়েছে। এখানে পরিচালকদের ঋণকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মূলত ব্যাংকঋণের বর্তমান যে অবস্থা চলমান, সে ক্ষেত্রে শুধু পরিচালকেরা নন, সবকিছুর সঙ্গে অর্থনীতি ও রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা করে। আর ৭ হাজার কোটি টাকা করে ঋণ দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। পরিচালকদের ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং সাউথইস্ট ব্যাংক। এ ছাড়া পরিচালকেরা ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইস্টার্ণ ব্যাংক থেকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮১ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে পরিচালকেরা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। পরিচালকেরা ব্যাংক খাতের উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী চলছে।’
আর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে যাচাই-বাছাই করেই ঋণ বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঋণ পাওয়া তো দোষের কিছু না। ব্যাংক কোম্পানি আইনে নিয়মের বিষয়ে বলা রয়েছে।’
প্রাপ্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্য ব্যাংকের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় শীর্ষে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকেরা। তাঁরা নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৯৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৮৯ কোটি টাকা এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৬০ কোটি। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের মোট ঋণ ৭ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক পরিচালকেরাই নিয়েছেন ৭১৫ কোটি টাকা। আর নিজ ব্যাংকের পরিচালকেরা নিয়েছেন ২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক পরিচালকদের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো বাধা নেই। ঋণ না পেলে তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর দেশের নাগরিক হিসেবে তো ঋণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁরা ব্যবসা ভালো চালাতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। সরকার রাজস্ব পাবে।’
ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারায় সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারেন না। নিয়ম মেনেই ঋণ নিতে হয়। তবে কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজস্ব ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তবে আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’
কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচালকদের ঋণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পর্ক, যোগসাজশ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না অধিকাংশ ব্যাংক। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখালেও সংশ্লিষ্ট পরিচালক আদালতে যান। অপরদিকে বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় জানার পরেও ঘটছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অসহায়ত্ব ছাড়া কিছু থাকে না।
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত এক প্রতিবেদন বলছে, পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে গত সাত বছরে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন পরিচালকেরা। সবগুলো ব্যাংক থেকে গত মার্চ পর্যন্ত শুধু পরিচালকেরাই নিয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১১ শতাংশ।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের শীর্ষে থাকা ১৬ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক। এর বাইরেও প্রথম প্রজন্মের সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হালের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকসহ কমবেশি প্রায় সব ব্যাংকের পরিচালকেরাই ঋণ নেওয়ার তালিকায় রয়েছেন।
ব্যাংক পরিচালকদের নেওয়া ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকা। অথচ পরবর্তী সাত বছরেই তা বেড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ বিতরণ ও তার ব্যবহারে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এই পরিচালকেরা ব্যবসায়ী, তাঁরাই আবার ব্যাংকের উদ্যোক্তা।
তাঁরা ঋণ নেন ও খেলাপি হন এবং আবার ঋণ নেন। এসব বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এটা ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ ও খেলাপির বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।
নিজেদের ব্যাংক থেকে পরিচালকদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আছে আইনে। এ জন্য পরিচালকেরা অন্য ব্যাংককে টার্গেট করে কাঙ্ক্ষিত ঋণ বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেও, বাকি টাকা অন্য ব্যাংক থেকে নিয়েছেন তাঁরা। পরিচালকেরা ব্যাংকের টাকা যে হারে নিয়েছেন, সে তুলনায় পরিশোধের চিত্র খুবই হতাশাজনক। তবে তাঁরা সামান্য টাকা ফেরত দিয়ে খেলাপি না দেখানোর জন্য কৌশলে ঋণ পুনঃ তফসিল করে রাখেন। তারপরও পরিচালকদের প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক পরিচালকদের ভাগাভাগির ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকেরা যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, কিন্তু পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা। তাঁদের হাতে ঋণ কুক্ষিগত থাকায় অন্যরা ঋণ পাচ্ছেন না। এতে ব্যাংক দুর্বল হচ্ছে। এর সমাধান হতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছায়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।পরিচালকদের ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণ যথাযথ নিয়ম মেনে দেওয়া হয়। তাঁদের খেলাপিও একেবারে কম। আমাদের ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো করতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে সহযোগিতা করেন।’
পরিচালকদের ঋণ দেওয়া ক্ষেত্রে শীর্ষ ১৬-এর মধ্যে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের ঋণ ৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত আগের থেকে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি বেড়েছে। এখানে পরিচালকদের ঋণকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মূলত ব্যাংকঋণের বর্তমান যে অবস্থা চলমান, সে ক্ষেত্রে শুধু পরিচালকেরা নন, সবকিছুর সঙ্গে অর্থনীতি ও রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা করে। আর ৭ হাজার কোটি টাকা করে ঋণ দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। পরিচালকদের ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং সাউথইস্ট ব্যাংক। এ ছাড়া পরিচালকেরা ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইস্টার্ণ ব্যাংক থেকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮১ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে পরিচালকেরা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। পরিচালকেরা ব্যাংক খাতের উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী চলছে।’
আর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে যাচাই-বাছাই করেই ঋণ বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঋণ পাওয়া তো দোষের কিছু না। ব্যাংক কোম্পানি আইনে নিয়মের বিষয়ে বলা রয়েছে।’
প্রাপ্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্য ব্যাংকের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় শীর্ষে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকেরা। তাঁরা নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৯৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৮৯ কোটি টাকা এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৬০ কোটি। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের মোট ঋণ ৭ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক পরিচালকেরাই নিয়েছেন ৭১৫ কোটি টাকা। আর নিজ ব্যাংকের পরিচালকেরা নিয়েছেন ২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক পরিচালকদের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো বাধা নেই। ঋণ না পেলে তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর দেশের নাগরিক হিসেবে তো ঋণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁরা ব্যবসা ভালো চালাতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। সরকার রাজস্ব পাবে।’
ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারায় সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারেন না। নিয়ম মেনেই ঋণ নিতে হয়। তবে কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজস্ব ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তবে আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’
কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচালকদের ঋণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পর্ক, যোগসাজশ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না অধিকাংশ ব্যাংক। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখালেও সংশ্লিষ্ট পরিচালক আদালতে যান। অপরদিকে বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় জানার পরেও ঘটছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অসহায়ত্ব ছাড়া কিছু থাকে না।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে প্রাপ্ত এক প্রতিবেদন বলছে, পদ-পদবির প্রভাব খাটিয়ে ব্যাংকিং খাত থেকে গত সাত বছরে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা নিয়েছেন পরিচালকেরা। সবগুলো ব্যাংক থেকে গত মার্চ পর্যন্ত শুধু পরিচালকেরাই নিয়েছেন ২ লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকা, যা ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ১১ শতাংশ।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের শীর্ষে থাকা ১৬ ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে পূবালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক ও ইস্টার্ণ ব্যাংক। এর বাইরেও প্রথম প্রজন্মের সোনালী ব্যাংক থেকে শুরু করে হালের সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকসহ কমবেশি প্রায় সব ব্যাংকের পরিচালকেরাই ঋণ নেওয়ার তালিকায় রয়েছেন।
ব্যাংক পরিচালকদের নেওয়া ঋণের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০১৬ সালে ব্যাংক পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ছিল ৯০ হাজার কোটি টাকা। অথচ পরবর্তী সাত বছরেই তা বেড়েছে ১ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ বিতরণ ও তার ব্যবহারে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারছে না ব্যাংকগুলো। এই পরিচালকেরা ব্যবসায়ী, তাঁরাই আবার ব্যাংকের উদ্যোক্তা।
তাঁরা ঋণ নেন ও খেলাপি হন এবং আবার ঋণ নেন। এসব বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। এটা ব্যাংক ও অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ ও খেলাপির বিষয়ে নজর দিচ্ছে না।
নিজেদের ব্যাংক থেকে পরিচালকদের ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আছে আইনে। এ জন্য পরিচালকেরা অন্য ব্যাংককে টার্গেট করে কাঙ্ক্ষিত ঋণ বাগিয়ে নিয়েছেন। নিজ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা হলেও, বাকি টাকা অন্য ব্যাংক থেকে নিয়েছেন তাঁরা। পরিচালকেরা ব্যাংকের টাকা যে হারে নিয়েছেন, সে তুলনায় পরিশোধের চিত্র খুবই হতাশাজনক। তবে তাঁরা সামান্য টাকা ফেরত দিয়ে খেলাপি না দেখানোর জন্য কৌশলে ঋণ পুনঃ তফসিল করে রাখেন। তারপরও পরিচালকদের প্রায় ৭৫৭ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে।
ব্যাংক পরিচালকদের ভাগাভাগির ঋণের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা মিশনের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যাংকের পরিচালকেরা যোগসাজশে ঋণ ভাগাভাগি করছেন। এতে নিজেদের ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার বাধাটা কার্যকর থাকছে না। আইন থাকার পরেও পরিচালকেরা ঋণ নিচ্ছেন, কিন্তু পরিশোধ করছেন না। এতে স্পষ্ট অনুমান করা যায়, দেশের আইনের চেয়ে শক্তিশালী ব্যাংক পরিচালকেরা। তাঁদের হাতে ঋণ কুক্ষিগত থাকায় অন্যরা ঋণ পাচ্ছেন না। এতে ব্যাংক দুর্বল হচ্ছে। এর সমাধান হতে পারে একমাত্র রাজনৈতিক সদিচ্ছায়।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে ১৭ হাজার কোটি টাকা।পরিচালকদের ১৩ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংক থেকে নেওয়া পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. আব্দুল জব্বার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণ যথাযথ নিয়ম মেনে দেওয়া হয়। তাঁদের খেলাপিও একেবারে কম। আমাদের ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের অবস্থা ভালো। সামনে আরও ভালো করতে কাজ করে যাচ্ছি। কাজ করতে সহযোগিতা করেন।’
পরিচালকদের ঋণ দেওয়া ক্ষেত্রে শীর্ষ ১৬-এর মধ্যে আছে ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটির মোট ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৪৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালকদের ঋণ ৬ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।
পরিচালকদের দেওয়া ঋণের বিষয়ে ব্যাংক এশিয়ার স্বতন্ত্র পরিচালক এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলিলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংকিং খাত নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এ খাত আগের থেকে ব্যাপক প্রসার লাভ করেছে। মোট ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে পরিচালকদের ঋণের পরিমাণও বেড়েছে। পাশাপাশি খেলাপি বেড়েছে। এখানে পরিচালকদের ঋণকে আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। মূলত ব্যাংকঋণের বর্তমান যে অবস্থা চলমান, সে ক্ষেত্রে শুধু পরিচালকেরা নন, সবকিছুর সঙ্গে অর্থনীতি ও রাজনীতির সম্পর্ক রয়েছে।’
প্রতিবেদনের তথ্যমতে, শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পরিচালকদের ঋণ দিয়েছে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা করে। আর ৭ হাজার কোটি টাকা করে ঋণ দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক ও অগ্রণী ব্যাংক। পরিচালকদের ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দিয়েছে ঢাকা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং সাউথইস্ট ব্যাংক। এ ছাড়া পরিচালকেরা ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইস্টার্ণ ব্যাংক থেকে।
রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৮১ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। তার মধ্যে পরিচালকেরা নিয়েছেন ৩ হাজার ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে ঢাকা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে। পরিচালকেরা ব্যাংক খাতের উন্নয়নে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ঋণ ব্যবস্থাপনা নিয়ম অনুযায়ী চলছে।’
আর সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফজাল করিম বলেন, ‘যথাযথ নিয়ম মেনে যাচাই-বাছাই করেই ঋণ বিতরণ করা হয়। সে ক্ষেত্রে পরিচালকদের ক্ষেত্রেও ঋণ পেতে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ঋণ পাওয়া তো দোষের কিছু না। ব্যাংক কোম্পানি আইনে নিয়মের বিষয়ে বলা রয়েছে।’
প্রাপ্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অন্য ব্যাংকের পাশাপাশি নিজস্ব ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ায় শীর্ষে রয়েছে এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকেরা। তাঁরা নিজের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ৯৫০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৮৯ কোটি টাকা এবং চতুর্থ অবস্থানে থাকা স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণ ৬০ কোটি। এ ছাড়া পঞ্চম অবস্থানে থাকা প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালকদের নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের মোট ঋণ ৭ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক পরিচালকেরাই নিয়েছেন ৭১৫ কোটি টাকা। আর নিজ ব্যাংকের পরিচালকেরা নিয়েছেন ২২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও হাবিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক পরিচালকদের অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে কোনো বাধা নেই। ঋণ না পেলে তাঁদের ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হবে। আর দেশের নাগরিক হিসেবে তো ঋণ পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁরা ব্যবসা ভালো চালাতে পারলে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে। সরকার রাজস্ব পাবে।’
ব্যাংকের পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পরিচালকদের ঋণের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ধারায় সুনির্দিষ্ট বিধান রয়েছে। কেউ চাইলে ইচ্ছেমতো ঋণ নিতে পারেন না। নিয়ম মেনেই ঋণ নিতে হয়। তবে কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে নিজস্ব ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক থেকে ঋণ নেন, তবে আইন অনুযায়ী শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।’
কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা হলে তাঁরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, পরিচালকদের ঋণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পর্ক, যোগসাজশ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না অধিকাংশ ব্যাংক। আবার কোনো কোনো ব্যাংক আগ্রহ দেখালেও সংশ্লিষ্ট পরিচালক আদালতে যান। অপরদিকে বেশির ভাগই প্রভাবশালী হওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারে না। এটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয় জানার পরেও ঘটছে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অসহায়ত্ব ছাড়া কিছু থাকে না।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
২৪ জুলাই ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
২৪ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
২৪ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
১৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

নিজেরা ব্যাংক মালিক ও উদ্যোক্তা। একই সঙ্গে ব্যাংকঋণের বড় গ্রাহকও তাঁরা। সমঝোতার ভিত্তিতে ঋণ নিচ্ছেন একে অন্যের ব্যাংক থেকে। ছাড়ছেন না নিজ ব্যাংককেও। এভাবে নামে–বেনামে গ্রাহকের আমানত পকেটে পুরতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন ব্যাংকের পরিচালকেরা।
২৪ জুলাই ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৯ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১২ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১২ দিন আগে