রাশেদ নিজাম, নরসিংদী থেকে ফিরে

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। দখলবাজ এই ব্যক্তি হলেন নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান (পোটন)।
ভুক্তভোগী ছাড়াও পোটনের একসময়ের কাছের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর পলাশে পোটন অন্তত চারটি বিশাল আকারের জমি দখল করেছেন। সবচেয়ে ছোট জমিটির আয়তন প্রায় ৫০ বিঘা। শীতলক্ষ্যার তীর দখল করে লাগিয়েছেন সাইনবোর্ড। নামমাত্র মূল্যে জোর করে লিখিয়ে নিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ পরিবারের জমি।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, পোটন আগে জাতীয় পার্টি করতেন। পরে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হন।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালের সার কেলেঙ্কারির সময়ও পোটন অন্তত ১০ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন। পরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ভারতে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কামরুল আশরাফ খান পোটনের নম্বরে ফোন করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাঠালেও উত্তর মেলেনি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উত্থান যেভাবে: বাবা আশরাফ উদ্দিন খান (তারা মিয়া) ছিলেন পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বড় ভাই আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলীপ) বর্তমানে নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের এমপি।
দীর্ঘদিন তাঁদের সার ব্যবসায়
জড়িত থাকা একজন জানান, পোটনের মেজ ভাই ইফতেখার উদ্দিন খান (লিটন) ওমানে প্রবাসজীবন কাটিয়ে ১৯৯৩ সালে দেশে আসেন। পলাশের বড় সার ব্যবসায়ী বেনু মিয়ার প্রতিষ্ঠান ইউরেকায় কাজ নেন লিটন। পরে খান ট্রেডার্স নামে নিজেই ব্যবসা খোলেন। সঙ্গে রাখেন পোটনকে। কারণ, আশরাফ উদ্দিন খান মারা যাওয়ার পর দুই দফা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন পোটন। লিটনের টাকা আর পোটনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে দ্রুত তাঁরা নিয়ন্ত্রণ নেন সার ব্যবসার।
স্থানীয় দুজন প্রবীণ রাজনীতিক জানান, ১৯৯১ সাল থেকে পোটন ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের পুরোনো আসবাব নিলামে কিনে পরে রং লাগিয়ে বেচতেন। তাতেও চাতুরীর আশ্রয় নেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ বিদেশ চলে যাবেন, তাই কম দামে বাসার আসবাব বেচে দেবেন। ১৯৯৬ সালে দেশব্যাপী সারের সংকটকালে নরসিংদীতে খান ট্রেডার্সের গুদামে ছিল প্রায় ২০ হাজার টন ইউরিয়া। ১৮৬ টাকা ২৫ পয়সার বস্তা ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সারের ডিলারদের ধরপাকড় শুরু হলে লিটন ও পোটন ভারতে পালিয়ে যান। মাসতিনেক পর বিএনপির তখনকার মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়াকে ম্যানেজ করে তাঁরা দেশে ফেরেন। কিছুদিন পরই ঢাকামুখী হয়ে যান পোটন। টয়েনবি সার্কুলার রোডে অফিস নিয়ে পোটন ট্রেডার্স নামে শুরু করেন সার পরিবহন ব্যবসা।
এমপি হয়েই দখলবাজি: ঘোড়াশাল পৌরসভার রাস্তা ধরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষে পাইকসা এলাকায় ওমেরা গ্যাস, প্রাণ, জনতা জুট মিলসসহ বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যদিও এলাকাটির নাম হয়ে গেছে এমপি লাইন। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রাণের পার্কিং। এর সামনে বড় সাইনবোর্ড লেখা, ‘এই সম্পত্তির মালিক আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম খান (পোটন) এমপি’। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রাচীরঘেরা জায়গাটির পরিমাণ ৫০ বিঘার বেশি।
পাশেই একটি জমিতে বালু তোলার কাজ করছিলেন মঞ্জুর মোরশেদ লিটন (৫৫)। তিনি জানান, এমপি থাকাকালে পোটন প্রথমে কিছু জমি কেনেন। তারপর শুরু করেন দখল। মঞ্জুর মোরশেদ লিটনের বাবা হেলাল উদ্দিন ও চাচা কুদ্দুস আলীর সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি ছিল, যার দাম প্রায় ১ কোটি টাকা। প্রথমে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় পোটন জমি দখল করে নেন। লিটন বলেন, ‘হ্যারা প্রশাসন আর ক্যাডার দিয়া আমাদের জায়গাডা দহল কইরা নিছে। হেগো যেই শক্তি, আমরা অনেক দৌড়াদৌড়ি করছিলাম; কিন্তু কোনো সাহায্য পাই নাই। বাধ্য হইয়া জায়গা ছাইড়া দিতে অইছে।’
আরেক ভুক্তভোগী হেমায়েত (৪০) জানান, তাঁদের পরিবারের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে গেছেন পোটন। তাঁদের চার ভাইয়ের নামে ছিল ৮ শতাংশ জমি। ২৪ লাখ টাকায় কেনার কথা বলে রেজিস্ট্রি করার পর দেওয়া হয় মাত্র ৮০ হাজার টাকা। তা প্রত্যাখ্যান করায় পরে কোনো টাকা ছাড়াই জমি দখল করে নেন পোটনের লোকজন।
জোর করে মানুষের ও নদীর জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। নদীর জায়গা দখলের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে জেলা প্রশাসন তদন্ত করবে।
দেশছাড়া হিন্দু পরিবার: ঘোড়াশালের ধলাদিয়া দিগদা এলাকায় প্রায় ১৩০ বিঘা জমি পোটনের দখলে। এমপি থাকাকালে পোটন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০টি পরিবারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে জোর করে ওই জমি কিনে নেন। পরিবারগুলো ভয়ে ভারতে চলে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এমপি সাবের পক্ষ থেকে প্রথমে কইছে ১ লাখ করে টেহা দিব প্রতি ডিসিমিলের লাইগা। কাগজ কইরা নেওনের পরে দিছে ৩০ হাজার কইরা।’
হিন্দুধর্মাবলম্বী এক ব্যক্তির দিগদায় জমি ছিল। কিন্তু পোটনের কাছে অসহায় হয়ে পরে পাশের এলাকায় গিয়ে বাড়ি করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরা এলাকায় এমপিগো লোকজন। আমরা হিন্দু মানুষ, প্রতিবাদ করার সাহস নাই। যেই কয় টেহা দিছে, হেইডা দিয়ে এহানে ঘর উঠাইয়া থাকতাছি।’
নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের দাবি, সহোদরের জবরদখলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। গত ১০ এপ্রিল তিনি বলেন, জমি দখলের বিষয়ে তিনি কিছু শোনেননি। তাঁর কাছে কেউ অভিযোগও দেয়নি।
সার আত্মসাতের তদন্ত: ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানি করা ইউরিয়া সার খালাস করার পর সরকারি গুদামে পৌঁছানোর কাজ পেয়েছিল পোটনের মালিকানাধীন পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। পোটন ৫৮২ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ হাজার টন সার আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল ইস্যু করেন। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে দুদক গত ৪ এপ্রিল বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে। তাতে দুটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনসহ সার পরিবহনের চুক্তির নথিপত্র চাওয়া হয় ১২ এপ্রিলের মধ্যে। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এখনো চিঠির জবাব আসেনি।
কঠোর অবস্থানে থাকার দাবি শিল্পসচিবের: বিসিআইসি সূত্রে জানা যায়, পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি চেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিসিআইসি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিসিআইসিকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য পোটন ট্রেডার্সকে আমরা সময় দিয়েছিলাম, তারা পারেনি। এখন আমরা কঠোর অবস্থানে। বিসিআইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে।’
বিএডিসির জেনারেল ম্যানেজার (সার ব্যবস্থাপনা) আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে পোটন ট্রেডার্সকে কালোতালিকাভুক্ত করি এবং তাদের এবার কাজ দেওয়া হয়নি। তারা বারবার সার বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শুনেছি।’

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য। দখলবাজ এই ব্যক্তি হলেন নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান (পোটন)।
ভুক্তভোগী ছাড়াও পোটনের একসময়ের কাছের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নরসিংদীর পলাশে পোটন অন্তত চারটি বিশাল আকারের জমি দখল করেছেন। সবচেয়ে ছোট জমিটির আয়তন প্রায় ৫০ বিঘা। শীতলক্ষ্যার তীর দখল করে লাগিয়েছেন সাইনবোর্ড। নামমাত্র মূল্যে জোর করে লিখিয়ে নিয়েছেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩০ পরিবারের জমি।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের এক জ্যেষ্ঠ নেতা জানান, পোটন আগে জাতীয় পার্টি করতেন। পরে বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ান। ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হওয়ার পর পলাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি হন।
জানা যায়, ১৯৯৬ সালের সার কেলেঙ্কারির সময়ও পোটন অন্তত ১০ কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন। পরে পালিয়ে গিয়েছিলেন ভারতে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কামরুল আশরাফ খান পোটনের নম্বরে ফোন করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন পাঠালেও উত্তর মেলেনি। তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উত্থান যেভাবে: বাবা আশরাফ উদ্দিন খান (তারা মিয়া) ছিলেন পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বড় ভাই আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলীপ) বর্তমানে নরসিংদী-২ (পলাশ) আসনের এমপি।
দীর্ঘদিন তাঁদের সার ব্যবসায়
জড়িত থাকা একজন জানান, পোটনের মেজ ভাই ইফতেখার উদ্দিন খান (লিটন) ওমানে প্রবাসজীবন কাটিয়ে ১৯৯৩ সালে দেশে আসেন। পলাশের বড় সার ব্যবসায়ী বেনু মিয়ার প্রতিষ্ঠান ইউরেকায় কাজ নেন লিটন। পরে খান ট্রেডার্স নামে নিজেই ব্যবসা খোলেন। সঙ্গে রাখেন পোটনকে। কারণ, আশরাফ উদ্দিন খান মারা যাওয়ার পর দুই দফা ইউপি চেয়ারম্যান ছিলেন পোটন। লিটনের টাকা আর পোটনের প্রভাব কাজে লাগিয়ে দ্রুত তাঁরা নিয়ন্ত্রণ নেন সার ব্যবসার।
স্থানীয় দুজন প্রবীণ রাজনীতিক জানান, ১৯৯১ সাল থেকে পোটন ঢাকায় বিভিন্ন দূতাবাসের পুরোনো আসবাব নিলামে কিনে পরে রং লাগিয়ে বেচতেন। তাতেও চাতুরীর আশ্রয় নেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানিয়েছিলেন, পরিবারসহ বিদেশ চলে যাবেন, তাই কম দামে বাসার আসবাব বেচে দেবেন। ১৯৯৬ সালে দেশব্যাপী সারের সংকটকালে নরসিংদীতে খান ট্রেডার্সের গুদামে ছিল প্রায় ২০ হাজার টন ইউরিয়া। ১৮৬ টাকা ২৫ পয়সার বস্তা ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেন তাঁরা। একপর্যায়ে সারের ডিলারদের ধরপাকড় শুরু হলে লিটন ও পোটন ভারতে পালিয়ে যান। মাসতিনেক পর বিএনপির তখনকার মহাসচিব মান্নান ভূঁইয়াকে ম্যানেজ করে তাঁরা দেশে ফেরেন। কিছুদিন পরই ঢাকামুখী হয়ে যান পোটন। টয়েনবি সার্কুলার রোডে অফিস নিয়ে পোটন ট্রেডার্স নামে শুরু করেন সার পরিবহন ব্যবসা।
এমপি হয়েই দখলবাজি: ঘোড়াশাল পৌরসভার রাস্তা ধরে শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় ঘেঁষে পাইকসা এলাকায় ওমেরা গ্যাস, প্রাণ, জনতা জুট মিলসসহ বেশ কয়েকটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান। যদিও এলাকাটির নাম হয়ে গেছে এমপি লাইন। সেখানে বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রাণের পার্কিং। এর সামনে বড় সাইনবোর্ড লেখা, ‘এই সম্পত্তির মালিক আলহাজ্ব কামরুল ইসলাম খান (পোটন) এমপি’। স্থানীয় কয়েকজন জানান, প্রাচীরঘেরা জায়গাটির পরিমাণ ৫০ বিঘার বেশি।
পাশেই একটি জমিতে বালু তোলার কাজ করছিলেন মঞ্জুর মোরশেদ লিটন (৫৫)। তিনি জানান, এমপি থাকাকালে পোটন প্রথমে কিছু জমি কেনেন। তারপর শুরু করেন দখল। মঞ্জুর মোরশেদ লিটনের বাবা হেলাল উদ্দিন ও চাচা কুদ্দুস আলীর সাড়ে ১৩ শতাংশ জমি ছিল, যার দাম প্রায় ১ কোটি টাকা। প্রথমে স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকায় কেনার প্রস্তাব দেওয়া হয়। রাজি না হওয়ায় পোটন জমি দখল করে নেন। লিটন বলেন, ‘হ্যারা প্রশাসন আর ক্যাডার দিয়া আমাদের জায়গাডা দহল কইরা নিছে। হেগো যেই শক্তি, আমরা অনেক দৌড়াদৌড়ি করছিলাম; কিন্তু কোনো সাহায্য পাই নাই। বাধ্য হইয়া জায়গা ছাইড়া দিতে অইছে।’
আরেক ভুক্তভোগী হেমায়েত (৪০) জানান, তাঁদের পরিবারের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে গেছেন পোটন। তাঁদের চার ভাইয়ের নামে ছিল ৮ শতাংশ জমি। ২৪ লাখ টাকায় কেনার কথা বলে রেজিস্ট্রি করার পর দেওয়া হয় মাত্র ৮০ হাজার টাকা। তা প্রত্যাখ্যান করায় পরে কোনো টাকা ছাড়াই জমি দখল করে নেন পোটনের লোকজন।
জোর করে মানুষের ও নদীর জায়গা দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে নরসিংদীর জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। নদীর জায়গা দখলের বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না। যদি কেউ অভিযোগ করে তাহলে জেলা প্রশাসন তদন্ত করবে।
দেশছাড়া হিন্দু পরিবার: ঘোড়াশালের ধলাদিয়া দিগদা এলাকায় প্রায় ১৩০ বিঘা জমি পোটনের দখলে। এমপি থাকাকালে পোটন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০টি পরিবারের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে জোর করে ওই জমি কিনে নেন। পরিবারগুলো ভয়ে ভারতে চলে গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, ‘এমপি সাবের পক্ষ থেকে প্রথমে কইছে ১ লাখ করে টেহা দিব প্রতি ডিসিমিলের লাইগা। কাগজ কইরা নেওনের পরে দিছে ৩০ হাজার কইরা।’
হিন্দুধর্মাবলম্বী এক ব্যক্তির দিগদায় জমি ছিল। কিন্তু পোটনের কাছে অসহায় হয়ে পরে পাশের এলাকায় গিয়ে বাড়ি করেছেন। তিনি বলেন, ‘পুরা এলাকায় এমপিগো লোকজন। আমরা হিন্দু মানুষ, প্রতিবাদ করার সাহস নাই। যেই কয় টেহা দিছে, হেইডা দিয়ে এহানে ঘর উঠাইয়া থাকতাছি।’
নরসিংদী-২ আসনের এমপি আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপের দাবি, সহোদরের জবরদখলের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। গত ১০ এপ্রিল তিনি বলেন, জমি দখলের বিষয়ে তিনি কিছু শোনেননি। তাঁর কাছে কেউ অভিযোগও দেয়নি।
সার আত্মসাতের তদন্ত: ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানি করা ইউরিয়া সার খালাস করার পর সরকারি গুদামে পৌঁছানোর কাজ পেয়েছিল পোটনের মালিকানাধীন পরিবহন ঠিকাদার মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। পোটন ৫৮২ কোটি টাকা মূল্যের ৭২ হাজার টন সার আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল ইস্যু করেন। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ-সংক্রান্ত নথিপত্র চেয়ে দুদক গত ৪ এপ্রিল বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে। তাতে দুটি কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনসহ সার পরিবহনের চুক্তির নথিপত্র চাওয়া হয় ১২ এপ্রিলের মধ্যে। দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, এখনো চিঠির জবাব আসেনি।
কঠোর অবস্থানে থাকার দাবি শিল্পসচিবের: বিসিআইসি সূত্রে জানা যায়, পোটন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি চেয়ে গত ২০ ডিসেম্বর শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় বিসিআইসি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ বিষয়ে যাবতীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে বিসিআইসিকে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সার পৌঁছে দেওয়ার জন্য পোটন ট্রেডার্সকে আমরা সময় দিয়েছিলাম, তারা পারেনি। এখন আমরা কঠোর অবস্থানে। বিসিআইসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বিধি মোতাবেক জরিমানা ও মামলা করা হয়েছে।’
বিএডিসির জেনারেল ম্যানেজার (সার ব্যবস্থাপনা) আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরা নভেম্বরে পোটন ট্রেডার্সকে কালোতালিকাভুক্ত করি এবং তাদের এবার কাজ দেওয়া হয়নি। তারা বারবার সার বুঝিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে বলে শুনেছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৪ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোতে না পারলেও দখলদারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। সরকারি সার, নদীর তীর, অন্যের জমিসহ অনেক কিছুই তিনি দখল করেছেন। এলাকার সবাই জানলেও ভয়ে মুখ খোলেন না কেউ। তবে ৫৮২ কোটি টাকার সরকারি সার আত্মসাৎ করার খবর প্রকাশের পর ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে নানা তথ্য।
১৪ এপ্রিল ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৩ দিন আগে