অনলাইন ডেস্ক
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বহুল আলোচিত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’। এই দুটি গণহারে ব্যবহার হচ্ছে। পতিত সরকার ও তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার তো হচ্ছেই, ক্ষমতাসীনদের কোনো সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ট্যাগের শিকার হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, তাকে ‘গণহত্যাকারীর দোসর’ বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। এই বিচার নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এবং এসব ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেই। এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদনও করা হয়। যদিও সেই আবেদন শোনার এখতিয়ার নেই বলে খারিজ করা হয়েছে। তবে আবেদনের ‘মেরিট’ বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বিশ্বজুড়ে গণহত্যার বিচার সংঘটিত হয় জাতিসংঘের একটি সনদ অনুসারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গৃহীত ওই সনদের ভিত্তিতে জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রায়ালে প্রথম বিচার হয়। এরপরে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ (আইসিসি) আরো কয়েকটি ট্রাইব্যুনাল এই সনদের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। Genocide Convention (জেনোসাইড কনভেনশন) বা গণহত্যা সনদ নামে পরিচিত এই সনদে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এই সনদ অনুসারে গৃহীত হয়। সেই সনদে গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
গণহত্যা সনদ কী?
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদান সম্পর্কিত সনদ বা সংক্ষেপে গণহত্যা সনদ হল একটি আন্তর্জাতিক আইন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়। এই সনদেই প্রথমবারের মতো গণহত্যার (জেনোসাইড) অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
সনদে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস’ করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধই গণহত্যা। এই সনদ অনুযায়ী, গণহত্যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা তথাকথিত ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ এই সনদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে এই সনদে। এর মধ্যে আছে— সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দায়িত্ব সংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাসক, সরকারি কর্মকর্তা বা বেসরকারি ব্যক্তি (৪নং অনুচ্ছেদ) সকলের উপর বর্তায়।
গণহত্যার সংজ্ঞা
সনদের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ নিম্নলিখিত কাজগুলো সংঘটিত হলে তা গণহত্যা বলে বিবেচিত হবে—
১. নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা
২. গোষ্ঠীর সদস্যদের মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা
৩. সম্পূর্ণ বা আংশিক শারীরিক ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তেমন জীবনযাত্রার পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া
৪. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ
৫. গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে জোরপূর্বক স্থানান্তর
গণহত্যা অপরাধ গণ্য হওয়ার বিশেষ শর্ত
গণহত্যার সংজ্ঞায় দুটি উপাদান রয়েছে— (১) শারীরিক উপাদান বা সংঘটিত কাজগুলো এবং (২) মানসিক উপাদান বা অপরাধীদের উদ্দেশ্য। সনদে বর্ণিত সংজ্ঞায় উল্লেখিত কোনো একটি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার ‘সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য’ নিয়ে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হতে হবে। এইভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হলে তা গণহত্যা হিসেবে গণ্য হবে না।
গণহত্যা সনদে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা
১. গণহত্যা না করা (অনুচ্ছেদ ১)
২. গণহত্যা প্রতিরোধ করা (অনুচ্ছেদ ১), যা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের মতে আঞ্চলিকভাবে প্রযোজ্য।
৩. গণহত্যার জন্য শাস্তি প্রদান করা (অনুচ্ছেদ ১)।
৪. সনদের বিধান কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৫. গণহত্যার অপরাধের জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৬. গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্তদের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা (অনুচ্ছেদ ৬)।
৭. গণহত্যার জন্য অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করা (অনুচ্ছেদ ৭)।
গণহত্যা সনদের গুরুত্ব
গণহত্যা সনদের গ্রহণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রথম মানবাধিকার চুক্তি ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বরতার পর ‘আর কখনো নয়’ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ছিল।
গ্রহণের তারিখ: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১২ জানুয়ারি ১৯৫১
সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংখ্যা: ১৫০ (জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত)
গণহত্যার সনদে স্বাক্ষর করেছে যারা
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০টি রাষ্ট্র এই সনদ অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই সনদ অনুমোদন বা এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এটি একটি সর্বজনীন চুক্তি হয়ে ওঠে।
৪৪টি রাষ্ট্র এখনো সনদটি অনুমোদন করেনি, যার মধ্যে রয়েছে—
আমেরিকা: ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গ্রেনাডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সুরিনাম।
আফ্রিকা: অ্যাঙ্গোলা, বোতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কঙ্গো, জিবুতি, কেনিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া প্রভৃতি।
এশিয়া: ভুটান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, কাতার, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু ইত্যাদি।
গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে আর কখনো মানবজাতিকে এই নৃশংসতার শিকার হতে না হয়।
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বহুল আলোচিত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’। এই দুটি গণহারে ব্যবহার হচ্ছে। পতিত সরকার ও তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার তো হচ্ছেই, ক্ষমতাসীনদের কোনো সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ট্যাগের শিকার হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, তাকে ‘গণহত্যাকারীর দোসর’ বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। এই বিচার নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এবং এসব ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেই। এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদনও করা হয়। যদিও সেই আবেদন শোনার এখতিয়ার নেই বলে খারিজ করা হয়েছে। তবে আবেদনের ‘মেরিট’ বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বিশ্বজুড়ে গণহত্যার বিচার সংঘটিত হয় জাতিসংঘের একটি সনদ অনুসারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গৃহীত ওই সনদের ভিত্তিতে জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রায়ালে প্রথম বিচার হয়। এরপরে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ (আইসিসি) আরো কয়েকটি ট্রাইব্যুনাল এই সনদের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। Genocide Convention (জেনোসাইড কনভেনশন) বা গণহত্যা সনদ নামে পরিচিত এই সনদে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এই সনদ অনুসারে গৃহীত হয়। সেই সনদে গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
গণহত্যা সনদ কী?
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদান সম্পর্কিত সনদ বা সংক্ষেপে গণহত্যা সনদ হল একটি আন্তর্জাতিক আইন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়। এই সনদেই প্রথমবারের মতো গণহত্যার (জেনোসাইড) অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
সনদে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস’ করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধই গণহত্যা। এই সনদ অনুযায়ী, গণহত্যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা তথাকথিত ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ এই সনদের অন্তর্ভুক্ত নয়।
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে এই সনদে। এর মধ্যে আছে— সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দায়িত্ব সংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাসক, সরকারি কর্মকর্তা বা বেসরকারি ব্যক্তি (৪নং অনুচ্ছেদ) সকলের উপর বর্তায়।
গণহত্যার সংজ্ঞা
সনদের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ নিম্নলিখিত কাজগুলো সংঘটিত হলে তা গণহত্যা বলে বিবেচিত হবে—
১. নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা
২. গোষ্ঠীর সদস্যদের মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা
৩. সম্পূর্ণ বা আংশিক শারীরিক ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তেমন জীবনযাত্রার পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া
৪. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ
৫. গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে জোরপূর্বক স্থানান্তর
গণহত্যা অপরাধ গণ্য হওয়ার বিশেষ শর্ত
গণহত্যার সংজ্ঞায় দুটি উপাদান রয়েছে— (১) শারীরিক উপাদান বা সংঘটিত কাজগুলো এবং (২) মানসিক উপাদান বা অপরাধীদের উদ্দেশ্য। সনদে বর্ণিত সংজ্ঞায় উল্লেখিত কোনো একটি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার ‘সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য’ নিয়ে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হতে হবে। এইভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হলে তা গণহত্যা হিসেবে গণ্য হবে না।
গণহত্যা সনদে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা
১. গণহত্যা না করা (অনুচ্ছেদ ১)
২. গণহত্যা প্রতিরোধ করা (অনুচ্ছেদ ১), যা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের মতে আঞ্চলিকভাবে প্রযোজ্য।
৩. গণহত্যার জন্য শাস্তি প্রদান করা (অনুচ্ছেদ ১)।
৪. সনদের বিধান কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৫. গণহত্যার অপরাধের জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৬. গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্তদের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা (অনুচ্ছেদ ৬)।
৭. গণহত্যার জন্য অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করা (অনুচ্ছেদ ৭)।
গণহত্যা সনদের গুরুত্ব
গণহত্যা সনদের গ্রহণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রথম মানবাধিকার চুক্তি ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বরতার পর ‘আর কখনো নয়’ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ছিল।
গ্রহণের তারিখ: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১২ জানুয়ারি ১৯৫১
সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংখ্যা: ১৫০ (জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত)
গণহত্যার সনদে স্বাক্ষর করেছে যারা
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০টি রাষ্ট্র এই সনদ অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই সনদ অনুমোদন বা এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এটি একটি সর্বজনীন চুক্তি হয়ে ওঠে।
৪৪টি রাষ্ট্র এখনো সনদটি অনুমোদন করেনি, যার মধ্যে রয়েছে—
আমেরিকা: ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গ্রেনাডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সুরিনাম।
আফ্রিকা: অ্যাঙ্গোলা, বোতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কঙ্গো, জিবুতি, কেনিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া প্রভৃতি।
এশিয়া: ভুটান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, কাতার, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু ইত্যাদি।
গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে আর কখনো মানবজাতিকে এই নৃশংসতার শিকার হতে না হয়।
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪