নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: পাঁচ বছর ধরে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরছে ১২ বছরের শিশু। গ্রামের একটি পাটখেত থেকে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বড় ভাইকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তার কাছ থেকে আদায় করা হয় হত্যার স্বীকারোক্তি। এ মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার।
সম্প্রতি ‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে আজ সোমবার সেটির শুনানি হয়। শুনানির সময় ‘ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় বড় ভাইয়ের জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় দুঃখজনক। ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে আরও বলেন, ‘এটা তো দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনো জানি না, কী ঘটেছে।’
পরে আদালত আগামী মঙ্গলবার (২৯ জুন) পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘একজন বাবা তাঁর এক সন্তানকে হারিয়েছেন। ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। এটি একটি অমানবিক ঘটনা।’
আইনজীবী আরও বলেন, ‘১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। শিশু আদালতের সামনে এল অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়।’
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটখেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাইকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয়। এই মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে কোথাও সহায়তা না পেয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
আরও জানা গেছে, মহিদুল ইসলাম তার শিশু ছেলেকে উদ্ধারের পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে করা এ মামলা তদন্ত করেন এসআই নয়ন। তিনি মহিদুল ইসলামের বড় ছেলে সৌরভকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে যান। রাতে তাকে মারধর করে আদায় করা হয় স্বীকারোক্তি। সৌরভকে দিয়ে বলানো হয়, সে নিজেই তার ভাইকে খুন করে পাটখেতে ফেলে রেখেছে। শিশু সৌরভকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়। একসময় তার জামিন হয়। সে সবকিছু খুলে বলে। এই মামলা একসময় তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইয়ের হাতে। তারা তদন্ত করে জানতে পারে, স্থানীয় বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম ও বিল্লাল হোসেন শিশু সোহাগকে হত্যা করে পাটখেতে মৃতদেহ ফেলে রেখেছিলেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
ঢাকা: পাঁচ বছর ধরে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরছে ১২ বছরের শিশু। গ্রামের একটি পাটখেত থেকে ছোট ভাইয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বড় ভাইকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর তার কাছ থেকে আদায় করা হয় হত্যার স্বীকারোক্তি। এ মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার।
সম্প্রতি ‘পুলিশের ভুলে ১২ বছরের শিশুর ঘাড়ে ছোট ভাই হত্যার দায়’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি হাইকোর্টে উত্থাপন করেন আইনজীবী মুহাম্মদ শিশির মনির।
প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করে হাইকোর্টে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে আজ সোমবার সেটির শুনানি হয়। শুনানির সময় ‘ছোট ভাইকে হত্যার ঘটনায় বড় ভাইয়ের জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় দুঃখজনক। ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি হবে আমাদের জন্য দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ শুনানিতে আরও বলেন, ‘এটা তো দুঃখজনক। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং এটি যদি সত্য হয়, তাহলে সেটি আমাদের দেশের জন্য দুঃখজনক। আমরা এখনো জানি না, কী ঘটেছে।’
পরে আদালত আগামী মঙ্গলবার (২৯ জুন) পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘একজন বাবা তাঁর এক সন্তানকে হারিয়েছেন। ওই সন্তান হত্যার অভিযোগে বড় ছেলে যার বয়স ১২ বছর, সে হয় আসামি। উল্টো বাড়িঘরও ছাড়তে হয়েছে সন্তানের বাবা-মাকে। এটি একটি অমানবিক ঘটনা।’
আইনজীবী আরও বলেন, ‘১২ বছরের একটি শিশুকে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়েছে। শিশু আদালতের সামনে এল অথচ আইন থাকার পরও কোনো পদক্ষেপ নেই। এ কারণে বিষয়টি দেখভালের জন্য আমরা আপনাদের কাছে এসেছি। যাতে ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে সুষ্ঠু বিচার সম্পন্ন হয়।’
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ছোট ভাইকে হত্যার দায় নিয়ে ঘুরতে হচ্ছে ১২ বছর বয়সী বড় ভাইকে। সে বছর ২৫ আগস্ট বগুড়ার কাটাখালী গ্রামের একটি পাটখেত থেকে উদ্ধার করা হয় মহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগের মরদেহ। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে পুলিশ বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় বড় ভাইকে। জোর করে হত্যার স্বীকারোক্তিও নেওয়া হয়। এই মামলায় এখন বাড়িছাড়া পুরো পরিবার। এদিকে সন্তান হত্যা এবং আরেক সন্তানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ থেকে রক্ষা পেতে কোথাও সহায়তা না পেয়ে দিশেহারা পরিবারটি।
আরও জানা গেছে, মহিদুল ইসলাম তার শিশু ছেলেকে উদ্ধারের পর বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিদের নামে করা এ মামলা তদন্ত করেন এসআই নয়ন। তিনি মহিদুল ইসলামের বড় ছেলে সৌরভকে বাড়ির সামনে থেকে ধরে নিয়ে যান। রাতে তাকে মারধর করে আদায় করা হয় স্বীকারোক্তি। সৌরভকে দিয়ে বলানো হয়, সে নিজেই তার ভাইকে খুন করে পাটখেতে ফেলে রেখেছে। শিশু সৌরভকে পরে কারাগারে পাঠানো হয়। একসময় তার জামিন হয়। সে সবকিছু খুলে বলে। এই মামলা একসময় তদন্তের দায়িত্ব পড়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা পিবিআইয়ের হাতে। তারা তদন্ত করে জানতে পারে, স্থানীয় বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম ও বিল্লাল হোসেন শিশু সোহাগকে হত্যা করে পাটখেতে মৃতদেহ ফেলে রেখেছিলেন। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
সাতক্ষীরার ওয়ারী গ্রামে ব্যবসায়ী স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর বুকের ওপর ‘সরি জান, আই লাভ ইউ’ লিখে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ওয়ারিয়ার পালপাড়ায় একটি ভাড়া বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করেছে।
৬ দিন আগেরাজধানীর উত্তরায় প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৩ ‘কিশোর গ্যাং’ সদস্যকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজা রিমান্ডে নেওয়ার এ আদেশ দেন।
১৫ দিন আগেরাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় নির্যাতনের শিকার কল্পনা (১৩) সাড়ে তিন মাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট থেকে তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫