সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের লোভের শিকার হয়ে মাত্র ১৭ বছরেই প্রাণ গেল সিয়ামের।
১৭ মে রাতে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গঞ্জকুমারিয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে উদ্ধার করা হয় সিয়াম সরদারের অর্ধগলিত লাশ। ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের পরে বাক্রুদ্ধ হয়ে গেছেন সিয়ামের বাবা আবুল কালাম।
সিয়ামের বড় ভাই রিয়াদ একই পেশায় নিয়োজিত। তাঁদের বাবা ইতিপূর্বে চাকরি করলেও বর্তমানে তিনি কর্মক্ষম নন। আর তাই রিয়াদ ও সিয়ামকেই ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। ছিনতাইকারীদের লুটে নেওয়া ইজিবাইকটি ছিল তাঁদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু এক ছেলেকে হারানোর পর আরেক ছেলেকে হারাতে চান না সিয়ামের মা। আর তাই রিয়াদকে ইজিবাইক নিয়ে বের হতে নিষেধ করেছেন তিনি।
সিয়ামের মতো এমন ইজিবাইক ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পড়ে মাত্র এক মাসে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের একজন সদর উপজেলার চর সৈয়দপুরের এবং অন্যজন রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নির্মম এসব হত্যাকাণ্ড বেড়ে চলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইজিবাইকচালকদের মধ্যে।
গত ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার চর সৈয়দপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় ইজিবাইকচালক আপনকে (১৭)। পরদিন চর সৈয়দপুর কাঠপট্টি এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নাহিদ (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে হত্যার সূত্র। একটি মেয়েকে পছন্দ নিয়ে দুই বন্ধুর বিরোধ ও ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা করে আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয় আপনকে। পরে তার ইজিবাইক ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
১৭ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ডোবা থেকে ইজিবাইকসহ চালক কোরবান আলীর (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাঁর ওপর হামলা চালায়। তিনি ইজিবাইক নিয়ে ডোবায় পড়ে গেলে চক্রটি ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ইজিবাইক ছিনতাইকারীদের কবলে পরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এর বাইরে আহত করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা অসংখ্য। গত বছরের জুলাই মাসে এই চক্রের প্রায় ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপরে আর কোনো ইজিবাইকচালক হত্যার খবর মেলেনি। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আবারও সক্রিয় হতে শুরু করেছে চক্রটি। এক মাসের কম সময়ে তিনটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ইজিবাইক ছিনতাই ঘিরে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ইজিবাইক ছিনতাই করতে পারলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারে অপরাধীরা। এর জন্য বিভিন্ন গ্যারাজ মালিক ও ওয়ার্কশপের দোকান প্রস্তুত থাকে। তা ছাড়া ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাইকারীরাও এসব টার্গেট নিয়ে থাকে। এসব গ্যারাজ মালিক ও ওয়ার্কশপের তালিকা প্রস্তুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
ইজিবাইকচালকদের হত্যার পেছনে তাদের আর্থিক অসচ্ছলতা ও ঘাতকদের মাদকাসক্তিকে দায়ী করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইজিবাইকচালকদের প্রায় সকলেই নিম্ন বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। তারা সামাজিক ও আর্থিকভাবে দুর্বল থাকে। অন্যদিকে অপরাধীরা বিভিন্ন সময় জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে পুনরায় একই অপরাধ ঘটায়। ফলে ভুক্তভোগীদের চেয়ে অপরাধীরাই বেশি শক্তিশালী হয়ে পড়ে। সংঘবদ্ধ এসব চক্রের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হওয়া জরুরি।’
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধী জামিনে বেরিয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই আছে। কারণ, যে যেই অপরাধে জড়িত, সে সাধারণত সেই ট্র্যাকেই থাকে। কারণ, অপরাধই তার মূল পেশা। বর্তমানে ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এর ফলে চালকেরা ভাড়ার জন্য নির্জন ও দূরবর্তী স্থানে ট্রিপ নিয়ে যায়। এ সময় চক্রের সদস্যরা তাদের আক্রমণ করতে পারে। মূল শহরে এ ধরনের ঘটনা কম। নির্জন এলাকাতেই বেশি ঘটে। এ ক্ষেত্রে চালকদের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছি। এর আগে গ্রেপ্তারের পর এদের কর্মকাণ্ড কমে এসেছিল। শুধু ইজিবাইক নয়, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরির সঙ্গে গ্যারাজ এবং ওয়ার্কশপে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর
পাঞ্চ করে বিক্রির অভিযোগ পাই আমরা। এসব গ্যারাজের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে এই ছিনতাইকারী ও চোর চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হব আশা করছি।’

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের লোভের শিকার হয়ে মাত্র ১৭ বছরেই প্রাণ গেল সিয়ামের।
১৭ মে রাতে সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের গঞ্জকুমারিয়া এলাকার একটি ইটভাটা থেকে উদ্ধার করা হয় সিয়াম সরদারের অর্ধগলিত লাশ। ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে নির্মম এ হত্যাকাণ্ডের পরে বাক্রুদ্ধ হয়ে গেছেন সিয়ামের বাবা আবুল কালাম।
সিয়ামের বড় ভাই রিয়াদ একই পেশায় নিয়োজিত। তাঁদের বাবা ইতিপূর্বে চাকরি করলেও বর্তমানে তিনি কর্মক্ষম নন। আর তাই রিয়াদ ও সিয়ামকেই ধরতে হয়েছে সংসারের হাল। ছিনতাইকারীদের লুটে নেওয়া ইজিবাইকটি ছিল তাঁদের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু এক ছেলেকে হারানোর পর আরেক ছেলেকে হারাতে চান না সিয়ামের মা। আর তাই রিয়াদকে ইজিবাইক নিয়ে বের হতে নিষেধ করেছেন তিনি।
সিয়ামের মতো এমন ইজিবাইক ছিনতাইকারীদের টার্গেটে পড়ে মাত্র এক মাসে প্রাণ হারিয়েছেন আরও দুজন। তাঁদের একজন সদর উপজেলার চর সৈয়দপুরের এবং অন্যজন রূপগঞ্জ উপজেলার নওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নির্মম এসব হত্যাকাণ্ড বেড়ে চলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ইজিবাইকচালকদের মধ্যে।
গত ২৫ এপ্রিল সদর উপজেলার চর সৈয়দপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় ইজিবাইকচালক আপনকে (১৭)। পরদিন চর সৈয়দপুর কাঠপট্টি এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নাহিদ (২৫) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে বেরিয়ে আসে হত্যার সূত্র। একটি মেয়েকে পছন্দ নিয়ে দুই বন্ধুর বিরোধ ও ইজিবাইক ছিনিয়ে নিয়ে বিক্রির পরিকল্পনা করে আসামিরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয় আপনকে। পরে তার ইজিবাইক ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
১৭ মে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি ডোবা থেকে ইজিবাইকসহ চালক কোরবান আলীর (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, নিহতের শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তাঁর ওপর হামলা চালায়। তিনি ইজিবাইক নিয়ে ডোবায় পড়ে গেলে চক্রটি ইজিবাইক ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়। পরে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
পুলিশের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের শুরু থেকে জুলাই পর্যন্ত ইজিবাইক ছিনতাইকারীদের কবলে পরে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এর বাইরে আহত করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা অসংখ্য। গত বছরের জুলাই মাসে এই চক্রের প্রায় ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপরে আর কোনো ইজিবাইকচালক হত্যার খবর মেলেনি। কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আবারও সক্রিয় হতে শুরু করেছে চক্রটি। এক মাসের কম সময়ে তিনটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে ইজিবাইক ছিনতাই ঘিরে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ইজিবাইক ছিনতাই করতে পারলে ভালো দামে বিক্রি করতে পারে অপরাধীরা। এর জন্য বিভিন্ন গ্যারাজ মালিক ও ওয়ার্কশপের দোকান প্রস্তুত থাকে। তা ছাড়া ইজিবাইকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ছিনতাইকারীরাও এসব টার্গেট নিয়ে থাকে। এসব গ্যারাজ মালিক ও ওয়ার্কশপের তালিকা প্রস্তুত করতে উদ্যোগ নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ।
ইজিবাইকচালকদের হত্যার পেছনে তাদের আর্থিক অসচ্ছলতা ও ঘাতকদের মাদকাসক্তিকে দায়ী করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইজিবাইকচালকদের প্রায় সকলেই নিম্ন বা নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার থেকে আসা। তারা সামাজিক ও আর্থিকভাবে দুর্বল থাকে। অন্যদিকে অপরাধীরা বিভিন্ন সময় জেলে গেলেও জামিনে বেরিয়ে পুনরায় একই অপরাধ ঘটায়। ফলে ভুক্তভোগীদের চেয়ে অপরাধীরাই বেশি শক্তিশালী হয়ে পড়ে। সংঘবদ্ধ এসব চক্রের সদস্যদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর হওয়া জরুরি।’
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অপরাধী জামিনে বেরিয়ে পুনরায় একই অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা অবশ্যই আছে। কারণ, যে যেই অপরাধে জড়িত, সে সাধারণত সেই ট্র্যাকেই থাকে। কারণ, অপরাধই তার মূল পেশা। বর্তমানে ইজিবাইকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এর ফলে চালকেরা ভাড়ার জন্য নির্জন ও দূরবর্তী স্থানে ট্রিপ নিয়ে যায়। এ সময় চক্রের সদস্যরা তাদের আক্রমণ করতে পারে। মূল শহরে এ ধরনের ঘটনা কম। নির্জন এলাকাতেই বেশি ঘটে। এ ক্ষেত্রে চালকদের সতর্ক হওয়া জরুরি।’
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারে তৎপর রয়েছি। এর আগে গ্রেপ্তারের পর এদের কর্মকাণ্ড কমে এসেছিল। শুধু ইজিবাইক নয়, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরির সঙ্গে গ্যারাজ এবং ওয়ার্কশপে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর
পাঞ্চ করে বিক্রির অভিযোগ পাই আমরা। এসব গ্যারাজের তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। এর মাধ্যমে এই ছিনতাইকারী ও চোর চক্রকে নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্ষম হব আশা করছি।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের...
২৩ মে ২০২২
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের...
২৩ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের...
২৩ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

পাঁচ সদস্যের পরিবারে উপার্জনক্ষম ছিল দুজন—সিয়াম সরদার ও তার বড় ভাই। বাবা বয়স ও অসুস্থতার কারণে কর্মক্ষমতা হারিয়েছেন। উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম ছিল ইজিবাইক। সেই ইজিবাইকটিই কাল হয়ে দাঁড়াল পরিবারে। ছিনতাইকারীদের...
২৩ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
৩ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
৬ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
৬ দিন আগে