সাইফুল আরিফ জুয়েল, নেত্রকোনা
নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে হাঁস ও হাঁসের ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিরুদ্ধে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও অর্ধেক খরচে নিম্নমানের ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ছোট হাঁস। এসবের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ৩৭৯ জনের মধ্যে ৩০০ জনের হাঁস ফেরত নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হাওরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে হাওরাঞ্চল সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার মদন উপজেলায় হাঁস পালনের জন্য ৩৭৯ জন সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি ঘর ও ১৫টি হাঁস দেওয়ার কথা রয়েছে। একটি হাঁসের ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবে, ৩৭৯ জন সুবিধাভোগীর ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
ঠিকাদার ছাড়াই কাজ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ঠিকাদারের ওই ঘরগুলো তৈরি করে বিতরণ করার কথা। কিন্তু মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন ভিন্ন কথা। ঘর নির্মাণের কোনো ঠিকাদারের তথ্য তাঁদের কার্যালয়ে নেই। এমনকি জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ঠিকাদারের কোনো তথ্য নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় তাজুল ইসলাম নামের একজন কাঠমিস্ত্রি মদন বুড়াপীর মাজার প্রাঙ্গণে হাঁস পালনের ৩৭৯টি ঘর তৈরি করেছেন। পরে এগুলো উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রতিটি ঘরের মালপত্র ও মজুরি বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন ওই মিস্ত্রি।
হাঁসের ঘর নির্মাণকারী তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নেত্রকোনার সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জের বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি আমাকে ঘর নির্মাণ করতে বলে। প্রতিটি ঘর সম্পন্ন করার জন্য আমাকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়েছে। আমি ৩৭৯টি ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
জানতে চাইলে বাবুল মিয়া বলেন, ঢাকার এক ব্যক্তি তাঁকে এই কাজ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিচয় জানেন না তিনি। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি নন।
জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহেদুল আলম বলেন, ঘর নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবাদে হাঁস ফেরত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপকারভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ঘর তৈরি করে পরে হাঁস দেওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক মাস আগে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে হাঁস দেওয়া হয়। বড় হাঁস দেওয়ার কথা থাকলেও ছোট হাঁস দেওয়া হয়। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানালে মাত্র ৭৯ জনকে হাঁস দেওয়া হয়। বাকি ৩০০ উপকারভোগীর হাঁস ফেরত নিয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এখন নিম্নমানের ঘর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তায়রান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাঁস পালনের ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছি। কিন্তু এই প্রকল্পের ঠিকাদারের কোনো তথ্য আমার অফিসে নাই। এই প্রকল্পের ৭৯ জন উপকারভোগী হাঁস পেয়েছে। আকারে ছোট থাকায় ৩০০ জন সুবিধাভোগীর হাঁস ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩৭৯ জনই ঘর পেয়েছে।’
নেত্রকোনার মদন উপজেলার হাওরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মাঝে হাঁস ও হাঁসের ঘর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগের বিরুদ্ধে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও অর্ধেক খরচে নিম্নমানের ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে নির্ধারিত ওজনের চেয়ে ছোট হাঁস। এসবের প্রতিবাদ করায় সম্প্রতি ৩৭৯ জনের মধ্যে ৩০০ জনের হাঁস ফেরত নিয়েছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, হাওরাঞ্চলের হতদরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালে হাওরাঞ্চল সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করা হয়। ২০২৩ সালে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনার মদন উপজেলায় হাঁস পালনের জন্য ৩৭৯ জন সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়। প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে একটি ঘর ও ১৫টি হাঁস দেওয়ার কথা রয়েছে। একটি হাঁসের ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৬ হাজার টাকা। সেই হিসাবে, ৩৭৯ জন সুবিধাভোগীর ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ২২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা।
ঠিকাদার ছাড়াই কাজ নিয়ম অনুযায়ী, একজন ঠিকাদারের ওই ঘরগুলো তৈরি করে বিতরণ করার কথা। কিন্তু মদন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন ভিন্ন কথা। ঘর নির্মাণের কোনো ঠিকাদারের তথ্য তাঁদের কার্যালয়ে নেই। এমনকি জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে ঠিকাদারের কোনো তথ্য নেই। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় তাজুল ইসলাম নামের একজন কাঠমিস্ত্রি মদন বুড়াপীর মাজার প্রাঙ্গণে হাঁস পালনের ৩৭৯টি ঘর তৈরি করেছেন। পরে এগুলো উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রতিটি ঘরের মালপত্র ও মজুরি বাবদ ৩ হাজার ৫০০ টাকা নিয়েছেন ওই মিস্ত্রি।
হাঁসের ঘর নির্মাণকারী তাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নেত্রকোনার সদর উপজেলার লক্ষ্মীগঞ্জের বাবুল মিয়া নামের এক ব্যক্তি আমাকে ঘর নির্মাণ করতে বলে। প্রতিটি ঘর সম্পন্ন করার জন্য আমাকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করে দিয়েছে। আমি ৩৭৯টি ঘর নির্মাণ করে বিতরণ করেছি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
জানতে চাইলে বাবুল মিয়া বলেন, ঢাকার এক ব্যক্তি তাঁকে এই কাজ দিয়েছেন। কিন্তু তাদের পরিচয় জানেন না তিনি। এর বেশি কিছু বলতে তিনি রাজি নন।
জানতে চাইলে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহেদুল আলম বলেন, ঘর নির্মাণে অনিয়ম হয়ে থাকলে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবাদে হাঁস ফেরত
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন উপকারভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, আগে ঘর তৈরি করে পরে হাঁস দেওয়ার কথা। কিন্তু কয়েক মাস আগে প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে হাঁস দেওয়া হয়। বড় হাঁস দেওয়ার কথা থাকলেও ছোট হাঁস দেওয়া হয়। এ নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানালে মাত্র ৭৯ জনকে হাঁস দেওয়া হয়। বাকি ৩০০ উপকারভোগীর হাঁস ফেরত নিয়ে যায়, যা এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এখন নিম্নমানের ঘর দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তায়রান ইকবাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে হাঁস পালনের ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করেছি। কিন্তু এই প্রকল্পের ঠিকাদারের কোনো তথ্য আমার অফিসে নাই। এই প্রকল্পের ৭৯ জন উপকারভোগী হাঁস পেয়েছে। আকারে ছোট থাকায় ৩০০ জন সুবিধাভোগীর হাঁস ফেরত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ৩৭৯ জনই ঘর পেয়েছে।’
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) ওয়াহিদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
৪ দিন আগে১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলামের খালাসের রায় নিয়ে সাংবাদিক ও মানবাধিকার আইন বিশেষজ্ঞ ডেভিড বার্গম্যান আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটর তাজুল ইসলামের ভূমিকাকে স্বার্থের সংঘাত হিসেবে দেখছেন। অতীতে তিনি যাঁদের আইনি সহায়তা দিয়েছেন, তাঁদের মামলায় তাঁর দলের সদস্যদের রাষ্ট্রপক্ষের
৬ দিন আগেময়মনসিংহের সেলিম হোসেনকে জীবিত থাকা সত্ত্বেও ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার’ দেখিয়ে ভাইয়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪১ জনকে আসামি করা হয়। মূল ঘটনা জমিসংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধ ও পুলিশের চরম গাফিলতির নিদর্শন।
৭ দিন আগেরাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফতেহ আলীকে আট দিন, আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ ওরফে আবু রাসেল মাসুদসহ তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
১০ দিন আগে