গাজী আব্দুল কুদ্দুস, ডুমুরিয়া (খুলনা)
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে একটি গ্রামে ১৩টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে অসুস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেঁচুড়ি গ্রামে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
এই গ্রামের মধ্যেই চেঁচুড়ি কেবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেঁচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চেঁচুড়ি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গা ঘেঁষে পাড়া-মহল্লার ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইটভাটা। আধা কিলোমিটার দূরে রয়েছে এলাকার একমাত্র ভবদহ কলেজ।
জানা যায়, কয়েক বছর আগেও শীতকালে অসংখ্য পাখি আসত এ গ্রামে। এখন আর কোনো পাখি আসে না। ইটভাটার প্রভাবে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই ইটভাটার মালিকেরা বিধিবিধান না মেনে বা কোনো দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হরি নদীর খনন করা মাটি। কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে নারকেল, শিরীষ, বাবলা, বাঁশ ও খেজুরগাছের কাঠের গুঁড়ি। ফলদ ও বনজ গাছ কেটে কাঠ পোড়ানোর কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন থাকে। এই এলাকা নারকেল ও খেজুরের রসের জন্য সমৃদ্ধ ছিল। গত কয়েক বছরে এ দুটি গাছের অবশিষ্ট আর নেই বললেই চলে।
অতিরিক্ত কাঠ ও ইট বহনের ফলে গ্রামের রাস্তা ধসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয়রা। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ বাসিন্দারা প্রায়ই নানান অসুস্থতায় ভোগে।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে এলাকার মোহন পাল, শুভংকর পাল, মিলন পাল, অসিত পাল, মহাদেব পাল, নকুল পাল, বাসুদেব পাল, ভোলা নাথ পাল, অসীম পাল, সুবোল পাল, গৌতম পাল, শশধর পাল ও সাধন পাল ইটভাটা কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আরও কয়েকজন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানতে চাইলে ভাটার মালিক মোহন পাল, মহাদেব পালসহ একাধিক মালিক জানান, একসময় তাঁদের পৈতৃক পেশা ছিল কুমারশিল্প, যা এখন বিলুপ্তির পথে। এ কারণে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হিসেবে এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইট পোড়ানো শুরু করেন তাঁরা। কোনো দপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করে তাঁরা ইটভাটার সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাঁরাই দেখভাল করেন।
এ ব্যাপারে চেঁচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, সারা দিন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে পুরো এলাকা।ছেলেমেয়েরা প্রায়ই অসুস্থ থাকে। ইটভাটা পরিচালনার বিষয়ে কোনো ট্রেড লাইসেন্স এবং পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম জহুরুল হক বলেন, যারা ইট পোড়ায়, তারা কারও কথা শোনে না। স্থানীয় কয়েকজনকে ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করে। তাদের লাইসেন্স নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ডুমুরিয়ার ইউএনও শরিফ আসিফ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে কোনো অভিযোগ করেনি। নিয়মনীতি অমান্য করে অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে শিগগির আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে একটি গ্রামে ১৩টি ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। এতে একদিকে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে অসুস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার ধামালিয়া ইউনিয়নের চেঁচুড়ি গ্রামে এসব ইটভাটা গড়ে উঠেছে।
এই গ্রামের মধ্যেই চেঁচুড়ি কেবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চেঁচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও চেঁচুড়ি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গা ঘেঁষে পাড়া-মহল্লার ভেতরেই গড়ে তোলা হয়েছে এসব ইটভাটা। আধা কিলোমিটার দূরে রয়েছে এলাকার একমাত্র ভবদহ কলেজ।
জানা যায়, কয়েক বছর আগেও শীতকালে অসংখ্য পাখি আসত এ গ্রামে। এখন আর কোনো পাখি আসে না। ইটভাটার প্রভাবে এমনটি হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরেই ইটভাটার মালিকেরা বিধিবিধান না মেনে বা কোনো দপ্তরের অনুমতি না নিয়ে ভাটায় ইট তৈরি ও পোড়ানোর কাজ করে যাচ্ছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হরি নদীর খনন করা মাটি। কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে নারকেল, শিরীষ, বাবলা, বাঁশ ও খেজুরগাছের কাঠের গুঁড়ি। ফলদ ও বনজ গাছ কেটে কাঠ পোড়ানোর কারণে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় পুরো এলাকা আচ্ছন্ন থাকে। এই এলাকা নারকেল ও খেজুরের রসের জন্য সমৃদ্ধ ছিল। গত কয়েক বছরে এ দুটি গাছের অবশিষ্ট আর নেই বললেই চলে।
অতিরিক্ত কাঠ ও ইট বহনের ফলে গ্রামের রাস্তা ধসে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এমন অভিযোগ করেন দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক ও স্থানীয়রা। কাঠ পোড়ানোর কালো ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ বাসিন্দারা প্রায়ই নানান অসুস্থতায় ভোগে।
জানা গেছে, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে এলাকার মোহন পাল, শুভংকর পাল, মিলন পাল, অসিত পাল, মহাদেব পাল, নকুল পাল, বাসুদেব পাল, ভোলা নাথ পাল, অসীম পাল, সুবোল পাল, গৌতম পাল, শশধর পাল ও সাধন পাল ইটভাটা কার্যক্রম শুরু করেছেন।
আরও কয়েকজন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। জানতে চাইলে ভাটার মালিক মোহন পাল, মহাদেব পালসহ একাধিক মালিক জানান, একসময় তাঁদের পৈতৃক পেশা ছিল কুমারশিল্প, যা এখন বিলুপ্তির পথে। এ কারণে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হিসেবে এবং চাহিদার কথা বিবেচনা করে ইট পোড়ানো শুরু করেন তাঁরা। কোনো দপ্তরের অনুমতি ছাড়া স্থানীয় প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতার সহযোগিতায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ম্যানেজ করে তাঁরা ইটভাটার সব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাঁরাই দেখভাল করেন।
এ ব্যাপারে চেঁচুড়ি কেবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, সারা দিন ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে পুরো এলাকা।ছেলেমেয়েরা প্রায়ই অসুস্থ থাকে। ইটভাটা পরিচালনার বিষয়ে কোনো ট্রেড লাইসেন্স এবং পরিবেশের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে ধামালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এম জহুরুল হক বলেন, যারা ইট পোড়ায়, তারা কারও কথা শোনে না। স্থানীয় কয়েকজনকে ম্যানেজ করে তারা এ কাজ করে। তাদের লাইসেন্স নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
ডুমুরিয়ার ইউএনও শরিফ আসিফ রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাকে কোনো অভিযোগ করেনি। নিয়মনীতি অমান্য করে অবৈধভাবে পরিচালিত এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে শিগগির আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
২ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪