কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের পাথারিয়াদ্বার গ্রামে পাহাড় কাটার ঘটনায় জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ঘটনার সময় এক্সকাভেটর জব্দ হয়। তবে মামলায় জমির মালিককে আসামি করা হলেও নাম নেই এক্সকাভেটর মালিকের।
জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন উপজেলা পাথারিয়াদ্বার গ্রামে ইউনুছ মিয়ার জমির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরে গত মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যায় এক্সকাভেটরের মালিক ও চালক জাকারিয়া। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাটি কাটার যন্ত্রটি জব্দ করে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার সাংবাদিকদের জানান, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। জড়িতরা পালিয়ে গেছে। মাটি কাটার যন্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির মালিক ইউনুছ মিয়া ও ভেকু মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। তবে গতকাল শুধু জমির মালিক ইউনুছ মিয়াকে আসামি করে মামলা হয়। আসামির তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় যন্ত্রের মালিকের নাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার বলেন, মাটি কাটার যন্ত্রটির মালিকানা ইউপি সদস্য অস্বীকার করছেন। তাই শুধু পাহাড়ের জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে তদন্তে প্রকৃত মালিকের পরিচয় বেরিয়ে এলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক্সকাভেটরটির মালিক গোপিনাথপুর ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। এটি এলাকার সবারই জানা। তাঁদের অভিযোগ, মামলা এড়াতে মালিকানা অস্বীকারের কৌশল বেছে নিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘মালিককে এলাকার সবাই চেনেন। যন্ত্রটি আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রশাসন এটি নিয়ে গেলেই আমি মুক্ত। এসব বিষয়ে আমাকে না জড়ানোর অনুরোধ রইল।’
পাহাড় কাটায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড় কাটায় জড়িত ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন। পাথারিয়াদ্বার, গানপুর, মধুপুর, রামপুর, সুতারমুড়া ও জেঠুয়ামুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে এলাকার নিচু জলাশয়, পুকুর ও বিলে পাহাড়ি মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন। তিনি ইউপি সদস্য এবং প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষকে জিম্মি করে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন পাহাড়ি জনপদগুলোর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
পাথারিয়দ্বার গ্রামের বাসিন্দা ফায়েজ মিয়া জানান, পাহাড় কাটা বেআইনি হলেও আমাদের এলাকায় পাহাড় কাটা যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমার বাড়িটি পাহাড়ি টিলার ওপর। বাড়ির দুদিক দিয়ে বিস্তীর্ণ পাহাড় ও টিলা কাটা হয়েছে। শুনেছি আমার বাড়ির লাগোয়া দক্ষিণ পাশের টিলাটি এক্সকাভেটর দিয়ে কেটে ফেলবে। এরপর আমার বাড়িটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ের মাটি কাটায় জব্দ হওয়া এক্সকাভেটরটির মালিক আমি না। গত ইউপি নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত প্রার্থীরা এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের পাথারিয়াদ্বার গ্রামে পাহাড় কাটার ঘটনায় জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল দুপুরে গোপিনাথপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ঘটনার সময় এক্সকাভেটর জব্দ হয়। তবে মামলায় জমির মালিককে আসামি করা হলেও নাম নেই এক্সকাভেটর মালিকের।
জানা গেছে, বেশ কয়েক দিন উপজেলা পাথারিয়াদ্বার গ্রামে ইউনুছ মিয়ার জমির পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। এমন খবরে গত মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে যায় এক্সকাভেটরের মালিক ও চালক জাকারিয়া। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাটি কাটার যন্ত্রটি জব্দ করে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার সাংবাদিকদের জানান, পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। জড়িতরা পালিয়ে গেছে। মাটি কাটার যন্ত্রটি জব্দ করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমির মালিক ইউনুছ মিয়া ও ভেকু মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে। তবে গতকাল শুধু জমির মালিক ইউনুছ মিয়াকে আসামি করে মামলা হয়। আসামির তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় যন্ত্রের মালিকের নাম।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সনজীব সরকার বলেন, মাটি কাটার যন্ত্রটির মালিকানা ইউপি সদস্য অস্বীকার করছেন। তাই শুধু পাহাড়ের জমির মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তবে তদন্তে প্রকৃত মালিকের পরিচয় বেরিয়ে এলে তাঁর বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েক জন স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এক্সকাভেটরটির মালিক গোপিনাথপুর ইউপি সদস্য মুক্তার হোসেন। এটি এলাকার সবারই জানা। তাঁদের অভিযোগ, মামলা এড়াতে মালিকানা অস্বীকারের কৌশল বেছে নিয়েছেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূইয়া বলেন, ‘মালিককে এলাকার সবাই চেনেন। যন্ত্রটি আমার জিম্মায় রাখা হয়েছে। প্রশাসন এটি নিয়ে গেলেই আমি মুক্ত। এসব বিষয়ে আমাকে না জড়ানোর অনুরোধ রইল।’
পাহাড় কাটায় ভুক্তভোগী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গোপিনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাহাড় কাটায় জড়িত ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন। পাথারিয়াদ্বার, গানপুর, মধুপুর, রামপুর, সুতারমুড়া ও জেঠুয়ামুড়াসহ বিভিন্ন গ্রামের পাহাড়ের মাটি কেটে নিয়ে এলাকার নিচু জলাশয়, পুকুর ও বিলে পাহাড়ি মাটি বিক্রি করে যাচ্ছেন। তিনি ইউপি সদস্য এবং প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার মানুষকে জিম্মি করে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলে দিন দিন পাহাড়ি জনপদগুলোর জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।
পাথারিয়দ্বার গ্রামের বাসিন্দা ফায়েজ মিয়া জানান, পাহাড় কাটা বেআইনি হলেও আমাদের এলাকায় পাহাড় কাটা যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। আমার বাড়িটি পাহাড়ি টিলার ওপর। বাড়ির দুদিক দিয়ে বিস্তীর্ণ পাহাড় ও টিলা কাটা হয়েছে। শুনেছি আমার বাড়ির লাগোয়া দক্ষিণ পাশের টিলাটি এক্সকাভেটর দিয়ে কেটে ফেলবে। এরপর আমার বাড়িটি ধসে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে। আমরা ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মোক্তার হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ের মাটি কাটায় জব্দ হওয়া এক্সকাভেটরটির মালিক আমি না। গত ইউপি নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত প্রার্থীরা এসব প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।’
চাঁদপুর-মুন্সিগঞ্জ নৌ সীমানার মোহনপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর মতলব উত্তর মোহনপুরের চড় আব্দুল্লাহপুর নাছিরার চরে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
৩ দিন আগেরাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবারও অস্ত্রের মুখে একটি পরিবারকে জিম্মি করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে মোহাম্মদপুরের বছিলাসংলগ্ন লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর সড়কের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তত্ত্বাবধায়ক নাসিমা বেগম মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২৮ নভেম্বর ২০২৪রাজধানীর বিমানবন্দরে শরীরে বিশেষ কৌশলে গাঁজা নিয়ে এসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন কিশোর। তাঁরা বর্তমানে কিশোর সংশোধনাগারের রয়েছে।
০৮ নভেম্বর ২০২৪পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে সিঙ্গাপুরে যান দুই ভাই উজ্জ্বল মিয়া ও মো. ঝন্টু। সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে ভাবির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান ছোট ভাই মো. ঝন্টু। পরে দেশে ফিরে ভাবিকে বিয়ে করার জন্য আপন বড় ভাই উজ্জ্বল মিয়াকে খুন করে ছোট ভাই।
০৭ নভেম্বর ২০২৪