নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮১ জন শিক্ষক।
তারা শিক্ষক উৎপল কুমারের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে করা, তাঁর পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে সসম্মানে স্বপদে ফিরিয়ে আনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবের ডামাডোলে ঢাকা পড়ে গেছে অন্তত দুটি ঘটনা, যা শিক্ষাঙ্গনের জন্য স্পষ্টতই অশনিসংকেত। এ দুটি ঘটনায় শিক্ষক হিসেবে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। নড়াইলে এক কলেজ অধ্যক্ষের গলায় পরানো হয়েছে জুতার মালা। আর সাভারে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকেরা বলেন, উৎপল কুমারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের কম সময়ে গ্রেপ্তার ও বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা ওই অধ্যক্ষকে অপমান করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সারা দেশে ভিন্ন ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মের নামে ক্ষমতাবান গোষ্ঠী, রাজনীতিবিদ বা স্থানীয় উন্মত্ত মানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করে প্রচলিত আইন, মানবিক অধিকার, কাণ্ডজ্ঞান ব্যবহার করতে হবে এবং দেশে সব ধর্ম ও মতের মানুষের জন্য উদার অনুকূল সহনশীল পরিবেশ তৈরিতে সরকার, প্রশাসনসহ সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষকদের যে সম্মান একসময় এই সমাজ দিত, আজকাল তা তো অপসৃতই, সঙ্গে জুটছে সহিংসতা এমনকি মৃত্যুও। আজ এমন এক সমাজ-রাষ্ট্র দেখা দিয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থাকে যেনতেন রকমে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, তা দিয়ে কেরানি-আমলা হবে, কিন্তু শিক্ষার যে মূল লক্ষ্য, জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধের লালন, সেসবের অস্তিত্ব যেন নেই সেখানে। শিক্ষকদের প্রাপ্য মূল্য-মর্যাদা দিচ্ছে না আজকের সমাজ।
ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তত প্রথম ঘটনাটিকে আক্রমণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠরা দেখেছে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে। এর আগে এ বছরের এপ্রিল মাসে মুন্সিগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের ক্লাসের আলোচনাকে গোপনে ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছিল তারই ছাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ইসলাম অবমাননা করেছেন। ফলে ওই শিক্ষককে কারাবাস করতে হয়। তারও আগে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
স্পষ্টভাবে বলা ভালো, সারা দেশেই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মুসলমানদের অনুভূতি নিয়ে কতিপয় গোষ্ঠীর অসহিষ্ণুতা বিস্তারের অপচেষ্টা ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। এর মাধ্যমে ক্লাসরুম থেকে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। অল্পতেই তাদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু অনুভূতি যতই নাজুক হোক, তার প্রতিক্রিয়া খুবই আগ্রাসী। প্রতি পূজায় এবং সারা বছর ধরে নানান সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে বাংলাদেশে। সামান্য এক ব্যক্তির ফেসবুকের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় একটি পুরো এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়ে থাকে। সংখ্যাগুরুর দাপটে ‘সংখ্যালঘু’ জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। দেশের সংবিধান-আইন-কানুনে যাই লেখা থাক, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদেরা ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের’ পক্ষেই কাজ করে চলেছেন।
সাভারে শিক্ষক উৎপল কুমার হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮১ জন শিক্ষক।
তারা শিক্ষক উৎপল কুমারের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ে করা, তাঁর পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে সসম্মানে স্বপদে ফিরিয়ে আনাসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবের ডামাডোলে ঢাকা পড়ে গেছে অন্তত দুটি ঘটনা, যা শিক্ষাঙ্গনের জন্য স্পষ্টতই অশনিসংকেত। এ দুটি ঘটনায় শিক্ষক হিসেবে আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। নড়াইলে এক কলেজ অধ্যক্ষের গলায় পরানো হয়েছে জুতার মালা। আর সাভারে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকেরা বলেন, উৎপল কুমারের হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের কম সময়ে গ্রেপ্তার ও বিচার করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ স্বপন কুমারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যারা ওই অধ্যক্ষকে অপমান করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সারা দেশে ভিন্ন ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মের নামে ক্ষমতাবান গোষ্ঠী, রাজনীতিবিদ বা স্থানীয় উন্মত্ত মানুষের দাবিকে অগ্রাহ্য করে প্রচলিত আইন, মানবিক অধিকার, কাণ্ডজ্ঞান ব্যবহার করতে হবে এবং দেশে সব ধর্ম ও মতের মানুষের জন্য উদার অনুকূল সহনশীল পরিবেশ তৈরিতে সরকার, প্রশাসনসহ সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষকদের যে সম্মান একসময় এই সমাজ দিত, আজকাল তা তো অপসৃতই, সঙ্গে জুটছে সহিংসতা এমনকি মৃত্যুও। আজ এমন এক সমাজ-রাষ্ট্র দেখা দিয়েছে, শিক্ষাব্যবস্থাকে যেনতেন রকমে দাঁড় করিয়ে রেখেছে, তা দিয়ে কেরানি-আমলা হবে, কিন্তু শিক্ষার যে মূল লক্ষ্য, জ্ঞানচর্চা ও মানবিক মূল্যবোধের লালন, সেসবের অস্তিত্ব যেন নেই সেখানে। শিক্ষকদের প্রাপ্য মূল্য-মর্যাদা দিচ্ছে না আজকের সমাজ।
ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা হিন্দু সম্প্রদায়ের উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তত প্রথম ঘটনাটিকে আক্রমণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠরা দেখেছে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে। এর আগে এ বছরের এপ্রিল মাসে মুন্সিগঞ্জের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের ক্লাসের আলোচনাকে গোপনে ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দিয়েছিল তারই ছাত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ইসলাম অবমাননা করেছেন। ফলে ওই শিক্ষককে কারাবাস করতে হয়। তারও আগে ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জের এক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে সবার সামনে কান ধরে ওঠবস করান স্থানীয় সংসদ সদস্য।
স্পষ্টভাবে বলা ভালো, সারা দেশেই ‘সংখ্যাগরিষ্ঠ’ মুসলমানদের অনুভূতি নিয়ে কতিপয় গোষ্ঠীর অসহিষ্ণুতা বিস্তারের অপচেষ্টা ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। এর মাধ্যমে ক্লাসরুম থেকে পাড়া-মহল্লা পর্যন্ত ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। অল্পতেই তাদের অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু অনুভূতি যতই নাজুক হোক, তার প্রতিক্রিয়া খুবই আগ্রাসী। প্রতি পূজায় এবং সারা বছর ধরে নানান সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে বাংলাদেশে। সামান্য এক ব্যক্তির ফেসবুকের কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় একটি পুরো এলাকায় সাম্প্রদায়িক হামলা করা হয়ে থাকে। সংখ্যাগুরুর দাপটে ‘সংখ্যালঘু’ জনগোষ্ঠী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না। তারা যেকোনো মুহূর্তে আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। দেশের সংবিধান-আইন-কানুনে যাই লেখা থাক, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদেরা ‘সংখ্যাগরিষ্ঠের’ পক্ষেই কাজ করে চলেছেন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে