ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত ছিনতাই ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে আবাসিক হলের গণরুমে ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করেন গণরুমের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাতে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, মাদক গ্রহণ, হেনস্তা, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছেন তাঁদের অনেকে!
সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত বেড়াতে আসা বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁদের একজন খালিদ হাসান।খালিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে বসে আছেন দর্শনার্থীরা। আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও হলের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে থাকে একজন “রাজা”। দলের একজন গিয়ে টার্গেট করা কোনো এক দর্শনার্থীর কাছে গাঁজা বা মাদকজাতীয় কিছু আছে কি না জানতে চায়, তখন তাঁদের কাছে নেই বললে তার পকেট থেকে একটি গাঁজার প্যাকেট বের করে সেটা দেয়। দর্শনার্থীরা তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন ভাইয়ের সঙ্গে “বেয়াদবি” করা হয়েছে বলে তেড়ে আসে বাকিরা। এসেই মারধর, হেনস্তা করে সঙ্গে থাকা ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে উদ্যানের গেট থেকে বের করে দেয়।’
ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। খালিদ হাসান আরও বলেন, ‘ঘটনাটি দেখার পর নিজেরও কিছু করার ছিল না। তখন আমি ৯৯৯-এ ফোন করি কিন্তু সাড়া পাইনি। প্রতিদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এসব এলাকায়।’ শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতেই উদ্যান ও শহীদ মিনার এলাকায় ঘটে যাওয়া হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের ১৩টি অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ ছাড়া অনেকেই প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
শহীদ মিনার এলাকায় অবাধে বিক্রি হয় গাঁজা, সেবন করা হয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। দেখা যায়, পথশিশুরা ঘুরে ঘুরে এ গাঁজার প্যাকেট বিক্রি করে। নির্দিষ্ট অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে পথশিশুরা বুঝে ওঠে ‘ভাইয়ের গাঁজা লাগবে’। গাঁজা ও বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করে এমন এক শিশুর সঙ্গে কথা হয়। পথশিশুটি বলে, ‘বড় ভাইয়েরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে।’
ক্যাম্পাসে ছিনতাই, অবাধে মাদক গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘উদ্যানের বিষয় আমাদের দায়িত্ব নয়, ক্যাম্পাস ও শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। যখন কোনো মাদকসেবী, অপরাধী সম্পর্কে এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাই, তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত ছিনতাই ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে আবাসিক হলের গণরুমে ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করেন গণরুমের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাতে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, মাদক গ্রহণ, হেনস্তা, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছেন তাঁদের অনেকে!
সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত বেড়াতে আসা বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁদের একজন খালিদ হাসান।খালিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে বসে আছেন দর্শনার্থীরা। আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও হলের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে থাকে একজন “রাজা”। দলের একজন গিয়ে টার্গেট করা কোনো এক দর্শনার্থীর কাছে গাঁজা বা মাদকজাতীয় কিছু আছে কি না জানতে চায়, তখন তাঁদের কাছে নেই বললে তার পকেট থেকে একটি গাঁজার প্যাকেট বের করে সেটা দেয়। দর্শনার্থীরা তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন ভাইয়ের সঙ্গে “বেয়াদবি” করা হয়েছে বলে তেড়ে আসে বাকিরা। এসেই মারধর, হেনস্তা করে সঙ্গে থাকা ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে উদ্যানের গেট থেকে বের করে দেয়।’
ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। খালিদ হাসান আরও বলেন, ‘ঘটনাটি দেখার পর নিজেরও কিছু করার ছিল না। তখন আমি ৯৯৯-এ ফোন করি কিন্তু সাড়া পাইনি। প্রতিদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এসব এলাকায়।’ শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতেই উদ্যান ও শহীদ মিনার এলাকায় ঘটে যাওয়া হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের ১৩টি অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ ছাড়া অনেকেই প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
শহীদ মিনার এলাকায় অবাধে বিক্রি হয় গাঁজা, সেবন করা হয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। দেখা যায়, পথশিশুরা ঘুরে ঘুরে এ গাঁজার প্যাকেট বিক্রি করে। নির্দিষ্ট অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে পথশিশুরা বুঝে ওঠে ‘ভাইয়ের গাঁজা লাগবে’। গাঁজা ও বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করে এমন এক শিশুর সঙ্গে কথা হয়। পথশিশুটি বলে, ‘বড় ভাইয়েরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে।’
ক্যাম্পাসে ছিনতাই, অবাধে মাদক গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘উদ্যানের বিষয় আমাদের দায়িত্ব নয়, ক্যাম্পাস ও শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। যখন কোনো মাদকসেবী, অপরাধী সম্পর্কে এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাই, তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৩ দিন আগেএবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১৫ দিন আগেমোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
২২ দিন আগে