Ajker Patrika

ঢাবি ক্যাম্পাস এলাকায় ‘সংঘবদ্ধ’ ছিনতাই, মাদকের ছড়াছড়ি

ফারুক ছিদ্দিক, ঢাবি 
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯: ৫৩
Thumbnail image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত ছিনতাই ও হয়রানির ঘটনা ঘটছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে আবাসিক হলের গণরুমে ওঠার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপভিত্তিক বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করেন গণরুমের শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে রাতে ঘোরাঘুরি, আড্ডা, মাদক গ্রহণ, হেনস্তা, ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে জড়াচ্ছেন তাঁদের অনেকে!

সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাস ও সংলগ্ন এলাকায় নিয়মিত বেড়াতে আসা বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তাঁদের একজন খালিদ হাসান।খালিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে বসে আছেন দর্শনার্থীরা। আশপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্র, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও হলের শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে থাকে একজন “রাজা”। দলের একজন গিয়ে টার্গেট করা কোনো এক দর্শনার্থীর কাছে গাঁজা বা মাদকজাতীয় কিছু আছে কি না জানতে চায়, তখন তাঁদের কাছে নেই বললে তার পকেট থেকে একটি গাঁজার প্যাকেট বের করে সেটা দেয়। দর্শনার্থীরা তা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তখন ভাইয়ের সঙ্গে “বেয়াদবি” করা হয়েছে বলে তেড়ে আসে বাকিরা। এসেই মারধর, হেনস্তা করে সঙ্গে থাকা ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে উদ্যানের গেট থেকে বের করে দেয়।’

ঘটনাটি ঘটে গত ২৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। খালিদ হাসান আরও বলেন, ‘ঘটনাটি দেখার পর নিজেরও কিছু করার ছিল না। তখন আমি ৯৯৯-এ ফোন করি কিন্তু সাড়া পাইনি। প্রতিদিন কোনো না কোনো ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এসব এলাকায়।’ শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারিতেই উদ্যান ও শহীদ মিনার এলাকায় ঘটে যাওয়া হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের ১৩টি অভিযোগ জমা পড়ে। কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। এ ছাড়া অনেকেই প্রতিকার না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

শহীদ মিনার এলাকায় অবাধে বিক্রি হয় গাঁজা, সেবন করা হয় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য। দেখা যায়, পথশিশুরা ঘুরে ঘুরে এ গাঁজার প্যাকেট বিক্রি করে। নির্দিষ্ট অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে পথশিশুরা বুঝে ওঠে ‘ভাইয়ের গাঁজা লাগবে’। গাঁজা ও বিভিন্ন প্রকার মাদক বিক্রি করে এমন এক শিশুর সঙ্গে কথা হয়। পথশিশুটি বলে, ‘বড় ভাইয়েরা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছে।’

ক্যাম্পাসে ছিনতাই, অবাধে মাদক গ্রহণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘উদ্যানের বিষয় আমাদের দায়িত্ব নয়, ক্যাম্পাস ও শহীদ মিনার এলাকায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। যখন কোনো মাদকসেবী, অপরাধী সম্পর্কে এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাই, তখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’

শাহবাগ থানার ওসি নূর মোহাম্মদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোন ধরেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত