নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সেবা প্রদানকারীদের এসব দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাধ্যম ঘুষ। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি এবং মাত্রাহীন পৃষ্ঠপোষকতা দুর্নীতি বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। গত বছরের ২৭ জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটটি বিভাগের ১৯৪ জন এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী এবং এসএমই খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব খাতে সরকারের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে, সেখানকার দুর্নীতির চিত্রটাই আসছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা। কিন্তু প্রত্যেকটি বেসরকারি খাতেও হচ্ছে। এসএমইর মতো খাতে কেন দুর্নীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত হব, কারণ এ খাতের দুর্নীতি অগ্রসর জাতির পথে বড় বাধা। দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে দুর্নীতি কমবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল, তারপরও দুর্নীতি থেমে থাকেনি। অর্থাৎ যতই আয় বাড়ুক, যদি না জবাবদিহি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সম্ভব হবে না। আয়কে স্বচ্ছতার মধ্যে রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৯০–এর দশকের পর থেকে মুক্তবাজার ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও বাস্তবে তার সূফল পাওয়া যায়নি। কারণ, এটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। ক্ষমতা কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে না, বরং ক্ষমতা হারানোর ভয় মানুষকে দুর্নীতিতে যুক্ত করে। এ জন্য জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি। বর্তমানে ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে অনেক কাজে গতি এসেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। এর পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক যে কারণ কাজ করে সেটি ধরা যায়নি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সংগঠনের নিজেদের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামাতে না পারা। কাঠামোগত পরিস্থিতিতে যদি স্বচ্ছতা না আনা যায়, তাহলে কখনোই দুর্নীতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি মিলবে না। এ জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা জরুরি বলেও মত দেন অনেকে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অবস্থা এমন সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দেব কোথা? ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে দুর্নীতি কেন এতদূর পর্যন্ত গেল সেটি আগে খুঁজে বের করা দরকার। প্রতিটি পদে আজ নিয়োগ পেতে হলে টাকা ঢালতে হয়, স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজস্ব বোর্ড পর্যন্ত। আবার কেউ বাধ্য হয়েও খাচ্ছেন। সমস্যাটা ওপর থেকেই শুরু। সেখানে বন্ধ না হলে এর থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কালো টাকা সাদা করতে গিয়ে নিজেরাই যেন সেটার মধ্যে চলে যাচ্ছি। এ জন্য রিজেনারেশনের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করতে হবে।’
সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) সেক্রেটারি জেনারেল আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসএমই খাতকে অবহেলা করে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিভাবে এটাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বিকশিত করা যায় সেটা নিয়ে বরং আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। এককালে শুনতাম সুইচ ব্যাংকে, পরে কানাডার বেগম পাড়া, এখন কাতারেও রাখা হচ্ছে। যারা টাকাগুলো নিয়ে গেছেন, তাঁরা যথাযথভাবে যেমন নেননি, তেমনি আনেনওনি। এটিকে যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে দুর্নীতি হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা আছে কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না। তবে অনেক নেতিবাচক দিক যেমন আছে, কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন আলোচনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটাকে বাস্তবায়নের জন্য যদি কাজ করি তবেই এগোবে। কেউ বলে আমলাতন্ত্র, কেউ বলে ব্যাংকাররা দায়ী। কিন্তু দেশটা সবার। সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে না আসলে সম্ভব হবে না।
দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘মিডিয়া আপাদমস্তকই এখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে সবার জানা। গণমাধ্যম এখন লুটপাটের সর্বোচ্চ সীমায়। এতটাই মিথ্যার ওপর যা আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে যে অনিয়ম হয়, তার খুব সামান্য পরিমাণে আমরা জেনে থাকি। বিচার বিভাগ, রাজনীতি সবকিছুই এখন দুর্নীতিতে যুক্ত। যারা টাকা পাচার করছে, তাদের না ধরে, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।’
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সেবা প্রদানকারীদের এসব দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাধ্যম ঘুষ। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি এবং মাত্রাহীন পৃষ্ঠপোষকতা দুর্নীতি বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। গত বছরের ২৭ জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটটি বিভাগের ১৯৪ জন এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী এবং এসএমই খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব খাতে সরকারের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে, সেখানকার দুর্নীতির চিত্রটাই আসছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা। কিন্তু প্রত্যেকটি বেসরকারি খাতেও হচ্ছে। এসএমইর মতো খাতে কেন দুর্নীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত হব, কারণ এ খাতের দুর্নীতি অগ্রসর জাতির পথে বড় বাধা। দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে দুর্নীতি কমবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল, তারপরও দুর্নীতি থেমে থাকেনি। অর্থাৎ যতই আয় বাড়ুক, যদি না জবাবদিহি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সম্ভব হবে না। আয়কে স্বচ্ছতার মধ্যে রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৯০–এর দশকের পর থেকে মুক্তবাজার ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও বাস্তবে তার সূফল পাওয়া যায়নি। কারণ, এটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। ক্ষমতা কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে না, বরং ক্ষমতা হারানোর ভয় মানুষকে দুর্নীতিতে যুক্ত করে। এ জন্য জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি। বর্তমানে ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে অনেক কাজে গতি এসেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। এর পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক যে কারণ কাজ করে সেটি ধরা যায়নি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সংগঠনের নিজেদের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামাতে না পারা। কাঠামোগত পরিস্থিতিতে যদি স্বচ্ছতা না আনা যায়, তাহলে কখনোই দুর্নীতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি মিলবে না। এ জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা জরুরি বলেও মত দেন অনেকে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অবস্থা এমন সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দেব কোথা? ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে দুর্নীতি কেন এতদূর পর্যন্ত গেল সেটি আগে খুঁজে বের করা দরকার। প্রতিটি পদে আজ নিয়োগ পেতে হলে টাকা ঢালতে হয়, স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজস্ব বোর্ড পর্যন্ত। আবার কেউ বাধ্য হয়েও খাচ্ছেন। সমস্যাটা ওপর থেকেই শুরু। সেখানে বন্ধ না হলে এর থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কালো টাকা সাদা করতে গিয়ে নিজেরাই যেন সেটার মধ্যে চলে যাচ্ছি। এ জন্য রিজেনারেশনের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করতে হবে।’
সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) সেক্রেটারি জেনারেল আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসএমই খাতকে অবহেলা করে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিভাবে এটাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বিকশিত করা যায় সেটা নিয়ে বরং আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। এককালে শুনতাম সুইচ ব্যাংকে, পরে কানাডার বেগম পাড়া, এখন কাতারেও রাখা হচ্ছে। যারা টাকাগুলো নিয়ে গেছেন, তাঁরা যথাযথভাবে যেমন নেননি, তেমনি আনেনওনি। এটিকে যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে দুর্নীতি হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা আছে কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না। তবে অনেক নেতিবাচক দিক যেমন আছে, কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন আলোচনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটাকে বাস্তবায়নের জন্য যদি কাজ করি তবেই এগোবে। কেউ বলে আমলাতন্ত্র, কেউ বলে ব্যাংকাররা দায়ী। কিন্তু দেশটা সবার। সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে না আসলে সম্ভব হবে না।
দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘মিডিয়া আপাদমস্তকই এখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে সবার জানা। গণমাধ্যম এখন লুটপাটের সর্বোচ্চ সীমায়। এতটাই মিথ্যার ওপর যা আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে যে অনিয়ম হয়, তার খুব সামান্য পরিমাণে আমরা জেনে থাকি। বিচার বিভাগ, রাজনীতি সবকিছুই এখন দুর্নীতিতে যুক্ত। যারা টাকা পাচার করছে, তাদের না ধরে, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সেবা প্রদানকারীদের এসব দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাধ্যম ঘুষ। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি এবং মাত্রাহীন পৃষ্ঠপোষকতা দুর্নীতি বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। গত বছরের ২৭ জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটটি বিভাগের ১৯৪ জন এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী এবং এসএমই খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব খাতে সরকারের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে, সেখানকার দুর্নীতির চিত্রটাই আসছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা। কিন্তু প্রত্যেকটি বেসরকারি খাতেও হচ্ছে। এসএমইর মতো খাতে কেন দুর্নীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত হব, কারণ এ খাতের দুর্নীতি অগ্রসর জাতির পথে বড় বাধা। দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে দুর্নীতি কমবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল, তারপরও দুর্নীতি থেমে থাকেনি। অর্থাৎ যতই আয় বাড়ুক, যদি না জবাবদিহি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সম্ভব হবে না। আয়কে স্বচ্ছতার মধ্যে রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৯০–এর দশকের পর থেকে মুক্তবাজার ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও বাস্তবে তার সূফল পাওয়া যায়নি। কারণ, এটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। ক্ষমতা কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে না, বরং ক্ষমতা হারানোর ভয় মানুষকে দুর্নীতিতে যুক্ত করে। এ জন্য জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি। বর্তমানে ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে অনেক কাজে গতি এসেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। এর পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক যে কারণ কাজ করে সেটি ধরা যায়নি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সংগঠনের নিজেদের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামাতে না পারা। কাঠামোগত পরিস্থিতিতে যদি স্বচ্ছতা না আনা যায়, তাহলে কখনোই দুর্নীতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি মিলবে না। এ জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা জরুরি বলেও মত দেন অনেকে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অবস্থা এমন সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দেব কোথা? ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে দুর্নীতি কেন এতদূর পর্যন্ত গেল সেটি আগে খুঁজে বের করা দরকার। প্রতিটি পদে আজ নিয়োগ পেতে হলে টাকা ঢালতে হয়, স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজস্ব বোর্ড পর্যন্ত। আবার কেউ বাধ্য হয়েও খাচ্ছেন। সমস্যাটা ওপর থেকেই শুরু। সেখানে বন্ধ না হলে এর থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কালো টাকা সাদা করতে গিয়ে নিজেরাই যেন সেটার মধ্যে চলে যাচ্ছি। এ জন্য রিজেনারেশনের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করতে হবে।’
সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) সেক্রেটারি জেনারেল আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসএমই খাতকে অবহেলা করে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিভাবে এটাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বিকশিত করা যায় সেটা নিয়ে বরং আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। এককালে শুনতাম সুইচ ব্যাংকে, পরে কানাডার বেগম পাড়া, এখন কাতারেও রাখা হচ্ছে। যারা টাকাগুলো নিয়ে গেছেন, তাঁরা যথাযথভাবে যেমন নেননি, তেমনি আনেনওনি। এটিকে যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে দুর্নীতি হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা আছে কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না। তবে অনেক নেতিবাচক দিক যেমন আছে, কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন আলোচনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটাকে বাস্তবায়নের জন্য যদি কাজ করি তবেই এগোবে। কেউ বলে আমলাতন্ত্র, কেউ বলে ব্যাংকাররা দায়ী। কিন্তু দেশটা সবার। সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে না আসলে সম্ভব হবে না।
দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘মিডিয়া আপাদমস্তকই এখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে সবার জানা। গণমাধ্যম এখন লুটপাটের সর্বোচ্চ সীমায়। এতটাই মিথ্যার ওপর যা আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে যে অনিয়ম হয়, তার খুব সামান্য পরিমাণে আমরা জেনে থাকি। বিচার বিভাগ, রাজনীতি সবকিছুই এখন দুর্নীতিতে যুক্ত। যারা টাকা পাচার করছে, তাদের না ধরে, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।’
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
সেবা প্রদানকারীদের এসব দুর্নীতির সবচেয়ে বেশি পরিচিত মাধ্যম ঘুষ। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, স্বজনপ্রীতি এবং মাত্রাহীন পৃষ্ঠপোষকতা দুর্নীতি বাড়াচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন। গত বছরের ২৭ জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আটটি বিভাগের ১৯৪ জন এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী এবং এসএমই খাতের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নেওয়া সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘যেসব খাতে সরকারের সঙ্গে ব্যক্তি পর্যায়ের সম্পর্ক রয়েছে, সেখানকার দুর্নীতির চিত্রটাই আসছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের এত মাথাব্যথা। কিন্তু প্রত্যেকটি বেসরকারি খাতেও হচ্ছে। এসএমইর মতো খাতে কেন দুর্নীতি নিয়ে আমরা চিন্তিত হব, কারণ এ খাতের দুর্নীতি অগ্রসর জাতির পথে বড় বাধা। দেশের মাথাপিছু আয় বাড়লে দুর্নীতি কমবে বলে মনে হয় না। কারণ, সরকারি কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল, তারপরও দুর্নীতি থেমে থাকেনি। অর্থাৎ যতই আয় বাড়ুক, যদি না জবাবদিহি নিশ্চিত করা না যায় তাহলে সম্ভব হবে না। আয়কে স্বচ্ছতার মধ্যে রাখাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ৯০–এর দশকের পর থেকে মুক্তবাজার ব্যবস্থায় উন্নতি হলেও বাস্তবে তার সূফল পাওয়া যায়নি। কারণ, এটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা রয়েছে। ক্ষমতা কাউকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে না, বরং ক্ষমতা হারানোর ভয় মানুষকে দুর্নীতিতে যুক্ত করে। এ জন্য জবাবদিহি সবচেয়ে বেশি জরুরি। বর্তমানে ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে অনেক কাজে গতি এসেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। এর পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক যে কারণ কাজ করে সেটি ধরা যায়নি।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বড় সমস্যা ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা সংগঠনের নিজেদের মধ্যে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামাতে না পারা। কাঠামোগত পরিস্থিতিতে যদি স্বচ্ছতা না আনা যায়, তাহলে কখনোই দুর্নীতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি মিলবে না। এ জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা জরুরি বলেও মত দেন অনেকে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, ‘অবস্থা এমন সর্বাঙ্গে ব্যাথা, ওষুধ দেব কোথা? ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্পে দুর্নীতি কেন এতদূর পর্যন্ত গেল সেটি আগে খুঁজে বের করা দরকার। প্রতিটি পদে আজ নিয়োগ পেতে হলে টাকা ঢালতে হয়, স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে রাজস্ব বোর্ড পর্যন্ত। আবার কেউ বাধ্য হয়েও খাচ্ছেন। সমস্যাটা ওপর থেকেই শুরু। সেখানে বন্ধ না হলে এর থেকে বের হওয়া সম্ভব নয়। কালো টাকা সাদা করতে গিয়ে নিজেরাই যেন সেটার মধ্যে চলে যাচ্ছি। এ জন্য রিজেনারেশনের মাধ্যমে এগুলো ঠিক করতে হবে।’
সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব ও ট্রান্সফারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) সেক্রেটারি জেনারেল আলী ইমাম মজুমদার বলেন, এসএমই খাতকে অবহেলা করে দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। কিভাবে এটাকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে বিকশিত করা যায় সেটা নিয়ে বরং আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। এককালে শুনতাম সুইচ ব্যাংকে, পরে কানাডার বেগম পাড়া, এখন কাতারেও রাখা হচ্ছে। যারা টাকাগুলো নিয়ে গেছেন, তাঁরা যথাযথভাবে যেমন নেননি, তেমনি আনেনওনি। এটিকে যদি ঠিক করা না যায়, তাহলে দুর্নীতি হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনের ক্ষমতা আছে কিন্তু প্রয়োগ হচ্ছে না। তবে অনেক নেতিবাচক দিক যেমন আছে, কিছু ইতিবাচক দিকও আছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমন আলোচনা অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এটাকে বাস্তবায়নের জন্য যদি কাজ করি তবেই এগোবে। কেউ বলে আমলাতন্ত্র, কেউ বলে ব্যাংকাররা দায়ী। কিন্তু দেশটা সবার। সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে না আসলে সম্ভব হবে না।
দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘মিডিয়া আপাদমস্তকই এখন দুর্নীতিতে ভরে গেছে। দুর্নীতির পরিস্থিতি সম্পর্কে সবার জানা। গণমাধ্যম এখন লুটপাটের সর্বোচ্চ সীমায়। এতটাই মিথ্যার ওপর যা আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে যে অনিয়ম হয়, তার খুব সামান্য পরিমাণে আমরা জেনে থাকি। বিচার বিভাগ, রাজনীতি সবকিছুই এখন দুর্নীতিতে যুক্ত। যারা টাকা পাচার করছে, তাদের না ধরে, বরং প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরও উৎসাহিত করা হচ্ছে বিভিন্নভাবে।’
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
দেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আজ সোমবার ভোরে বান্দরবান সদর উপজেলার হাজীপাড়ার বালাঘাটা এলাকা থেকে সিআইডির এলআইসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টার (সিপিসি) ইউনিটের সদস্যরা এই যুগলকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া যুগল হলেন মুহাম্মদ আজিম (২৮) ও তাঁর স্ত্রী বৃষ্টি (২৮)। আজ বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় সিআইডি।
গ্রেপ্তার আজিমের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বুরুমছড়া গ্রামে এবং বৃষ্টির বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার আন্ধারমানিক (খালপাড়) গ্রামে।
সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক এক পর্নো সাইটে প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। এরপর এক বছরের মধ্যে তাঁরা ১১২টি ভিডিও আপলোড করেছেন, যেগুলো বিশ্বব্যাপী ২ কোটি ৬৭ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে।
এই যুগল এতটাই জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন যে, ২০২৫ সালের অক্টোবর মাসে আন্তর্জাতিক পারফর্মার র্যাঙ্কিংয়ে তাঁদের অবস্থান উঠে আসে অষ্টম স্থানে। ভিডিও আপলোড ছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম—বিশেষ করে, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টেলিগ্রামের মাধ্যমে নিজেদের কর্মকাণ্ডের প্রচারণা চালাতেন। এসব প্ল্যাটফর্মে নতুনদের এ কাজে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হতো।
তদন্তকারীরা বলছেন, আগ্রহীদের ‘ক্রিয়েটর’ হিসেবে যুক্ত করতে তাঁরা টেলিগ্রাম চ্যানেলে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিজ্ঞাপন দিতেন। নতুন কেউ যুক্ত হলে তাঁকে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হতো। কেউ যোগাযোগ করলে তাঁদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে উৎসাহিত করতেন আজিম ও বৃষ্টি।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই যুগল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। তবে অনলাইনে তাঁদের বিলাসবহুল জীবনধারার নানা ছবি পাওয়া যায়, যা সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছে। এসব কার্যক্রম সামাজিক ও নৈতিকভাবে যেমন উদ্বেগজনক, তেমনি দেশের প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
অভিযানের সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, ক্যামেরা, ট্রাইপডসহ ভিডিও ধারণের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে সিআইডি।
সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেজনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় করা অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার ২৯ বছর পর আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
সালমান শাহের মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে দ্বিতীয় দফায় দেওয়া আদালতের রায়ের বিরুদ্ধের তাঁর মা নীলা চৌধুরী দ্বিতীয় দফায় যে রিভিশন মামলা করেছিলেন, তা মঞ্জুর করে আজ এই আদেশ দিলেন আদালত।
রিভিশনকারী পক্ষের আইনজীবী মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, আদেশে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তাই অপমৃত্যুর মামলাকে হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
নীলা চৌধুরীর এ রিভিশন মামলার শুনানি শেষে গত ১৩ অক্টোবর আদালত আদেশের জন্য ২০ অক্টোবর দিন করেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে রমনা থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছিলেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী।
পরের বছর ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে আবার আদালতে মামলা করেন তাঁর বাবা। ওই সময় সিআইডিকে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর সিআইডি ঘটনাটিকে ‘আত্মহত্যা’ চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়।
ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা করেন কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠান আদালত। দীর্ঘ ১১ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে অপমৃত্যু বলা হয়।
কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর ছেলে রিভিশন মামলার বাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন মা নীলা চৌধুরী। ২০১৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজির আবেদন করেন। সর্বশেষ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে।
২০২০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিবিআইয়ের পুলিশ পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন। ২০২২ সালের ১২ জুন এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন মামলা করে বাদীপক্ষ।
রিভিশন মামলায় বলা হয়, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে বারবার তাঁর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে বলা হচ্ছে। কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে হত্যাকে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভক্তদের মানববন্ধন
এদিকে সালমান শাহর ভক্তরা সকাল থেকে আদালত এলাকায় হাজির হন। হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, সালমান শাহকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। এ সময় তাঁরা সালমান শাহ হত্যার বিচার চেয়ে স্লোগান দেন।
কোভিড পরবর্তী সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের উদ্যোক্তাদের পরিষেবা গ্রহণকালীন সময়ে দুর্নীতির শিকারের হার বেড়েছে। সেবা নিতে গিয়ে ৭৪ ভাগ উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার হয়েছেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
২৯ জানুয়ারি ২০২৩এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৯ ঘণ্টা আগেনাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ ঘণ্টা আগেদেশে বসেই আন্তর্জাতিক পর্নো সাইটে সক্রিয় ছিলেন তাঁরা। ভিডিও বানিয়ে আপলোড করতেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শুধু নিজেরাই নন, এই দম্পতি অন্যদেরও এ কাজে যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ। অবশেষে সেই আলোচিত যুগলকে বান্দরবানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২ দিন আগে