অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি করেছে। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে, আর বাড়ছে মার্কিন সরকারের ঋণ নেওয়ার খরচ। এর প্রভাব পড়েছে মার্কিন ডলারের ওপর। এক সময় যে ডলারকে ‘নিরাপদ মুদ্রা’ বলে মনে করা হতো, এখন সেটিই বিনিয়োগকারীদের আস্থার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধের আতঙ্ক ও ডলারের দাম পড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ছুটছেন। এর ফলে সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায় ছুঁয়েছে, যা বিশ্ববাজারে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে, মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে মার্কিন ডলার বিনিয়োগকারীদের কাছে হতাশার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বন্ধু-শত্রু নির্বিশেষে একের পর এক সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছেন, তাতে বিশ্বজুড়ে মার্কিন মুদ্রার ওপর দীর্ঘদিনের আস্থায় চিড় ধরেছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে মার্কিন ট্রেজারি বাজারে। ১৯৮২ সালের পর প্রথমবারের মতো মাত্র এক সপ্তাহেই ঋণগ্রহণের খরচ বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, কারণ বিদেশি ফান্ডগুলো আমেরিকান বন্ড ছেড়ে দিয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সোনার দাম ৩ হাজার ২০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার তীব্রতর বাণিজ্যযুদ্ধ এবং ডলারের দুর্বলতার কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা বাড়ছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।
এই দিনে প্রতি আউন্স স্পট গোল্ডের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ২৩৫ দশমিক ৮৯ ডলারে। একইদিন স্পট গোল্ডের দাম সর্বোচ্চ ৩ হাজার ২৪৫ দশমিক ২৮ ডলারে উঠেছিল। পুরো সপ্তাহে সোনার দাম বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি।
ন্যাশনাল অস্ট্রেলিয়া ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কৌশল প্রধান রে অ্যাট্রিল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রায় এক রাতেই তার ‘নিরাপদ স্বর্গের’ ভাবমূর্তি হারিয়ে ফেলেছে। একদিকে আস্থার ঘাটতি, অন্যদিকে ‘অসাধারণত্ব’ হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দুটি মিলিয়ে স্বল্পমেয়াদে এটি আমেরিকান অর্থনীতির জন্য বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
এরই মধ্যে ডলার ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ বছরের পথে রয়েছে। শুক্রবার সুইস ফ্রাঙ্কের বিপরীতে ডলার এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে নিচে নেমে এসেছে, আর ইউরোর বিপরীতে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।
রে অ্যাট্রিল বলেন, ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে ডলারকে ‘রিজার্ভ কারেন্সি’ হিসেবে বিবেচনার ভিত্তিটাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক মূল্যসূচক আশ্চর্যজনকভাবে ০ দশমিক ৪ শতাংশ কমে যায়। যদিও আমদানির ওপর নতুন শুল্কের কারণে আগামীতে মূল্যস্ফীতি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ফেডারেল রিজার্ভ জুনে সুদের হার কমানো শুরু করবে এবং ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রায় ০ দশমিক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস করতে পারে।
১৯৪৪ সালে ব্রেটন উডস ব্যবস্থার মাধ্যমে ডলারের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা হয়। যদিও সত্তরের দশকে সেই ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, তবুও ডলারের প্রভাব অটুট ছিল। কিন্তু ট্রাম্পের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ বিশ্ব বাণিজ্য ও মুদ্রাবাজারে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
ট্রাম্প একদিকে শুল্ক আরোপ করছেন, আবার সেগুলো বাতিল করছেন। ফলে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধ আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। এতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের ওপর আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে।
বিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে ইতোমধ্যেই ট্রিলিয়ন ডলার হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে, আর বাজারে নেমেছে ভয়াবহ ধস।
স্বর্ণের বাজার বিশ্লেষক তাই ওয়াং বলেন, সোনার দামে ছোটখাটো সংশোধন আসতে পারে, কিন্তু সামনের পথটা মূলত ঊর্ধ্বমুখী। কারণ মূল্যস্ফীতি ও উৎপাদন ব্যয় কমার ফলে ফেড সুদের হার কমাতে পারবে, যা ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।
সুদ না পাওয়া সোনা সাধারণত বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যস্ফীতির সময়ে ভালো ফল দেয়। আবার সুদের হার কম থাকলে সোনার দাম বাড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি।
এএনজেড গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ রিচার্ড ইয়েটসেঙ্গা জানিয়েছেন, পরবর্তী ৯০ দিনে কী হয় তা যাই হোক না কেন, আন্তর্জাতিক মহলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংকের আর্থিক কৌশল প্রধান মার্টিন হোয়েটন বলেন, এই সপ্তাহে ডলারের বড় ধরনের পতন, মার্কিন ট্রেজারি ইল্ড বেড়ে যাওয়া ও সিকিউরিটি স্প্রেডের অস্বাভাবিক আচরণ—সব মিলিয়ে বোঝা যায় ডলার এখন আর আগের মতো নিরাপদ নয়।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বিশ্বে আর নিরাপদ অর্থনৈতিক ঠিকানা না থাকে, তাহলে বিশ্বের অন্য দেশগুলোও তাদের অর্থ সেখানে রাখতে আগ্রহ হারাবে। এমনকি এখন যুক্তরাষ্ট্রকে ঋণ নেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীদের যা দিতে হচ্ছে, সেটা ইতালি, স্পেন বা গ্রিসের চেয়েও বেশি।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই পরিস্থিতি সাময়িক। ইন্দোসুইজ ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের এশিয়া প্রধান কৌশলবিদ ফ্রান্সিস ট্যান বলছেন, যখন সব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, শুল্ক হার নির্ধারিত হবে এবং আর কোনো পিছুটান থাকবে না, তখন ডলার আবারও শক্তিশালী হবে।
তবুও, ডলারের নিরাপত্তা হারানো মানে বিশ্ব বিনিয়োগকারীদের জন্য খারাপ খবর। কারণ, এতে সুদের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়, যা বন্ড ও শেয়ারবাজার উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।
২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিদেশিরা মার্কিন শেয়ার ও বন্ডে মোট ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন।
জেফারিস ব্যাংকের গ্লোবাল ইকুইটি কৌশল প্রধান ক্রিস উড বলেন, আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় ধরনের সংস্কার পরিকল্পনা, তা যেন বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র এখনও বিদেশি মূলধনের ওপর চরমভাবে নির্ভরশীল।
তবে সোনার দামে ঊর্ধ্বগতির একটি সীমা রয়েছে বলে মনে করছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বিনিয়োগ ব্যাংকিং কোম্পানি ইউবিএস। তাদের মতে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা হ্রাস, বাণিজ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি অথবা যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হলে সোনার দামের গতি থমকে যেতে পারে।
এদিকে স্পট সিলভারের (রূপা) দাম ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রতি আউন্স ৩২ দশমিক ১৮ ডলারে। প্লাটিনামের দাম ০ দশমিক ২ শতাংশ কমে ৯৩৬ দশমিক ৩৬ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের দাম ০ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৯১৪ দশমিক ৮৭ ডলার হয়েছে।
সব ধরনের শিল্প ও কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের দাম গড়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ধুঁকতে থাকা পুরোনো শিল্পকারখানা যেমন চাপে পড়বে, তেমনি পিছু হঠতে পারে নতুন বিনিয়োগকারীও। কারণ কমিশন মনে করে, যাদের এই দামে গ্যাস কিনে শিল্প করা পোষাবে, তারা বিনিয়োগ করবে।
২ ঘণ্টা আগেবার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) আগে লভ্যাংশের টাকা তিন মাস অলস পড়ে থাকায় কোম্পানির চলতি মূলধন সংকুচিত হয়—এ সমস্যা দূর করতে নতুন নিয়ম আনছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এখন থেকে কোম্পানিগুলো ঘোষণার পরপরই লভ্যাংশের টাকা ব্যবহার করতে পারবে। তবে এজিএমের ঠিক এক দিন আগে তা আলাদা ব্যাংক হিসাবে জমা দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেজাপানে আনুষ্ঠানিকভাবে পর্দা উঠেছে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর। গতকাল রোববার ওসাকায় শুরু হওয়া এক্সপোতে ১৬০টি দেশ ও অঞ্চল অংশ নিচ্ছে, প্রদর্শন করছে তাদের প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও খাদ্যবৈচিত্র্য। অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে এ মেলা। আয়োজক জাপানের আশা, এই মেলা বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার কর
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট জটিলতা দূর করতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতারা। একই সঙ্গে তাঁরা আসন্ন বাজেট যেন ব্যবসা ও বিনিয়োগবান্ধব হয়, সেই প্রত্যাশাও জানিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে