বিবিসি
চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির শুরু হওয়া বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে চীনের প্রতিক্রিয়া নতুন করে উত্তাপ ছড়াল।
মার্কিন শুল্ক ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার জন্য চাপ দিচ্ছে— এমন খবর তুলে যখন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশ হচ্ছে, তখন চীনের এই হুঁশিয়ারি এল।
এর মধ্যেই শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেন-দরবার শুরু করেছে একাধিক দেশ। গত সপ্তাহেই জাপানের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নেয়। এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়াও আলোচনা শুরু করবে বলে জানা গেছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর একের পর এক উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করছে। আরো বহু দেশ মার্কিন শুল্কের আওতায় পড়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, ‘তুষ্টি দিয়ে শান্তি কেনা যায় না, আবার আপস করেও কেউ সম্মান পায় না। চীনের স্বার্থের বিনিময়ে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা উপযুক্ত পাল্টা পদক্ষেপ নেব।’
কদিন আগেই দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলির এক সম্পাদকীয়তে মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করা। আজকের চীনের কড়া অবস্থান বেশ আগেই নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুল্ক আরোপের পর থেকে ৭০টিরও বেশি দেশ বাণিজ্য আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য এই পরিস্থিতি উভয় সংকটের সৃষ্টি করবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মনেক্স গ্রুপের অর্থনীতিবিদ জেসপার কোল বলেন, ‘জাপানের প্রায় ২০ মুনাফা আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, চীন থেকে আসে ১৫ শতাংশ। ফলে তাঁরা চাইলেও সহজে কোনো এক পক্ষকে বেছে নিতে পারছেন না।’
জাপান ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পথ ধরেছে। দেশটি শুল্ক বিষয়ে শীর্ষ আলোচক হিসেবে রিওসেই আকাজাওয়াকে পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু জানিয়েছেন, তাঁর দেশও খুব শিগগিরই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করবে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এখন ভারত সফরে রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ভারতকে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখে পড়তে হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও আশাবাদের কথা তুলে ধরেছেন ভ্যান্স। তিনি বলেন, ‘আমরা কিয়ার স্টারমারের সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আশা করছি, একটি জোরালো চুক্তি হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তাঁর প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াবে, রাজস্ব বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি বিনিয়োগ টানবে।
তবে ট্রাম্পের ভাষ্যের সঙ্গে একমত অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, বাস্তবে উৎপাদন খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বহু বছর লাগবে। এর মধ্যে অর্থনীতি সংকটে পড়তে পারে, কর্মসংস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এমনকি ট্রাম্প নিজেও শুল্কনীতির বেশ কিছু বিষয় থেকে পিছু হটছেন। এ মাসের শুরুতে শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরপরই চীন ছাড়া অন্য দেশগুলোকে ৯০ দিনের শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছায় নয়, প্রধানত বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ও রাজনৈতিক চাপের কারণে।
সর্বশেষ চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। অন্য দেশগুলোকে জুলাই পর্যন্ত ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন শুল্কের সঙ্গে আগের শুল্ক মিলিয়ে চীনা কিছু পণ্যের ওপর মোট কর হার ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তবে চীনও বসে থাকেনি, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে। চীন ঘোষণা দিয়েছে, ‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই টানাপোড়েন চলতি মাসের শুরুতেই বৈশ্বিক অর্থবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করেছে। এই উত্তেজনা আরও বাড়লে তা পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতেই গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
চীনের স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করে যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির শুরু হওয়া বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে চীনের প্রতিক্রিয়া নতুন করে উত্তাপ ছড়াল।
মার্কিন শুল্ক ছাড় দেওয়ার বিনিময়ে ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার জন্য চাপ দিচ্ছে— এমন খবর তুলে যখন সংবাদ মাধ্যমে প্রতিবেদনে প্রকাশ হচ্ছে, তখন চীনের এই হুঁশিয়ারি এল।
এর মধ্যেই শুল্ক নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেন-দরবার শুরু করেছে একাধিক দেশ। গত সপ্তাহেই জাপানের প্রতিনিধি দল ওয়াশিংটনে আলোচনায় অংশ নেয়। এ সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়াও আলোচনা শুরু করবে বলে জানা গেছে।
গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প প্রশাসন চীনা পণ্যের ওপর একের পর এক উচ্চ হারে শুল্ক আরোপ করছে। আরো বহু দেশ মার্কিন শুল্কের আওতায় পড়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বলেন, ‘তুষ্টি দিয়ে শান্তি কেনা যায় না, আবার আপস করেও কেউ সম্মান পায় না। চীনের স্বার্থের বিনিময়ে কেউ যদি যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে, তা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আমরা উপযুক্ত পাল্টা পদক্ষেপ নেব।’
কদিন আগেই দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলির এক সম্পাদকীয়তে মার্কিন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে সতর্ক করা। আজকের চীনের কড়া অবস্থান বেশ আগেই নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুল্ক আরোপের পর থেকে ৭০টিরও বেশি দেশ বাণিজ্য আলোচনায় আগ্রহ দেখিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভাষ্য। বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলোর জন্য এই পরিস্থিতি উভয় সংকটের সৃষ্টি করবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
জাপানি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান মনেক্স গ্রুপের অর্থনীতিবিদ জেসপার কোল বলেন, ‘জাপানের প্রায় ২০ মুনাফা আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, চীন থেকে আসে ১৫ শতাংশ। ফলে তাঁরা চাইলেও সহজে কোনো এক পক্ষকে বেছে নিতে পারছেন না।’
জাপান ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার পথ ধরেছে। দেশটি শুল্ক বিষয়ে শীর্ষ আলোচক হিসেবে রিওসেই আকাজাওয়াকে পাঠিয়েছে। গত সপ্তাহে তিনি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু জানিয়েছেন, তাঁর দেশও খুব শিগগিরই মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করবে।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এখন ভারত সফরে রয়েছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছাতে ব্যর্থ হলে ভারতকে ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্কের মুখে পড়তে হতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রেও আশাবাদের কথা তুলে ধরেছেন ভ্যান্স। তিনি বলেন, ‘আমরা কিয়ার স্টারমারের সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আশা করছি, একটি জোরালো চুক্তি হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বরাবরই বলে আসছেন, তাঁর প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি দেশীয় পণ্যের চাহিদা বাড়াবে, রাজস্ব বৃদ্ধি করবে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি বিনিয়োগ টানবে।
তবে ট্রাম্পের ভাষ্যের সঙ্গে একমত অর্থনীতিবিদেরা। তাঁদের মতে, বাস্তবে উৎপাদন খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে বহু বছর লাগবে। এর মধ্যে অর্থনীতি সংকটে পড়তে পারে, কর্মসংস্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এমনকি ট্রাম্প নিজেও শুল্কনীতির বেশ কিছু বিষয় থেকে পিছু হটছেন। এ মাসের শুরুতে শুল্ক কার্যকর হওয়ার পরপরই চীন ছাড়া অন্য দেশগুলোকে ৯০ দিনের শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছেন। তবে স্বেচ্ছায় নয়, প্রধানত বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ও রাজনৈতিক চাপের কারণে।
সর্বশেষ চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে। অন্য দেশগুলোকে জুলাই পর্যন্ত ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, নতুন শুল্কের সঙ্গে আগের শুল্ক মিলিয়ে চীনা কিছু পণ্যের ওপর মোট কর হার ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
তবে চীনও বসে থাকেনি, পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসিয়েছে। চীন ঘোষণা দিয়েছে, ‘আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।’
বিশ্বের দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির এই টানাপোড়েন চলতি মাসের শুরুতেই বৈশ্বিক অর্থবাজারে ব্যাপক অস্থিরতা তৈরি করেছে। এই উত্তেজনা আরও বাড়লে তা পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতেই গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের আশঙ্কা।
শ্রম সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ, সংগঠনের অধিকার, শ্রম আদালতের সংস্কারসহ ২৫টি মূল খাতে সুপারিশ করেছে। কমিশনের মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশে শ্রমিক অধিকার ও কল্যাণে এক ঐতিহাসিক অগ্রগতি সাধিত হবে।
১ ঘণ্টা আগেদেশে প্রতিবছর কর ইনসেনটিভ (ভর্তুকি) ও কর ব্যয় নিয়ে নানা অনাচার হয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিশাল অঙ্কের টাকা কর ভর্তুকি দেওয়া হয়। সরকারকে এসব বন্ধ করতে হবে। বিদ্যুতের মতো জায়গায় কোনোভাবেই করের টাকায় ভর্তুকি দেওয়া উচিত হবে না। সর্বোপরি দেশের স্বার্থে কর সিস্টেমসহ দেশের সামগ্রিক আর্থিক লেনদেন ডিজিটাল...
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন বেসরকারি ইকুইটি খাত থেকে ধীরে ধীরে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে চীনা রাষ্ট্রায়ত্ত ফান্ডগুলো। একসময় শত শত কোটি ডলার বিনিয়োগ করা এসব তহবিল এখন নতুন করে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে অর্থ স্থানান্তর করছে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের খগড়ের কারণে এখনো অস্থির হয়ে আছে বিশ্ববাজার। এর ফলে, আজ সোমবার সোনার দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ডলারের মান পড়ে গেছে বেশ খানিকটা। ফলে, পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে