Ajker Patrika

বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গড্ডার বিদ্যুৎ ভারতেই বিক্রির চেষ্টা করছে আদানি

আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯: ৫৪
বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গড্ডার বিদ্যুৎ ভারতেই বিক্রির চেষ্টা করছে আদানি

বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আদানি পাওয়ার ভারতেই বিদ্যুৎ বিক্রির উপায় খুঁজছে। আজ সোমবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আদানির সঙ্গে ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি পর্যালোচনা করতে যাচ্ছে— এমন ইঙ্গিত আসার পরই আদানি পাওয়ার ভারতে বিদ্যুৎ বিক্রির চেষ্টা করছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানি পাওয়ারের গড্ডা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব বিদ্যুৎ বর্তমানে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়। ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বিহার রাজ্যের লক্ষ্মীসরাইয়ের একটি সাবস্টেশনের মাধ্যমে ভারতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগের অনুমোদন পেয়েছে।

যা হোক, ভারতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোগের জন্য কোম্পানিকে প্রথমে ১৩০ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করতে হবে। আদানি পাওয়ারের মতে এটি করতে ‘যথেষ্ট সময়’ লাগবে।

গড্ডার কাছাকাছি বিহারের বাঙ্কায় (মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে) অবস্থিত একটি সাবস্টেশনের মাধ্যমে দ্রুত সংযোগের জন্য অনুমোদন চেয়েছিল আদানি পাওয়ার।

তবে সেন্ট্রাল ট্রান্সমিশন ইউটিলিটি অব ইন্ডিয়া লিমিটেড (সিটিইউআইএল) প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কথা বলে সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। সিটিইউআইএল বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন পরিকল্পনার জন্য ভারতের পক্ষ হিসাবে কাজ করে।

গত ২১ আগস্টের বৈঠকের কার্যসূচির বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক দিন পর ভারতের কেন্দ্র সরকার ১০ আগস্ট গড্ডা প্ল্যান্টের জন্য জাতীয় গ্রিডে সংযোগের সুপারিশ করেছিল। সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশে উদীয়মান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও ভালো পেমেন্ট পরিশোধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এর চার দিন আগে, আদানি পাওয়ার ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছিল, বাংলাদেশে কম চাহিদা বা ভূ–রাজনৈতিক সমস্যার সময় ভারতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করাই ‘লাভজনক’ হবে।

গত ১২ আগস্ট বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় বিদ্যুতের আমদানি/রপ্তানির নির্দেশিকা সংশোধন করে। এতে দেশীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো যারা শুধু প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে তাদের দেশেও বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়। যেখানে বর্তমানে শুধু আদানির গড্ডা প্ল্যান্টের পুরোটা বিদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে।

পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে এই জাতীয় প্ল্যান্টগুলোকে জাতীয় গ্রিডে সংযোগ দেওয়ার জন্য একটি আদর্শ পরিচালন প্রক্রিয়ার খসড়া তৈরি করার নির্দেশনাও দিয়েছে ভারতের বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।

সিটিইউআইএল গত ২১ আগস্ট আদানির গড্ডা প্ল্যান্টের সঙ্গে লক্ষ্মীসরাই সাবস্টেশনের সংযোগ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। একই বৈঠকে আদানি পাওয়ার এই সাবস্টেশনে সংযোগের জন্য ‘যথেষ্ট সময়’ উল্লেখ করে কাছাকাছি বাঙ্কা সাবস্টেশনের সঙ্গে একটি অন্তর্বর্তী সংযোগ চায়। তবে ভারত সরকার সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে।

গড্ডা বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০২৩ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। এর মধ্যে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে গড্ডার বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাওনা ৫০ কোটি ডলার পরিশোধের জন্য তাগাদা দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিএনসিসির পদ ছাড়লেন এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম

ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা, চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ

এনআইডির নাম ও জন্মতারিখ সংশোধনের দায়িত্বে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা

পদত্যাগ করব না, আলোচনা করে সমাধান করব: কুয়েট উপাচার্য

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর অতর্কিত গুলি, নিহত ২৬

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত