নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারের সংকটে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তার জন্য গঠন করা হয়েছিল ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। তবে এ ফান্ডের সুফল আসেনি পুঁজিবাজারে। তিন বছরে শুধু বৈঠক করেই ৩ কোটি টাকার বেশি পকেটে পুরেছেন এই ফান্ডের পর্ষদ ও বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে থাকা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগীরা।
এবার সিএমএসএফের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফান্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রূপরেখা প্রণয়নের জন্য ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে সই করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী লুতফুল হাসান।
কমিটির কাজ হবে— সিএমএসএফের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে করণীয় নির্ধারণ, তহবিল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন এবং অন্যান্য কার্যক্রম নির্ধারণ করে দেওয়া।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপযুক্ত প্রতিনিধি সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন।
এ ছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন অর্থ বিভাগের ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত প্রতিনিধি, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক বা আরজেএসসির উপযুক্ত প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উপযুক্ত প্রতিনিধি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার মতো কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি সিএমএসএফ। বরং, এর পর্ষদ এবং কমিটির অন্য প্রায় এক ডজন সদস্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের চেয়ে সভা করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। এর বিপরীতে মোটা অঙ্কের সম্মানী নিতেন তাঁরা।
তথ্যমতে, গত তিন বছরে ৩২৩টি বৈঠক করেছে সিএমএসএফের বিভিন্ন কমিটি। অর্থাৎ, প্রতি বছর ১০০ টির বেশি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সদস্যের সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা। তিন বছরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও কেবল বৈঠক করেই তাঁরা সম্মানী হিসেবে পকেটে পুরেছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এর বাইরে সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদ ১ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দুটি গাড়ি কিনেছে। অফিস সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সিএমএসএফের লক্ষ্য ও আকার যত বড়, সেই তুলনায় ফলাফল কিছুই আসেনি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত সিএমএসএফের তহবিল দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ২২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি সেই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এই সামান্য বিনিয়োগ বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারেনি।
এ ছাড়া ৫০ কোটি টাকা দিয়ে একটি মিউচুয়াল ফান্ড চালু করা হয়েছে। এর বাইরে বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফের কোনো ভূমিকা নেই।
পুঁজিবাজারের সংকটে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তার জন্য গঠন করা হয়েছিল ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ)। তবে এ ফান্ডের সুফল আসেনি পুঁজিবাজারে। তিন বছরে শুধু বৈঠক করেই ৩ কোটি টাকার বেশি পকেটে পুরেছেন এই ফান্ডের পর্ষদ ও বিভিন্ন কমিটির দায়িত্বে থাকা বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ও সুবিধাভোগীরা।
এবার সিএমএসএফের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে তৎপর হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফান্ডের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে রূপরেখা প্রণয়নের জন্য ৬ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে সই করেছেন সিনিয়র সহকারী সচিব কাজী লুতফুল হাসান।
কমিটির কাজ হবে— সিএমএসএফের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে করণীয় নির্ধারণ, তহবিল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন এবং অন্যান্য কার্যক্রম নির্ধারণ করে দেওয়া।
মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন অর্থ বিভাগের ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপযুক্ত প্রতিনিধি সদস্যসচিব হিসেবে কাজ করবেন।
এ ছাড়া কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন অর্থ বিভাগের ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপযুক্ত প্রতিনিধি, যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক বা আরজেএসসির উপযুক্ত প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের উপযুক্ত প্রতিনিধি।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে ৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কমিটিকে আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করার মতো কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি সিএমএসএফ। বরং, এর পর্ষদ এবং কমিটির অন্য প্রায় এক ডজন সদস্য কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের চেয়ে সভা করতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন। এর বিপরীতে মোটা অঙ্কের সম্মানী নিতেন তাঁরা।
তথ্যমতে, গত তিন বছরে ৩২৩টি বৈঠক করেছে সিএমএসএফের বিভিন্ন কমিটি। অর্থাৎ, প্রতি বছর ১০০ টির বেশি বৈঠক হয়েছে। এসব বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সদস্যের সম্মানী ছিল ৮ হাজার টাকা। তিন বছরে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে তেমন কোনো পদক্ষেপ না নিলেও কেবল বৈঠক করেই তাঁরা সম্মানী হিসেবে পকেটে পুরেছেন ৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা।
এর বাইরে সিএমএসএফের পরিচালনা পর্ষদ ১ কোটি ৫২ লাখ টাকায় দুটি গাড়ি কিনেছে। অফিস সংস্কারের জন্য ব্যয় করেছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সিএমএসএফের লক্ষ্য ও আকার যত বড়, সেই তুলনায় ফলাফল কিছুই আসেনি। চলতি বছরের ৩০ জুলাই পর্যন্ত সিএমএসএফের তহবিল দাঁড়ায় ১ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা। এ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) ২২৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। আইসিবি সেই টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু এই সামান্য বিনিয়োগ বাজারের সার্বিক স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখতে পারেনি।
এ ছাড়া ৫০ কোটি টাকা দিয়ে একটি মিউচুয়াল ফান্ড চালু করা হয়েছে। এর বাইরে বাজার স্থিতিশীলতায় সিএমএসএফের কোনো ভূমিকা নেই।
১৯৭১ সাল থেকে বর্তমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত, বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট দেশের অর্থনৈতিক যাত্রার এক বিশাল চিত্র তুলে ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে বাজেট শুধু আকারের দিক থেকেই বাড়েনি, বরং এর দর্শন, অগ্রাধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটও বহুলাংশে পরিবর্তিত হয়েছে। তবে অন্তর্বর্তীকালীন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বাজেট সাধারণত...
২ ঘণ্টা আগেদ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির রেখায় সাময়িক ওঠানামা থাকলেও মোটের ওপর তা জনজীবনকে স্বস্তি দিচ্ছে না। সরকার নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের একের পর এক সুবিধা দিলেও এর সুফল কাঙ্ক্ষিতভাবে ভোক্তার হাতে পৌঁছায়নি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতা ব্যবসার পরিবেশকে করেছে নাজুক।
১১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের যে বাজেট আজ ঘোষণা করতে যাচ্ছে, তাতে জনজীবন সহজ করতে কিংবা অর্থনীতিতে নতুন গতি আনার মতো উদ্ভাবনী কোনো উদ্যোগ নেই। রাজস্ব খাত সংস্কারে বড় উদ্যোগও নেই। বরং রাজস্ব বাড়াতে গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় কাটাছেঁড়া করা হয়েছে করহারে। এতে ৯০টির বেশি পণ্যে ভ্যাট-শুল্ক বাড়বে।
১২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে নতুন এক চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে—এমন মত অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেতাদের। যদিও এই শুল্ক ব্যবস্থা আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র, তবুও বিষয়টির দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ সরকার।
১২ ঘণ্টা আগে