Ajker Patrika

প্রসূতিদের স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল

বিজ্ঞপ্তি  
Thumbnail image
প্রসূতিদের স্বাভাবিক প্রসবে উদ্বুদ্ধ করছে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা ছিল, সিজারের মাধ্যমে ডেলিভারি হলে পরবর্তী প্রতিটি প্রেগন্যান্সিতে সিজার করা দরকার। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিল রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ্-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দেশে লাগামহীনভাবে বেড়ে যাওয়া সিজারের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সিজারিয়ান প্রেগন্যান্সি রোগীকেও নরমাল ডেলিভারিতে (স্বাভাবিক প্রসব) উদ্বুদ্ধ করছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র।

আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজারিয়ান ডেলিভারির পরও ৭০-৭৫ ভাগ মা পরবর্তী প্রেগন্যান্সিতে নরমাল ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত থাকেন। প্রথমবার সিজারিয়ান হওয়ার পরও দ্বিতীয়বার নরমাল ডেলিভারি হওয়া সম্ভব। তবে এটি মূলত ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে সম্ভব। এ জন্য অন্তঃসত্ত্বার শারীরিক অবস্থা ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বুঝে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল সিজারিয়ান প্রেগন্যান্সি রোগীকে নরমাল ডেলিভারি করে থাকে। এতে প্রসূতি মা ও বাচ্চা দুজনই সুস্থ থাকে।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আদ্-দ্বীন হাসপাতালে সিজারিয়ান ডেলিভারির জন্য আসা বেশ কয়েকজন রোগী নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তান প্রসব করতে পেরে রোগী ও তাঁর পরিবারের সবাই খুশি। সিজারিয়ান ডেলিভারি নিয়ে বিভিন্ন চিন্তার মধ্যে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল আশার আলো দেখিয়েছে বলে আনন্দিত স্বজনেরা।

আমেনা আক্তার নামের এক রোগী জানান, ‘আমার প্রথম বাচ্চা সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। এ জন্য আমার পরিবারের সবাই সিজার করতে বলেছে। তবে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সরা আমাকে নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং সাহস জুগিয়েছেন। তাঁদের পরামর্শে আমি নরমাল ডেলিভারিতে সম্মতি দিই। নরমাল ডেলিভারি করাতে পেরে আমি অনেক খুশি।’

শরীয়তপুর থেকে আসা আরেক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার প্রথম সন্তান নরমালে এবং দ্বিতীয় সন্তান সিজারের মাধ্যমে হয়েছে। তাই আমি বাসা থেকে সিজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। তবে আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমার রোগীর নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। এ জন্য মহান আল্লাহর নিকট লাখো কোটি শুকরিয়া। বিশেষ করে আদ্-দ্বীন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’

আদ্-দ্বীন হাসপাতালসমূহের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন বলেন, ‘আদ্-দ্বীন হাসপাতাল শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েদের আস্থা অর্জন করেছে। আমরা মূলত চেষ্টা করি নিরাপদ ডেলিভারি বা সেফ ডেলিভারির। সেফ ডেলিভারির জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে থাকি।’

নাহিদ ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারির বিষয়ে আমাদের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা খুবই আন্তরিক। এ ছাড়া আগের সিজারিয়ান ডেলিভারি থাকলেও আমরা রোগীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধ করে থাকি। তবে মা ও বাচ্চা যাতে সুস্থ থাকে, আমরা সেদিকে লক্ষ্য রেখেই সিজারিয়ান রোগীকেও নরমাল ডেলিভারি করে থাকি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত