আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন চলছে। লাভ করতে এসে প্রতিদিন পুঁজি হারিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এখন দিশেহারা প্রায়। বাজারকে এ খাদের কিনারা থেকে কে তুলবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিরই-বা ভূমিকা কী–এই প্রশ্ন করছেন তাঁরা। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লাভ থাকা দূরের কথা, এখন পুঁজি কীভাবে ফিরবে এই নিয়েই নেই কোনো পদক্ষেপ। এমন পরিস্থিতিতে গত ১১ দিনে সাড়ে ৩৪ হাজার বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। বাজার বিশ্লেষণে জানা যায়, গত আড়াই মাসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিতভাবে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। যদিও গতকাল ৩৭ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির কারণে ৭৭১ কোটি টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে। তা ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতো। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭৬, যা ২০২১ সালের ১২ মের পর সর্বনিম্ন অবস্থান। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৫১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে কেবল ২০ দিন উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১০ কার্যদিবস উত্থান হয়। আর ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩৪ কার্যদিবসের মধ্যে উত্থান হয়েছে কেবল ৮ দিন। অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারির পর ক্রমাগত পতনের দিকে চলে যায় বাজার।
লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সেটি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এই ৫১ দিনে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার ও ইউনিটের সম্মিলিতভাবে বাজারমূল্য কমেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী।
পুঁজিবাজারের এই পতন শুরু হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর থেকে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কয়েক ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। এরপর কিছুদিন বাজারে শেয়ারের দাম বাড়লেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মোটামুটি একটানা দরপতন শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা দেখিনি। আমার বন্ধুরা অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে।’
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ১১ কার্যদিবসের ব্যবধানে ৩৪ হাজার ৪৩৬ জন বিনিয়োগকারী তাঁদের বিও হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজারকে দীর্ঘদিন কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার কারণে নেতিবাচক বা ইতিবাচক কার্যক্রমের কোনো প্রভাব পড়তে পারেনি। ফলে দীর্ঘ দর সমন্বয় চলছে।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার পর এটা সবচেয়ে বড় পতন। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারের বাহ্যিক কারণ ছিল না। কিন্তু এখন সুদের হার বেশি হওয়াসহ আরও অনেক কারণ আছে।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, তাঁরা নিজেরা আলোচনা করেছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও বসেছেন।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, সবাই যদি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, তাহলে পতন রোধে সাপোর্ট দেওয়া কঠিন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বাজার অনেকটাই পড়েছে। ওভার সোল্ড অবস্থায় আছে। বাই অটোমেটিক্যালি আসবে। কিছু করা লাগবে না, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজারে ভয়াবহ দরপতন চলছে। লাভ করতে এসে প্রতিদিন পুঁজি হারিয়ে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী এখন দিশেহারা প্রায়। বাজারকে এ খাদের কিনারা থেকে কে তুলবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিরই-বা ভূমিকা কী–এই প্রশ্ন করছেন তাঁরা। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের লাভ থাকা দূরের কথা, এখন পুঁজি কীভাবে ফিরবে এই নিয়েই নেই কোনো পদক্ষেপ। এমন পরিস্থিতিতে গত ১১ দিনে সাড়ে ৩৪ হাজার বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার ছেড়েছেন। বাজার বিশ্লেষণে জানা যায়, গত আড়াই মাসে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিতভাবে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। যদিও গতকাল ৩৭ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির কারণে ৭৭১ কোটি টাকা বাজার মূলধন বেড়েছে। তা ছাড়া ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতো। গতকাল ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৭৭৬, যা ২০২১ সালের ১২ মের পর সর্বনিম্ন অবস্থান। ওই দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ৭৫০ পয়েন্টে।
তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৫১ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইতে কেবল ২০ দিন উত্থান হয়েছে। এর মধ্যে ২৯ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা ১০ কার্যদিবস উত্থান হয়। আর ১১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে গতকাল পর্যন্ত ৩৪ কার্যদিবসের মধ্যে উত্থান হয়েছে কেবল ৮ দিন। অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারির পর ক্রমাগত পতনের দিকে চলে যায় বাজার।
লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৭ জানুয়ারি ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা। গতকাল বুধবার সেটি দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকায়। অর্থাৎ এই ৫১ দিনে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত সব শেয়ার ও ইউনিটের সম্মিলিতভাবে বাজারমূল্য কমেছে ১ লাখ ৯ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সব শ্রেণির বিনিয়োগকারী।
পুঁজিবাজারের এই পতন শুরু হয়েছে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার পর থেকে। গত ২১ জানুয়ারি থেকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কয়েক ধাপে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। এরপর কিছুদিন বাজারে শেয়ারের দাম বাড়লেও ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মোটামুটি একটানা দরপতন শুরু হয়।
এ বিষয়ে বিনিয়োগকারী সানী মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে এর চেয়ে খারাপ অবস্থা দেখিনি। আমার বন্ধুরা অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে।’
সিডিবিএলের তথ্য অনুযায়ী, ১১ কার্যদিবসের ব্যবধানে ৩৪ হাজার ৪৩৬ জন বিনিয়োগকারী তাঁদের বিও হিসাবে থাকা সব শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছেন। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ফ্লোর প্রাইস দিয়ে বাজারকে দীর্ঘদিন কৃত্রিমভাবে ধরে রাখার কারণে নেতিবাচক বা ইতিবাচক কার্যক্রমের কোনো প্রভাব পড়তে পারেনি। ফলে দীর্ঘ দর সমন্বয় চলছে।
এ বিষয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার পর এটা সবচেয়ে বড় পতন। ২০১০ সালের পর পুঁজিবাজারের বাহ্যিক কারণ ছিল না। কিন্তু এখন সুদের হার বেশি হওয়াসহ আরও অনেক কারণ আছে।
এ বিষয়ে ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, তাঁরা নিজেরা আলোচনা করেছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গেও বসেছেন।
সিইও ফোরামের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, সবাই যদি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, তাহলে পতন রোধে সাপোর্ট দেওয়া কঠিন।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বাজার অনেকটাই পড়েছে। ওভার সোল্ড অবস্থায় আছে। বাই অটোমেটিক্যালি আসবে। কিছু করা লাগবে না, বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
১৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
১৯ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে