আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৯৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করেছে স্থলবন্দরটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেত।
ভোমরা কাস্টম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় বন্দরটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮১ কোটি, তবে আদায় হয়েছে ৬৭৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৯৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রাজস্ব অর্জিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মতো সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ভোমরা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ আমদানি অনেক বেড়েছে। আগে ৭২টি পণ্য আমদানি হতো, এখন গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ড চালু হওয়ায় যানজট কমেছে, ফলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন।
তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সম্প্রসারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, কারণ ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব অন্যান্য বন্দরের তুলনায় কম। তবে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা এখনো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ওয়্যারহাউস থাকলেও চালু হয়নি, পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান করা গেলে রাজস্ব আহরণ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভোমরা স্থলবন্দরের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এনবিআর থেকে সব পণ্য আমদানির অনুমোদন পাওয়ার পর বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ ও বালু ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এসব জায়গায় উন্নতমানের ওয়্যারহাউস, আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল, পার্কিং ইয়ার্ড ও ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। ফলে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভোমরা কাস্টমসের উপকমিশনার আব্দুল সালাম ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাঁদের যাতে কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়ে শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৯৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করেছে স্থলবন্দরটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেত।
ভোমরা কাস্টম অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় বন্দরটির কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত শুল্ক আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৮১ কোটি, তবে আদায় হয়েছে ৬৭৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ ৯৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত রাজস্ব অর্জিত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেনাপোল স্থলবন্দরের মতো সব ধরনের পণ্য আমদানির অনুমতি দেওয়ায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ব্যবসায়ী দীপঙ্কর ঘোষ বলেন, ভোমরা বন্দরের রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ আমদানি অনেক বেড়েছে। আগে ৭২টি পণ্য আমদানি হতো, এখন গুঁড়া দুধ ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। এ ছাড়া পার্কিং ইয়ার্ড চালু হওয়ায় যানজট কমেছে, ফলে ব্যবসায়ীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করতে পারছেন।
তবে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও সম্প্রসারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ আব্দুল গফুর। তিনি বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর, কারণ ঢাকা থেকে কলকাতার দূরত্ব অন্যান্য বন্দরের তুলনায় কম। তবে অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে বন্দরের পূর্ণ সম্ভাবনা এখনো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। ওয়্যারহাউস থাকলেও চালু হয়নি, পণ্য খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান করা গেলে রাজস্ব আহরণ বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভোমরা স্থলবন্দরের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। এ বিষয়ে ভোমরা স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপপরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ভোমরা স্থলবন্দরকে একটি পূর্ণাঙ্গ কাস্টম হাউস হিসেবে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট এনবিআর থেকে সব পণ্য আমদানির অনুমোদন পাওয়ার পর বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১০ একর জমি অধিগ্রহণ ও বালু ভরাট সম্পন্ন হয়েছে। আরও ৫৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এসব জায়গায় উন্নতমানের ওয়্যারহাউস, আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনাল, পার্কিং ইয়ার্ড ও ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। ফলে আমদানি-রপ্তানি ও রাজস্ব আয় আরও বৃদ্ধি পাবে।
ভোমরা কাস্টমসের উপকমিশনার আব্দুল সালাম ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাঁদের যাতে কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয়, সে বিষয়ে শুল্ক বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
৪ ঘণ্টা আগেচলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় ২৮.৯৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৬৮ শতাংশ বেশি। জানুয়ারি মাসে এককভাবে ৪.৪৪ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ৫.৭০ শতাংশ বেশি। প্রধানত তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল রপ্তানি...
৬ ঘণ্টা আগেব্যাংকের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ৩০টি টাস্কফোর্স টিম গঠন এবং আইনি প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় কমিয়ে বার্ষিক খরচ ২০ শতাংশ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন আমানত সংগ্রহেও বিশেষ..
৭ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিমানকে একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এটিকে লাভজনক ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া উচিত।
৭ ঘণ্টা আগে