নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নানা উদ্যোগের পরও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। প্রায় আড়াই বছর পরে বেসরকারি ঋণ এক অঙ্কের ঘরে (সিঙ্গেল ডিজিট) নেমেছে। গত জানুয়ারি মাসে এই খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ কম।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার চাপ পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর। কেননা, সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরের ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু ওই সময়ের কোনো মাসেই বেসরকারি ঋণের এই লক্ষ্য অর্জন হয়নি। ঋণ বিতরণের পরিস্থিতি বাস্তবায়নের চিত্র বিশ্লেষণ করে একই অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। কিন্তু জানুয়ারি মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে এক অঙ্কের ঘরে নেমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপর দিকে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতে নিট ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা পরের মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থের সংকট সত্ত্বেও সরকার একের পর এক মেগা প্রকল্প নিচ্ছে। আবার কোনো দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে যেসব উদ্যোগের মাধ্যমে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, সেই ধরনের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে। সরকার বাধ্য হয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৌশলে বাণিজ্যিক ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাবে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক চিত্র দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ কমানো উচিত। নয়তো সামনে আরও খারাপ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। ফলে গত এক বছরে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপর কখনোই তা ১০ শতাংশের নিচে নামেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগতভাবে সরকারের হয়ে কাজ করে। দেশের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারকে পরামর্শ দেয়। সম্প্রতি সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন বাজারে টাকার প্রবাহ কমে আসে।
নানা উদ্যোগের পরও বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা পড়েছে। প্রায় আড়াই বছর পরে বেসরকারি ঋণ এক অঙ্কের ঘরে (সিঙ্গেল ডিজিট) নেমেছে। গত জানুয়ারি মাসে এই খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ শতাংশ কম।
তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার চাপ পড়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর। কেননা, সরকারের ঋণের প্রবৃদ্ধি ডিসেম্বরের ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে জানুয়ারিতে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে (জুলাই-ডিসেম্বর) বেসরকারি খাতে বার্ষিক ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। কিন্তু ওই সময়ের কোনো মাসেই বেসরকারি ঋণের এই লক্ষ্য অর্জন হয়নি। ঋণ বিতরণের পরিস্থিতি বাস্তবায়নের চিত্র বিশ্লেষণ করে একই অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রবৃদ্ধির হার কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ শতাংশ। কিন্তু জানুয়ারি মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধির হার আরও কমে এক অঙ্কের ঘরে নেমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে, যা ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপর দিকে সরকারি খাতের ঋণের প্রবৃদ্ধিতে বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি খাতে নিট ঋণের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ছিল ১৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ, যা পরের মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থের সংকট সত্ত্বেও সরকার একের পর এক মেগা প্রকল্প নিচ্ছে। আবার কোনো দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে যেসব উদ্যোগের মাধ্যমে সেটিকে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়, সেই ধরনের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া আপাতত বন্ধ রেখেছে। সরকার বাধ্য হয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৌশলে বাণিজ্যিক ব্যাংক বেসরকারি খাতে ঋণ বিতরণ কমিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাবে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক চিত্র দেখা দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণ কমানো উচিত। নয়তো সামনে আরও খারাপ দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে বেসরকারি খাতে বিতরণকৃত ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৪৩ কোটি টাকা, যা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ছিল ১৪ লাখ ২৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা। ফলে গত এক বছরে এ খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে বেসরকারি খাতের ঋণে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এরপর কখনোই তা ১০ শতাংশের নিচে নামেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক নীতিগতভাবে সরকারের হয়ে কাজ করে। দেশের স্বার্থে অনেক সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারকে পরামর্শ দেয়। সম্প্রতি সরকারকে নতুন করে টাকা ছাপিয়ে ঋণ দেওয়া বন্ধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যেন বাজারে টাকার প্রবাহ কমে আসে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একাধিক বহুজাতিক কোম্পানি গত অর্থবছরের মুনাফার তুলনায় বেশি পরিমাণ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কি বাংলাদেশে তাদের পুনর্বিনিয়োগের আগ্রহ হারাচ্ছে? পুঁজিবাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি সরাসরি একটি ‘বিনিয়োগ প্রত্যাহার’-এর কৌশল, যা দেশের অর্থনীতি...
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্ক জটিলতা ও অস্থিরতা যখন নতুন চ্যালেঞ্জ, তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি আরও বেড়েছে বাংলাদেশের। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫ মাসে বাজারটিতে রপ্তানি হয়েছে ৯৬৮ কোটি ৮ লাখ ৭০ হাজার ডলারের পণ্য, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৮২৩ কোটি...
৬ ঘণ্টা আগেদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা তিন অর্থবছর ধরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১৪ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফল ও কৃষিপণ্য আমদানি বন্ধ থাকায় এবং দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেস্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসির শরিয়াহ সুপারভাইজরি কমিটির ৫০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১০ ঘণ্টা আগে