জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যেখানে একই সময়ে আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কৃষি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ৩৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এদিকে, একই সময়ে আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বেশি।
অর্থাৎ, কৃষকেরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী ও সক্ষমতা দেখালেও, নতুন ঋণ পেতে তাঁদের ভোগান্তি বাড়ছে। কৃষিঋণ সাধারণত বীজ, সার, কীটনাশক কেনা, সেচব্যবস্থা স্থাপন এবং অন্যান্য কৃষিবিষয়ক সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ব্যাংক নানা অজুহাতে কৃষকদের ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি খাতের সার্বিক ঋণ বিতরণের কার্যক্রমে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রবণতাকে ‘সতর্কসংকেত’ বলে উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যা-খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এখন বেশি ঋণ দরকার। ব্যাংকগুলো যদি কৃষিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তাহলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে, আর মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের জীবনে আরও চেপে বসবে।’
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে এ বছর ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় বিতরণ হার ৩১ শতাংশের নিচে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক ব্যাংকেরই গ্রামীণ নেটওয়ার্ক নেই। তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, যা ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষিঋণ বিতরণের সক্ষমতা নিয়ে এখনই সরকারের গভীর দৃষ্টি প্রয়োজন।’
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকেও দায় স্বীকারের সুর শোনা গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে কিছু ব্যাংক কাঠামোগত সমস্যায় ছিল। জুলাই-আগস্টে মানুষও মাঠে নামতে পারেনি। এতে কৃষিঋণ বিতরণে প্রভাব পড়েছে। তবে লক্ষ্য অর্জনে বিতরণ বাড়াতে হবে, আর আমরা সেটাই করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শুধু বিতরণ নয়, ঋণপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিরুৎসাহিত করছে প্রকৃত কৃষকদের। ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। কারও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কৃষিঋণ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরকার যেখানে কৃষিকে কৌশলগত খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখানে কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হওয়া শুধু আর্থিক ব্যর্থতা নয়, এটি খাদ্যনিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যেখানে একই সময়ে আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কৃষি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ৩৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এদিকে, একই সময়ে আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বেশি।
অর্থাৎ, কৃষকেরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী ও সক্ষমতা দেখালেও, নতুন ঋণ পেতে তাঁদের ভোগান্তি বাড়ছে। কৃষিঋণ সাধারণত বীজ, সার, কীটনাশক কেনা, সেচব্যবস্থা স্থাপন এবং অন্যান্য কৃষিবিষয়ক সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ব্যাংক নানা অজুহাতে কৃষকদের ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি খাতের সার্বিক ঋণ বিতরণের কার্যক্রমে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রবণতাকে ‘সতর্কসংকেত’ বলে উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যা-খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এখন বেশি ঋণ দরকার। ব্যাংকগুলো যদি কৃষিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তাহলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে, আর মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের জীবনে আরও চেপে বসবে।’
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে এ বছর ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় বিতরণ হার ৩১ শতাংশের নিচে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক ব্যাংকেরই গ্রামীণ নেটওয়ার্ক নেই। তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, যা ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষিঋণ বিতরণের সক্ষমতা নিয়ে এখনই সরকারের গভীর দৃষ্টি প্রয়োজন।’
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকেও দায় স্বীকারের সুর শোনা গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে কিছু ব্যাংক কাঠামোগত সমস্যায় ছিল। জুলাই-আগস্টে মানুষও মাঠে নামতে পারেনি। এতে কৃষিঋণ বিতরণে প্রভাব পড়েছে। তবে লক্ষ্য অর্জনে বিতরণ বাড়াতে হবে, আর আমরা সেটাই করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শুধু বিতরণ নয়, ঋণপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিরুৎসাহিত করছে প্রকৃত কৃষকদের। ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। কারও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কৃষিঋণ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরকার যেখানে কৃষিকে কৌশলগত খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখানে কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হওয়া শুধু আর্থিক ব্যর্থতা নয়, এটি খাদ্যনিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
আরও খবর পড়ুন:
জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যেখানে একই সময়ে আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কৃষি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ৩৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এদিকে, একই সময়ে আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বেশি।
অর্থাৎ, কৃষকেরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী ও সক্ষমতা দেখালেও, নতুন ঋণ পেতে তাঁদের ভোগান্তি বাড়ছে। কৃষিঋণ সাধারণত বীজ, সার, কীটনাশক কেনা, সেচব্যবস্থা স্থাপন এবং অন্যান্য কৃষিবিষয়ক সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ব্যাংক নানা অজুহাতে কৃষকদের ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি খাতের সার্বিক ঋণ বিতরণের কার্যক্রমে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রবণতাকে ‘সতর্কসংকেত’ বলে উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যা-খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এখন বেশি ঋণ দরকার। ব্যাংকগুলো যদি কৃষিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তাহলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে, আর মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের জীবনে আরও চেপে বসবে।’
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে এ বছর ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় বিতরণ হার ৩১ শতাংশের নিচে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক ব্যাংকেরই গ্রামীণ নেটওয়ার্ক নেই। তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, যা ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষিঋণ বিতরণের সক্ষমতা নিয়ে এখনই সরকারের গভীর দৃষ্টি প্রয়োজন।’
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকেও দায় স্বীকারের সুর শোনা গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে কিছু ব্যাংক কাঠামোগত সমস্যায় ছিল। জুলাই-আগস্টে মানুষও মাঠে নামতে পারেনি। এতে কৃষিঋণ বিতরণে প্রভাব পড়েছে। তবে লক্ষ্য অর্জনে বিতরণ বাড়াতে হবে, আর আমরা সেটাই করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শুধু বিতরণ নয়, ঋণপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিরুৎসাহিত করছে প্রকৃত কৃষকদের। ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। কারও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কৃষিঋণ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরকার যেখানে কৃষিকে কৌশলগত খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখানে কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হওয়া শুধু আর্থিক ব্যর্থতা নয়, এটি খাদ্যনিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
আরও খবর পড়ুন:

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যেখানে একই সময়ে আদায় বেড়েছে ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত কৃষি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ৩২ হাজার ২১১ কোটি টাকা। অথচ এক বছর আগের একই সময়ে বিতরণ হয়েছিল ৩৩ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। এদিকে, একই সময়ে আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৮৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা বেশি।
অর্থাৎ, কৃষকেরা ঋণ পরিশোধে আগ্রহী ও সক্ষমতা দেখালেও, নতুন ঋণ পেতে তাঁদের ভোগান্তি বাড়ছে। কৃষিঋণ সাধারণত বীজ, সার, কীটনাশক কেনা, সেচব্যবস্থা স্থাপন এবং অন্যান্য কৃষিবিষয়ক সরঞ্জাম কেনার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু ব্যাংক নানা অজুহাতে কৃষকদের ঋণ বিতরণে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে কৃষি খাতের সার্বিক ঋণ বিতরণের কার্যক্রমে।
কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম এ প্রবণতাকে ‘সতর্কসংকেত’ বলে উল্লেখ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বন্যা-খরায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য এখন বেশি ঋণ দরকার। ব্যাংকগুলো যদি কৃষিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হয়, তাহলে খাদ্য উৎপাদন কমবে, পণ্যের সরবরাহ সংকুচিত হবে, আর মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষের জীবনে আরও চেপে বসবে।’
অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে এ বছর ৩৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৫ হাজার ৩৮৫ কোটি টাকা, আর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর জন্য ১২ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, সরকারি মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কৃষিঋণ বিতরণ কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় বিতরণ হার ৩১ শতাংশের নিচে।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডি মো. জাহিদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘অনেক ব্যাংকেরই গ্রামীণ নেটওয়ার্ক নেই। তারা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, যা ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। কৃষিঋণ বিতরণের সক্ষমতা নিয়ে এখনই সরকারের গভীর দৃষ্টি প্রয়োজন।’
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকেও দায় স্বীকারের সুর শোনা গেছে। মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বছরের শুরুতে কিছু ব্যাংক কাঠামোগত সমস্যায় ছিল। জুলাই-আগস্টে মানুষও মাঠে নামতে পারেনি। এতে কৃষিঋণ বিতরণে প্রভাব পড়েছে। তবে লক্ষ্য অর্জনে বিতরণ বাড়াতে হবে, আর আমরা সেটাই করব।’
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, শুধু বিতরণ নয়, ঋণপ্রক্রিয়ায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যও নিরুৎসাহিত করছে প্রকৃত কৃষকদের। ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। কারও সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ কৃষিঋণ উৎপাদন, প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সরকার যেখানে কৃষিকে কৌশলগত খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে, সেখানে কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি বাধাগ্রস্ত হওয়া শুধু আর্থিক ব্যর্থতা নয়, এটি খাদ্যনিরাপত্তা ও সামাজিক স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকিস্বরূপ।
আরও খবর পড়ুন:

বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
১৮ মিনিট আগে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বা
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের জানাজা বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদ-এ অনুষ্ঠিত হবে।

বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমের জানাজা বাদ আছর গুলশান সোসাইটি মসজিদ-এ অনুষ্ঠিত হবে।

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে
১৭ জুলাই ২০২৫
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বা
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বাধীনভাবে সরকারি ই-সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, নিয়মিত অ্যাক্সেসিবিলিটি মূল্যায়ন এবং বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগকে অত্যাবশ্যক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
“ইনোভেশন টু ইনক্লুশন ইন দ্য ডিজিটাল এইজ” শীর্ষক সেমিনারটি আগারগাঁওয়ের বিডা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ। ১৫০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আইসিটি বিভাগ, এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সমাজসেবা অধিদফতর, জাতিসংঘ সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, মোবাইল অপারেটর, ব্যাংক, ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, সিভিল সোসাইটি, ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের প্রতিনিধি।
সেমিনারে অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহা: আব্দুর রফিক, প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আব্দুল্লাহ আল ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহা আবু এমায়ের, হেড অব ইনোভেশন ক্লাস্টার মো. নাহিদ আলম, কনসালট্যান্ট (অ্যাক্সেসিবিলিটি) ভাস্কর ভট্টাচার্য, ইউএনডিপি বাংলাদেশের অ্যাসিস্টেন্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক এবং ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন অফিসার মো. নাজমুস সাকিব।
অনুষ্ঠানে এটুআই ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে “ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ: বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশযোগ্যতা উন্নয়ন” শীর্ষক নতুন গবেষণা ও পলিসি ব্রিফ উপস্থাপন করে। এতে বলা হয়, দেশে এক হাজারের বেশি ই-সেবা চালু হলেও অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এখনো এসব সেবা ব্যবহারে বাধার মুখে পড়েন। অনেকের জন্য সেবা কার্যত অপ্রবেশযোগ্য রয়ে গেছে।
গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ভাস্কর ভট্টাচার্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে পরিচালিত সার্ভে, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা, কর্মশালা ও সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে সহায়ক প্রযুক্তি ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের সীমিত প্রাপ্যতা, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব, অনিরাপদ অনলাইন পরিবেশ এবং ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে অ্যাক্সেসিবিলিটি ফিচারের ঘাটতি প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে আসে। পাশাপাশি বলা হয়, প্রতিবন্ধী নারীরা অনলাইন হয়রানির বিশেষ ঝুঁকিতে থাকেন এবং তুলনামূলক কম মোবাইল ব্যবহারের কারণে তাঁদের সেবা গ্রহণে বাধা আরও বাড়ে।
সেমিনারে বাস্তব অভিজ্ঞতার উদাহরণও উঠে আসে। একজন প্রতিবন্ধী নারী জানান, তাঁর ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরেক অংশগ্রহণকারী জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন অনলাইনে করা গেলেও শেষ পর্যন্ত ফরম প্রিন্ট করে হাতে জমা দিতে হয়, যা ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রবেশযোগ্যতাকে সেবা ডিজাইনের প্রাথমিক স্তর থেকেই বাধ্যতামূলক করতে হবে। সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রবেশযোগ্যতা মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোহা: আব্দুর রফিক বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টাই ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পারে।
বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, প্রতিবন্ধিতা-সংক্রান্ত সেবা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিচ্ছিন্ন কাঠামোর মধ্যে না রেখে সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা জরুরি। আব্দুল্লাহ আল ফাহিম বলেন, প্রবেশযোগ্যতা জনসেবার মূল শর্ত, বাড়তি সুবিধা নয়। আনোয়ারুল হক বলেন, ডিজিটাল অগ্রগতির সত্যিকারের মানদণ্ড হলো কতজন মানুষ বাস্তবে সেবা ব্যবহার করতে পারছে।
সেমিনারে উপস্থাপিত নীতি-প্রস্তাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়। প্রথম বছরে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু, সব সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেসিবিলিটি অডিট, ডিজাইন গাইডলাইন বাস্তবায়ন, প্রতিবন্ধী নারী ও তরুণদের ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, ডেভেলপারদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল স্কিলস হাব স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বছরে সরকারি ভাতা ও ভর্তুকিতে দূরবর্তী পরিচয় যাচাইকরণ, সহজ ন্যাশনাল ডিজেবিলিটি হেল্পলাইন, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি, সহায়ক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও দেশীয় উদ্ভাবনে সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম বছরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন, ওয়েব অ্যাক্সেসিবিলিটি মনিটরিং অথরিটি গঠন, মুক্তপাঠ ও নাইসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পূর্ণ প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি তথ্য ও জরুরি বার্তাকে সবার জন্য সম্পূর্ণ প্রবেশযোগ্য করার সুপারিশ করা হয়।
বক্তাদের মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এক অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পরিবেশের দিকে এগোবে।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বাধীনভাবে সরকারি ই-সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। এ জন্য সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, নিয়মিত অ্যাক্সেসিবিলিটি মূল্যায়ন এবং বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার কার্যকর প্রয়োগকে অত্যাবশ্যক হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
“ইনোভেশন টু ইনক্লুশন ইন দ্য ডিজিটাল এইজ” শীর্ষক সেমিনারটি আগারগাঁওয়ের বিডা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ। ১৫০ জনের বেশি অংশগ্রহণকারী সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন আইসিটি বিভাগ, এটুআই, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, সমাজসেবা অধিদফতর, জাতিসংঘ সংস্থা, উন্নয়ন অংশীদার, মোবাইল অপারেটর, ব্যাংক, ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম, সিভিল সোসাইটি, ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি বিশেষজ্ঞ এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সংগঠনের প্রতিনিধি।
সেমিনারে অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ, এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মোহা: আব্দুর রফিক, প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট লিড আব্দুল্লাহ আল ফাহিম, ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট ম্যানেজার মাহা আবু এমায়ের, হেড অব ইনোভেশন ক্লাস্টার মো. নাহিদ আলম, কনসালট্যান্ট (অ্যাক্সেসিবিলিটি) ভাস্কর ভট্টাচার্য, ইউএনডিপি বাংলাদেশের অ্যাসিস্টেন্ট রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক এবং ডাইভার্সিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন অফিসার মো. নাজমুস সাকিব।
অনুষ্ঠানে এটুআই ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ যৌথভাবে “ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ: বাংলাদেশের ডিজিটাল ইকোসিস্টেমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশযোগ্যতা উন্নয়ন” শীর্ষক নতুন গবেষণা ও পলিসি ব্রিফ উপস্থাপন করে। এতে বলা হয়, দেশে এক হাজারের বেশি ই-সেবা চালু হলেও অনেক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এখনো এসব সেবা ব্যবহারে বাধার মুখে পড়েন। অনেকের জন্য সেবা কার্যত অপ্রবেশযোগ্য রয়ে গেছে।
গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ভাস্কর ভট্টাচার্য। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহীতে পরিচালিত সার্ভে, ফোকাস গ্রুপ আলোচনা, কর্মশালা ও সাক্ষাৎকার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে সহায়ক প্রযুক্তি ও সাশ্রয়ী ইন্টারনেটের সীমিত প্রাপ্যতা, ডিজিটাল দক্ষতার অভাব, অনিরাপদ অনলাইন পরিবেশ এবং ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে অ্যাক্সেসিবিলিটি ফিচারের ঘাটতি প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে উঠে আসে। পাশাপাশি বলা হয়, প্রতিবন্ধী নারীরা অনলাইন হয়রানির বিশেষ ঝুঁকিতে থাকেন এবং তুলনামূলক কম মোবাইল ব্যবহারের কারণে তাঁদের সেবা গ্রহণে বাধা আরও বাড়ে।
সেমিনারে বাস্তব অভিজ্ঞতার উদাহরণও উঠে আসে। একজন প্রতিবন্ধী নারী জানান, তাঁর ছবি বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। আরেক অংশগ্রহণকারী জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন অনলাইনে করা গেলেও শেষ পর্যন্ত ফরম প্রিন্ট করে হাতে জমা দিতে হয়, যা ডিজিটালাইজেশনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, প্রবেশযোগ্যতাকে সেবা ডিজাইনের প্রাথমিক স্তর থেকেই বাধ্যতামূলক করতে হবে। সমাজসেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাইদুর রহমান খান বলেন, প্রবেশযোগ্যতা মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত। এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মোহা: আব্দুর রফিক বলেন, সমন্বিত প্রচেষ্টাই ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে পারে।
বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ বলেন, প্রতিবন্ধিতা-সংক্রান্ত সেবা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে বিচ্ছিন্ন কাঠামোর মধ্যে না রেখে সমন্বিতভাবে পরিচালনা করা জরুরি। আব্দুল্লাহ আল ফাহিম বলেন, প্রবেশযোগ্যতা জনসেবার মূল শর্ত, বাড়তি সুবিধা নয়। আনোয়ারুল হক বলেন, ডিজিটাল অগ্রগতির সত্যিকারের মানদণ্ড হলো কতজন মানুষ বাস্তবে সেবা ব্যবহার করতে পারছে।
সেমিনারে উপস্থাপিত নীতি-প্রস্তাবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য একটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ তুলে ধরা হয়। প্রথম বছরে সাশ্রয়ী ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু, সব সরকারি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেসিবিলিটি অডিট, ডিজাইন গাইডলাইন বাস্তবায়ন, প্রতিবন্ধী নারী ও তরুণদের ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ, ডেভেলপারদের জন্য বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ ও ডিজিটাল স্কিলস হাব স্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
দ্বিতীয় থেকে তৃতীয় বছরে সরকারি ভাতা ও ভর্তুকিতে দূরবর্তী পরিচয় যাচাইকরণ, সহজ ন্যাশনাল ডিজেবিলিটি হেল্পলাইন, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের প্রবেশযোগ্যতা বৃদ্ধি, সহায়ক প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ও দেশীয় উদ্ভাবনে সহায়তা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়।
তৃতীয় থেকে পঞ্চম বছরে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ডিজিটাল অ্যাক্সেসিবিলিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন, ওয়েব অ্যাক্সেসিবিলিটি মনিটরিং অথরিটি গঠন, মুক্তপাঠ ও নাইসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পূর্ণ প্রবেশযোগ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি তথ্য ও জরুরি বার্তাকে সবার জন্য সম্পূর্ণ প্রবেশযোগ্য করার সুপারিশ করা হয়।
বক্তাদের মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও নাগরিক জীবনের সব ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এক অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল পরিবেশের দিকে এগোবে।

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে
১৭ জুলাই ২০২৫
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
১৮ মিনিট আগে
দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
পার্কসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা আটটি বাণিজ্যিক প্লটই এখন লিজ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে আলোচিত বিনিয়োগটি এসেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক থেকে। তারা ৪০ বছরের জন্য এক একর জায়গা লিজ নিয়ে স্থাপন করেছে অত্যাধুনিক গ্রাউন্ড স্টেশন। একই সময়ে দেশীয় অগ্নিসিস্টেম নতুন প্লট বরাদ্দ পেয়েছে এবং ব্র্যাক-আইটি দুই একর জায়গায় কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারে প্রাণ-আরএফএলসহ একাধিক কোম্পানি মোট ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট স্পেস ভাড়া নিয়েছে।
ভর্তুকিনির্ভর পার্কে উন্নতির আশা
বর্তমানে হাইটেক পার্কে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মাসিক আয় মাত্র ২ লাখ টাকা, যেখানে ব্যয় ৮ লাখ টাকার বেশি। ফলে প্রতি মাসেই প্রায় ৬ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তবে নতুন বছরের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হলে ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
পার্কের উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগে ৮টি প্লটের সবই খালি পড়ে ছিল। এখন সাত প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারেও ১৯টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, অনেকে অফিস সাজাচ্ছে।’
অবকাঠামো-নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ
অবকাঠামো ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত অবকাঠামো সংস্কার ও নিরাপত্তা জোরদার না করলে বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিনিয়োগ বাড়তে থাকলেও নিরাপত্তা, পরিবেশ ও ব্র্যান্ডিংয়ে এখনো পিছিয়ে কর্তৃপক্ষ।
হাইটেক পার্কের রাজ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম আক্তারুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘এখানে এখনো সিকিউরিটি ক্যামেরা নেই, বিদ্যুৎ ব্যাকআপও দুর্বল। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যায়। হাইটেক পার্কে এমন হতে পারে না। কারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ ছাড়া কোনো হাইটেক পার্ক টেকসই হতে পারে না। এ বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।’
সম্ভাবনার কেন্দ্র হতে পারে রাজশাহী
শিক্ষানগরী রাজশাহীতে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ খোঁজেন। এমন প্রেক্ষাপটে হাইটেক পার্কে কমপক্ষে ১৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘হাইটেক পার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী মানবসম্পদ ভান্ডার তৈরি হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে। পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানায়, আমরা তাদের সঙ্গে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
পার্কসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন খালি পড়ে থাকা আটটি বাণিজ্যিক প্লটই এখন লিজ নিয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে আলোচিত বিনিয়োগটি এসেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক থেকে। তারা ৪০ বছরের জন্য এক একর জায়গা লিজ নিয়ে স্থাপন করেছে অত্যাধুনিক গ্রাউন্ড স্টেশন। একই সময়ে দেশীয় অগ্নিসিস্টেম নতুন প্লট বরাদ্দ পেয়েছে এবং ব্র্যাক-আইটি দুই একর জায়গায় কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ ছাড়া ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারে প্রাণ-আরএফএলসহ একাধিক কোম্পানি মোট ২ হাজার ৪০০ বর্গফুট স্পেস ভাড়া নিয়েছে।
ভর্তুকিনির্ভর পার্কে উন্নতির আশা
বর্তমানে হাইটেক পার্কে ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বাবদ মাসিক আয় মাত্র ২ লাখ টাকা, যেখানে ব্যয় ৮ লাখ টাকার বেশি। ফলে প্রতি মাসেই প্রায় ৬ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। তবে নতুন বছরের শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানগুলোর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম চালু হলে ঘাটতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
পার্কের উপপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আগে ৮টি প্লটের সবই খালি পড়ে ছিল। এখন সাত প্রতিষ্ঠান তাদের নিয়মিত কার্যক্রম চালাচ্ছে। ১২ তলা সিলিকন টাওয়ারেও ১৯টি কোম্পানিকে স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, অনেকে অফিস সাজাচ্ছে।’
অবকাঠামো-নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে উদ্বেগ
অবকাঠামো ও নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে উদ্যোক্তারা বলছেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা পুষিয়ে নিতে দ্রুত অবকাঠামো সংস্কার ও নিরাপত্তা জোরদার না করলে বড় বিনিয়োগ ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিনিয়োগ বাড়তে থাকলেও নিরাপত্তা, পরিবেশ ও ব্র্যান্ডিংয়ে এখনো পিছিয়ে কর্তৃপক্ষ।
হাইটেক পার্কের রাজ আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এস এম আক্তারুজ্জামান মাসুদ বলেন, ‘এখানে এখনো সিকিউরিটি ক্যামেরা নেই, বিদ্যুৎ ব্যাকআপও দুর্বল। মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চলে যায়। হাইটেক পার্কে এমন হতে পারে না। কারণ, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও কর্মীবান্ধব পরিবেশ ছাড়া কোনো হাইটেক পার্ক টেকসই হতে পারে না। এ বিষয়গুলো দ্রুত সমাধান করতে হবে।’
সম্ভাবনার কেন্দ্র হতে পারে রাজশাহী
শিক্ষানগরী রাজশাহীতে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ শিক্ষার্থী কর্মসংস্থানের সুযোগ খোঁজেন। এমন প্রেক্ষাপটে হাইটেক পার্কে কমপক্ষে ১৪ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রোকনুজ্জামান বলেন, ‘হাইটেক পার্ক ও বিশ্ববিদ্যালয় একসঙ্গে কাজ করলে একটি শক্তিশালী মানবসম্পদ ভান্ডার তৈরি হতে পারে। আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে। পার্কের প্রতিষ্ঠানগুলো যদি আমাদের আমন্ত্রণ জানায়, আমরা তাদের সঙ্গে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে
১৭ জুলাই ২০২৫
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
১৮ মিনিট আগে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বা
২ ঘণ্টা আগে
বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ ঘণ্টা আগেমাজফুজুল ইসলাম, ঢাকা

বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করাকে বিমা আইন সরাসরি নিষিদ্ধ। কারণ, এতে কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি বাড়ে এবং বাজারে অনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়।
আইডিআরএর সহকারী পরিচালক আব্দুর রহিমের ২১ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালে মোট ৩৪ হাজার ৩টি পলিসি ইস্যু করেছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৭৬টি পলিসি ‘বাকিতে’ ইস্যু করা হয়েছে। এই ব্যবসার প্রিমিয়ামের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৩ টাকা। এর মধ্যে বিলম্বে জমা পড়া প্রিমিয়াম ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা।
পরিদর্শকেরা ১০০ দিনের বেশি দেরিতে জমা হওয়া কয়েকটি কাভার নোট ও পলিসির নথি পরীক্ষা করে দেখেছেন, ১৫টির মধ্যে ১২টির কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি ছিল না। ফলে এগুলো সরাসরি ‘বাকিতে ব্যবসা’ বলে প্রমাণিত। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ইস্যু করা কিছু পলিসির বিপরীতে ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার কোনো প্রিমিয়াম জমা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি ব্যাংক গ্যারান্টি থাকলেও তার পরিমাণ মাত্র ৩ লাখ টাকা, অথচ কোম্পানিটি ২০২৪ সালে তাদের সঙ্গে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার বাকিতে ব্যবসা করেছে। শুধু মে মাসেই ২১ লাখ টাকার বেশি বাকিতে পলিসি করা হয়েছে। এ ছাড়া লীরা গ্রুপ ও সম্রাট গ্রুপের কিছু ব্যাংক গ্যারান্টির মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হলেও ২০২৪ সালে কোম্পানিটি তাদের পলিসি বাকিতে ইস্যু করেছে।
আইডিআরএ জানিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টির নথি চাওয়া হলেও কোম্পানিটি তা জমা দিতে পারেনি।
বিমা খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করলে কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খাতটিতে অনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। তাঁদের মতে, ‘বাকিতে বিমা বিক্রি’ বন্ধে আইডিআরএর কঠোর ভূমিকা জরুরি। কারণ, এতে কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিকৃত হয়, ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতা নষ্ট হয়। তাঁরা মনে করেন, আইডিআরএ চাইলে এর বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা থেকে শুরু করে লাইসেন্স-সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের সিইও মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিপোর্টে দেখানো চিত্র সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তথ্য সংশোধনের জন্য আইডিআরএর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, বাকিতে বিমা ব্যবসা শুধু তাদের কোম্পানিতেই নয়, খাতের সব কোম্পানি কমবেশি করছে। জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করবেন, যাতে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করা যায়।
আইন অনুযায়ী, ২০১১ সালের আইডিআরএ সার্কুলার অনুযায়ী ৫ হাজার টাকার বেশি প্রিমিয়াম ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার, ইএফটি বা চেক আগে জমা না হলে কোনো পলিসি বা কাভার নোট ইস্যু করা যাবে না। চেক এনক্যাশ হওয়ার আগেও নথি ইস্যু করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স এই নির্দেশনা মানেনি। আইডিআরএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বিমা আইন, ২০১০-এর ধারা ১৮(২) এবং সার্কুলার নং ২৯/২০১১ সরাসরি লঙ্ঘন করেছে।

বিমা খাতের নিয়মকানুন উপেক্ষা করে কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি দীর্ঘদিন ধরে ‘বাকিতে’ বিমা ব্যবসা করছে। অর্থাৎ প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করাকে বিমা আইন সরাসরি নিষিদ্ধ। কারণ, এতে কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি বাড়ে এবং বাজারে অনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়।
আইডিআরএর সহকারী পরিচালক আব্দুর রহিমের ২১ সেপ্টেম্বরের প্রতিবেদনে দেখা যায়, কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স ২০২৪ সালে মোট ৩৪ হাজার ৩টি পলিসি ইস্যু করেছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৪৭৬টি পলিসি ‘বাকিতে’ ইস্যু করা হয়েছে। এই ব্যবসার প্রিমিয়ামের পরিমাণ ২৬ কোটি ৪ লাখ ৭২ হাজার ৮১৩ টাকা। এর মধ্যে বিলম্বে জমা পড়া প্রিমিয়াম ২৫ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৪০০ টাকা।
পরিদর্শকেরা ১০০ দিনের বেশি দেরিতে জমা হওয়া কয়েকটি কাভার নোট ও পলিসির নথি পরীক্ষা করে দেখেছেন, ১৫টির মধ্যে ১২টির কোনো ব্যাংক গ্যারান্টি ছিল না। ফলে এগুলো সরাসরি ‘বাকিতে ব্যবসা’ বলে প্রমাণিত। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ইস্যু করা কিছু পলিসির বিপরীতে ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৪৭ লাখ ৮৩ হাজার টাকার কোনো প্রিমিয়াম জমা হয়নি।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের একটি ব্যাংক গ্যারান্টি থাকলেও তার পরিমাণ মাত্র ৩ লাখ টাকা, অথচ কোম্পানিটি ২০২৪ সালে তাদের সঙ্গে ১ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকার বাকিতে ব্যবসা করেছে। শুধু মে মাসেই ২১ লাখ টাকার বেশি বাকিতে পলিসি করা হয়েছে। এ ছাড়া লীরা গ্রুপ ও সম্রাট গ্রুপের কিছু ব্যাংক গ্যারান্টির মেয়াদ ২০২২ সালে শেষ হলেও ২০২৪ সালে কোম্পানিটি তাদের পলিসি বাকিতে ইস্যু করেছে।
আইডিআরএ জানিয়েছে, ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক গ্যারান্টির নথি চাওয়া হলেও কোম্পানিটি তা জমা দিতে পারেনি।
বিমা খাতের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রিমিয়াম হাতে পাওয়ার আগেই পলিসি ইস্যু করলে কোম্পানির আর্থিক ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং খাতটিতে অনৈতিক প্রতিযোগিতা তৈরি হয়। তাঁদের মতে, ‘বাকিতে বিমা বিক্রি’ বন্ধে আইডিআরএর কঠোর ভূমিকা জরুরি। কারণ, এতে কোম্পানির আর্থিক হিসাব বিকৃত হয়, ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ে এবং ন্যায্য প্রতিযোগিতা নষ্ট হয়। তাঁরা মনে করেন, আইডিআরএ চাইলে এর বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা থেকে শুরু করে লাইসেন্স-সংক্রান্ত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।
কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের সিইও মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, রিপোর্টে দেখানো চিত্র সম্পূর্ণ সঠিক নয়। তথ্য সংশোধনের জন্য আইডিআরএর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আরও বলেন, বাকিতে বিমা ব্যবসা শুধু তাদের কোম্পানিতেই নয়, খাতের সব কোম্পানি কমবেশি করছে। জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে চেষ্টা করবেন, যাতে এ ধরনের ব্যবসা বন্ধ করা যায়।
আইন অনুযায়ী, ২০১১ সালের আইডিআরএ সার্কুলার অনুযায়ী ৫ হাজার টাকার বেশি প্রিমিয়াম ডিমান্ড ড্রাফট, পে-অর্ডার, ইএফটি বা চেক আগে জমা না হলে কোনো পলিসি বা কাভার নোট ইস্যু করা যাবে না। চেক এনক্যাশ হওয়ার আগেও নথি ইস্যু করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্স এই নির্দেশনা মানেনি। আইডিআরএ জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বিমা আইন, ২০১০-এর ধারা ১৮(২) এবং সার্কুলার নং ২৯/২০১১ সরাসরি লঙ্ঘন করেছে।

দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবিকা এখনো কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে নতুন উদ্যোগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ুর সংকটে টিকে থাকতে কৃষকদের ঋণের চাহিদা বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবতা হলো, চাহিদা থাকলেও কৃষি খাতে অর্থায়ন নিয়ে উদাসীন অবস্থান নিয়েছে ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, একটি অর্থবছরের ব্যবধানে
১৭ জুলাই ২০২৫
বীকন ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্ণধার এবং কোহিনূর কেমিক্যালসে সম্মানিত পরিচালক মো. এবাদুল করিম মারা গেছেন।
১৮ মিনিট আগে
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য দ্রুত সম্প্রসারিত ডিজিটাল সেবা পুরোপুরি প্রবেশযোগ্য করতে সুস্পষ্ট ও সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। বক্তারা বলেন, দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রা তখনই পরিপূর্ণ হবে, যখন সব নাগরিক বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিরাপদ, স্বচ্ছন্দ ও স্বা
২ ঘণ্টা আগে
দীর্ঘ স্থবিরতার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাচ্ছে রাজশাহী হাইটেক পার্ক। নতুন করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় পার্ককেন্দ্রিক অর্থনীতিতে এসেছে দৃশ্যমান গতি। এতে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মসংস্থান ও আঞ্চলিক উন্নয়নের সম্ভাবনাও জোরদার হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগে