নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৪৪ কোটি মার্কিন ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৫৪ হাজার ১১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা)। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ জানুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এতে টানা চার মাস রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রয়েছে। এ তথ্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ২ হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, তবে শিল্প খাতের কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, যা এই পরিসংখ্যানে পুরোপুরি প্রতিফলিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যদিও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক, তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বাজারভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও কাঁচামালের ওপর নির্ভরতা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের জন্য কিছু সুযোগ সৃষ্টি হলেও জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিগত সাত মাসে রপ্তানি আয় প্রধানত তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য খাতের মধ্যে রাবার পণ্য ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সাইকেল রপ্তানি ৬৪ ও জাহাজ রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি যেহেতু তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে, তাই এ খাতের রপ্তানির ওপর নির্ভর করে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি। এ খাতে জানুয়ারি মাসে রপ্তানিতে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি এর কাছাকাছি রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের, যা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে এ খাতে ৩৬৬ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে; এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানির অর্ডার বাড়লেও উৎপাদন ব্যয়ের চাপ রপ্তানিকারকদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৪৪ কোটি মার্কিন ডলার, যা টাকার অঙ্কে ৫৪ হাজার ১১৯ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা)। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪২০ কোটি ডলার। অর্থাৎ জানুয়ারিতে আগের বছরের তুলনায় রপ্তানি বেড়েছে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ। এতে টানা চার মাস রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা বজায় রয়েছে। এ তথ্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) রপ্তানি আয় হয়েছে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ২ হাজার ৫৯৩ কোটি ৮৯ লাখ ডলার।
রপ্তানি প্রবৃদ্ধির এই ধারা অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। প্রবাসী আয় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে শক্তিশালী করছে, তবে শিল্প খাতের কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান, যা এই পরিসংখ্যানে পুরোপুরি প্রতিফলিত হচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘যদিও রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক, তবে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, বাজারভিত্তিক প্রতিযোগিতা ও কাঁচামালের ওপর নির্ভরতা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
মহিউদ্দিন রুবেল আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সংকুচিত হওয়ার ফলে তীব্র মূল্য প্রতিযোগিতা দেখা দিয়েছে। একই সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশের জন্য কিছু সুযোগ সৃষ্টি হলেও জ্বালানি নিরাপত্তা ও আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিগত সাত মাসে রপ্তানি আয় প্রধানত তৈরি পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীল ছিল। এই খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি খাতে পরিণত হয়েছে। অন্যান্য খাতের মধ্যে রাবার পণ্য ৩৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ, সাইকেল রপ্তানি ৬৪ ও জাহাজ রপ্তানি ৩১ দশমিক ৬৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত জানুয়ারি মাসে তৈরি পোশাক, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। তবে চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে। কিন্তু রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি যেহেতু তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে, তাই এ খাতের রপ্তানির ওপর নির্ভর করে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি। এ খাতে জানুয়ারি মাসে রপ্তানিতে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি এর কাছাকাছি রয়েছে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি ডলারের, যা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। শুধু জানুয়ারিতে এ খাতে ৩৬৬ কোটি ডলারের রপ্তানি হয়েছে; এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানির অর্ডার বাড়লেও উৎপাদন ব্যয়ের চাপ রপ্তানিকারকদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল্যের প্রতিযোগিতা বজায় রাখা এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
দেশের সিরামিক শিল্প চরম সংকটে। গ্যাস-সংকট, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং উৎপাদন ব্যয়ের চাপ শিল্পটিকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গ্যাসের সরবরাহ নেই, ফলে উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। একের পর এক অর্ডার বাতিল হচ্ছে, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমছে। এক বছর ধরে এই খাত চরম দুরবস্থার মধ্যে আছে।
১ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসে ৯৩ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় করেছে স্থলবন্দরটি। সংশ্লিষ্টদের মতে, বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেত।
১ ঘণ্টা আগেব্যাংকের কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও কার্যকর বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ের কার্যক্রম আরও গতিশীল করতে ৩০টি টাস্কফোর্স টিম গঠন এবং আইনি প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় কমিয়ে বার্ষিক খরচ ২০ শতাংশ করতে হবে। এ ছাড়া নতুন আমানত সংগ্রহেও বিশেষ..
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ বিমানকে একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। তিনি বলেন, এটিকে লাভজনক ও আধুনিক করে গড়ে তুলতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ এনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ দেওয়া উচিত।
৪ ঘণ্টা আগে